a
ফাইল ছবি
এমবিবিএস ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেছে ৪৮ হাজার ৯৭৫ জন। পাশের হার ৩৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
ভর্তি পরীক্ষার ফল জানা যাবে এই লিংকে https://result.dghs.gov.bd/mbbs/
এবার মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মিশোরী মুনমুন। তার রোল নম্বর ২৫০০২৩৮। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ২৮৭ দশমিক ২৫ (ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮৭ দশমিক ২৫)।
পাসকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বাচিত করা হয়েছে ৪ হাজার ৩৫০ জন। এরমধ্যে ছাত্রী ২ হাজার ৩৪১ জন (৫৪ শতাংশ) এবং ছাত্র ২ হাজার ৯ জন (৪৬ শতাংশ)।
এসবের মধ্যে চলমান শিক্ষাবর্ষ থেকে নির্বাচিত ৩ হাজর ৯৩৭ জন এবং পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে নির্বাচিত করা হয়েছে ৪১৩ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। করোনার কারণে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবার কেন্দ্র সংখ্যা ছিল ১৯টি এবং ভেন্যু সংখ্যা ৫৫টি করা হয়েছিল।
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ৮৯১ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৬০২৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৫ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৮৫৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
নিউজ ডেস্ক: সন্ধিক্ষণ বা ক্রসরোড ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি জাতীয় জীবনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জীবনের যে কোনো সময়েই আসতে পারে। "ইতিহাসের ক্রসরোড" বলতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের কথা বোঝানো হয়, যেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, "আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছি।"
ক্রসরোড ছিল এমন একটি স্থান যেখানে দুটি পথ বা সীমারেখা মিলে যেত—একটি জায়গা, "না এখানে, না সেখানে।" বিভিন্ন সংস্কৃতি ও পৌরাণিক কাহিনিতে, ক্রসরোডের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী এবং জাদুকরি অর্থ রয়েছে। এটি সাধারণত এমন একটি স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিবর্তন এবং রূপান্তর ঘটে, কারণ এটি জীবনগত এবং রূপকভাবে সমসাময়িক জীবনের আন্তঃসংযোগ।
ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে, আমরা ইতিহাসকে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করি, সব দিক থেকে বিশ্লেষণ করি এবং সকল দৃষ্টিভঙ্গি পর্যালোচনা করি। আমরা প্রায়ই ইতিহাসের পাঠকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সমঝোতার জন্য আহ্বান করি।
যেমন পূর্বে ইতিহাস ছিল বিজয়ীদের গল্প, তেমনটি নয়, আমরা ইতিহাসকে নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করি, যেখানে আগের সময়ের নিদর্শনগুলোকে ভবিষ্যতের সিদ্ধান্তগুলির জন্য অবজেকটিভভাবে উপস্থাপন করা হয়।
এটি আমাদের কর্তব্য, আমাদের ব্যাপক দক্ষতা এবং জ্ঞানকে সঠিক দিকের জন্য ব্যবহার করা, যাতে আমরা বাংলাদেশকে সেই অবস্থায় পুনর্গঠন করতে পারি, যেখানে এটি ১৯৭১ সালে শুরু হওয়া উচিত ছিল। তবে দুর্ভাগ্যবশত, আমরা একটি সঠিক পথ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছি।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের মধ্যে ছাত্ররা একটি অনন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং আমাদের জন্য পরিবর্তনের একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এটি একটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ক্রসরোড ছিল—রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, ধর্ম এবং আরও অনেক ক্ষেত্রের ক্রসরোড।
যেহেতু আমরা ইতিহাসের ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছি এবং আমাদের উপরে সাইনপোস্টগুলো দেখতে পাচ্ছি, একটি সাইনপোস্ট আমাদের পেছনে, একটি ভয়াবহ এবং অপ্রত্যাশিত রাস্তা নির্দেশ করছে। অন্যটি একটি ভালো ভবিষ্যতের দিকে, তবে সে পথ মসৃণ নয়। এটি একটি পথ যার বাঁক এবং কণ্টকপূর্ণ মোড় রয়েছে।
এটি কখনো কখনো আমাদের অগ্রগতি ধীর করে দেবে এবং পিছনে ফিরিয়ে নেবে। তবুও, আমাদের সেই পথটি নিতে হবে, ইতিহাসের সত্য ব্যবহার করে, অবশেষে, একটি রুটম্যাপ হিসেবে, যা আমাদের আগের সময়ের কষ্ট ও সমস্যার পাশাপাশি সামনে আসা নতুন চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে।
আমরা এক ধরনের ক্রসরোডে রয়েছি, কোনো না কোনো কারণে, যেখানে আপনিই থাকার জন্য নির্ধারিত ছিলেন, তাই সেখানে পথ খুঁজুন। এই ইতিহাসের মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন এমন একজন নেতা, যিনি বাংলাদেশে ঐতিহাসিক এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।
লেখক: কর্নেল আকরাম, সম্পাদক: মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাসের অধ্যাপক