a
ফাইল ছবি । রওশন এরশাদ
বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
রওশন এরশাদের পুত্র রাহ্গীর আলমাহি সাদ এরশাদ তার আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, রওশন এরশাদের ফুসফুসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধিজনিত সমস্যা রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ তোপের মুখে পরা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ঘিরে এখন দেশব্যাপী আলোচনা তুঙ্গে। যদিও তিনি ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। অবশ্য পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই তার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে সবাইকে উত্তেজনা পরিহার করে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মামুনুল।
শনিবারের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক লাইভ ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি। মামুনুল হককে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কেউ যেন কোনো বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার না করে। আপনারা কোনো অবস্থাতেই কোনো উত্তেজিত আচরণ করবেন না। জানমালের ক্ষতি হয় এই ধরনের কোনো কাজ করবেন না। তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা আমার পরিবারের সদস্যরা জানেন। পরিবারের যেই অভিভাবকরা আছেন তারাও জানেন। উপস্থিত পুলিশ সুপার তথ্যের সত্যতা যাচাই করেছেন। তিনি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেও নিশ্চিত হয়েছেন।’
মামুনুল হক ওই রিসোর্টে কেনো গিয়েছেন সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিনের পরিশ্রমে একটু হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। একটু বিশ্রাম প্রয়োজন ছিলো। বিশ্রামের জন্য ঢাকার অদূরে সোনারগাঁও ঘুরতে গিয়েছিলাম। সঙ্গে আমার স্ত্রী ছিলো। তারপর আমরা এই রিসোর্টে উঠি। তার পরিচয় নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আসলে তিনি আমার এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর স্ত্রী ছিলেন। তাদের আড়াই বছরের সংসার ছিলো। তাদের দুটি সন্তানও আছে। কলহের যের ধরে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর পারিবারিকভাবে আমি তাকে বিয়ে করি।’
ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দলীয় নেতা নূরে আলম ও আবদুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে বিএনপির যে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে তা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চাল-ডাল-তেলসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভোলায় আমাদের ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আমরা সারাদেশের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছি। এই প্রতিবাদ আন্দোলনে সারাদেশের জনগণের মধ্যে একটি অভূতপূর্ব সারা সৃষ্টি করেছে। ভয়াবহ, কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী, অত্যাচারী, নির্যাতনকারী সরকারের দুঃশাসনের ফলে সমগ্র দেশের মানুষ যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তারই প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমে এসেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়নে, ওয়ার্ডে মানুষ বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হচ্ছে এই সরকারের বিরুদ্ধে। এতে সম্পূর্ণভাবে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী চরিত্র আরও একবার উদ্ভাসিত হয়েছে। আমি সব সময় বলি, আওয়ামী লীগের বডি ক্যামিস্ট্রির মধ্যেই সন্ত্রাস আছে। রাজনৈতিকভাবে তারা দেউলিয়া হয়ে বলপ্রয়োগ ছাড়া তাদের টিকে থাকার আর কোনো শক্তি নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে প্রতিবাদ কর্মসূচি সেটা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। যেসব থানা উপজেলায় কর্মসূচি হয়নি সেগুলোতে হবে। এরমধ্যে আগামী ৩০ আগস্ট সারাদেশে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে সারাদেশে আন্তর্জাতিক দিবস পালন করবো। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে পালন করবো।
অন্যদিকে ১ সেপ্টেম্বর আমাদের (বিএনপির) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সারাদেশে পালিত হবে। এ উপলক্ষে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আলোচনা সভা হবে। ১০ সেপ্টেম্বরের পরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন