a
ফাইল ছবি । রওশন এরশাদ
বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
রওশন এরশাদের পুত্র রাহ্গীর আলমাহি সাদ এরশাদ তার আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, রওশন এরশাদের ফুসফুসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধিজনিত সমস্যা রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ফাইল ছবি
ঈদ আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে রাজধানী ও এর আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। মঙ্গলবার ঈদের দিন ঢাকার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এদিন রাজধানীর চিড়িয়াখানা, শিশুমেলা, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।
ঈদের দিন সকালে বৃষ্টি হলেও বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। সেই সঙ্গে দুপুর নাগাদ রোদের দেখা মেলে। এই সুযোগে ঘর থেকে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে রাজধানী ও আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বেরিয়ে পরেন দর্শনার্থীরা। এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষজনের সমাগম ছিলো চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের ভিড় আরও বাড়তে থাকে।
এছাড়া রাজধানীর আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লাসহ ঐতিহাসিকস্থানসহ অন্যসব বিনোদন কেন্দ্র ছিল লোকে লোকারণ্য।
তবে রাজধানীতে সাধারণ আর মধ্যবিত্তের বিনোদন কেন্দ্র বলতে হাতিরঝিল প্রাধান্য পেয়েছে। তাই সেখানেই প্রায় সব বয়সী মানুষের জনস্রোত চোখে পড়েছে। ঈদের দিন সকালের পরই হাতিরঝিলে হাজারো মানুষ উপস্থিত হয়।
প্রতিটি কেন্দ্র নতুন করে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা হয়। এসব বিনোদন কেন্দ্রের প্রায় সবগুলোতেই ছোট-বড় সবার উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্য করার মতো। সূত্র: ইত্তেফাক
সংগৃহীত ছবি
বগুড়ার আদমদীঘিতে দশম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিন আকতার এখন জুবায়েদ মণ্ডল (২০)। নারী থেকে সে পূর্ণাঙ্গ পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছে। জুবায়েদ নিজে ও তার পরিবারের সদস্যরা এতে খুব খুশি। উপজেলার শাওইল গ্রামে এ ঘটনাটি প্রচার হওয়ার পর থেকে গত তিনদিন ধরে বাড়িতে কৌতূহলী জনতা ভিড় করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নসরৎপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন মণ্ডল ও মরিয়ম বিবি দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। মেয়ে জেসমিন আকতার ও ছেলে মিজানুর রহমান মিজান।
২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণের পর জেসমিন শাওইল গ্রামে নানা মোবারক আলীর বাড়িতে থাকে। সেখান থেকে বাবা-মা ও ভাইকে দেখতে লক্ষ্মীপুরে যাতায়াত করতেন। জেসমিন স্থানীয় শাওইল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণি ও মিজানুর রহমান মিজান ধনতলা আলিম মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে স্কুল ও মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় জেসমিন নানার বাড়িতে ও ছোট ছেলে মিজান লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে রয়েছে। এ অবস্থায় জেসমিনকে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্র খোঁজার কাজ চলছিল।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত চার মাস আগে হঠাৎ করে জেসমিন আকতারের কণ্ঠস্বর বদলে যেতে শুরু করে। কণ্ঠস্বর, চলাফেরা ও আচার-আচরণ ছেলেদের মত হতে থাকে। প্রায় ৪৫ দিন আগে তার শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়ে ছেলেদের মতো হয়ে যায়।
জেসমিন বিষয়টি তার নানা মোবারক আলীকে অবহিত করে। তাকে ঢাকার শাজাহানপুরে ইসলামী হাসপাতালের চিকিৎসক সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদের কাছে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা জানতে পারেন, শরীরে অতিরিক্ত পুরুষ হরমোন থাকায় সে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।
চিকিৎসক বিষয়টি নানা মোবারক আলীকে জানিয়ে বলেন, হরমোনের কারণে ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে লিঙ্গান্তর হয়ে থাকে।
বাড়িতে এনে জেসমিন আকতারের নাম পরিবর্তন করে জুবায়েদ মণ্ডল রাখা হয়। চুল ছোট করে কেটে ছেলেদের মত পোশাক দেওয়া হয়। দরিদ্র পরিবারের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইতে থাকে। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীরা তাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করছেন।
ছেলেতে রূপান্তর হওয়া জুবায়েদ মণ্ডল জানায়, লেখাপড়ার পাশাপাশি সে নিয়মিত নামাজ আদায় করতো। কিছুদিন আগে জ্বর আসার পর শরীরের পরিবর্তন শুরু হয়। এতে সে বুঝতে পারে পুরুষে রূপান্তরিত হচ্ছে। তার এ পরিবর্তনে সে খুব খুশি। এ জন্য সে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানায়।
বড় বোন জেসমিন এখন ভাই জুবায়েদ হওয়ায় ছোট ভাই মিজানও সন্তুষ্ট। এখান তারা দুই ভাই বড় হয়ে দরিদ্র সংসারের হাল ধরবে তাদের আশা।
বাবা জালাল হোসেন মণ্ডল জানান, মেয়ে জেসমিন ছেলেতে রূপান্তর হওয়ায় তার নাম রাখেন, জুবায়েদ মণ্ডল। তার ইচ্ছা, ছেলে জুবায়েদ মণ্ডল এখন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করে একজন বড় আলেম হবে। তিনি আরও জানান, তার মাত্র দেড় বিঘা জমি রয়েছে। সংসারে অভাব থাকলেও তিনি তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুখী।
সংসারে মেয়ে সন্তান না থাকা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে জালাল মণ্ডল জানান, দুই ছেলেকে বিয়ে করালে তাদের ঘরে মেয়ে সন্তান হবে ইনশাল্লা্হ। আর এতে তার মেয়ে সন্তানের অভাব পূরণ হয়ে যাবে। সূত্র:যুগান্তর