a
ফাইল ছবি । রওশন এরশাদ
বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
রওশন এরশাদের পুত্র রাহ্গীর আলমাহি সাদ এরশাদ তার আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, রওশন এরশাদের ফুসফুসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধিজনিত সমস্যা রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: দেশ পূনর্গঠনে সেনাবাহিনীর চলমান ভূমিকা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সশস্ত্র বাহিনী দিবস–২০২৫ উপলক্ষে ঢাকার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এ আস্থার কথা জানান তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তাদের পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে দেশের জন্য ত্যাগ ও তৎপরতার এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখবে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস দেশের মুক্তিযুদ্ধ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তরণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন– তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন। বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনায় তিন বাহিনীর প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, শান্তিরক্ষী সদস্যদের পরিবারবর্গসহ দেশি–বিদেশি অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণের শুরুতেই ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সকল বীরদের স্মরণ করেন। পাশাপাশি তিনি ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নিহত, আহত এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, তাদের দুঃসাহসিক আত্মত্যাগ আমাদের জন্য দেশ পুনর্গঠনের নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে। ২৫ মার্চের রাত থেকেই মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের সংগ্রাম শুরু হয় এবং ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সম্মিলিত অভিযানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন চূড়ান্ত রূপ পায়। তিনি বলেন, ১৯৭১-এর যৌথ অভিযানই ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় নিশ্চিত করেছিল, যা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
দেশ পুনর্গঠন ও ২০২৪-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে সশস্ত্র বাহিনীর অব্যাহত সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জনগণের আস্থা রক্ষায় সেনাবাহিনী সবসময় অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টা অতিথিদের উপস্থিতিতে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের সুখ–সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবো। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয় এ লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে শিল্প কলকারখানা। ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে।
এবারের লকডাউনে যেসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে-
১. সব সরকারি, আধাসরকারি, সায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৩. সব ধরনের পরিবহন (সড়ক, নৌ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
৪. শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের স্ব স্বপ্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
৫. আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।
৬. অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়ত করা যাবে।
৭. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে।
৮. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।