a
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ শহরে রান্না ঘরে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দুই নৈশপ্রহরী দগ্ধ হয়েছেন।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাষাঢ়ায় প্রেসিডেন্ট রোডে জি এম গার্ডেন নামে একটি আবাসিক ভবনের আট তলায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ দুজন হলেন- নৈশপ্রহরী উজ্জল ও মানিক।
ওই ভবনের আরেক নৈশপ্রহরী মোহাম্মদ আলী জানান, জিএম গার্ডেনের আট তলায় কমিউনিটি সেন্টার আদলে কয়েকটি কক্ষ ছিল। ভবনের বাসিন্ধানের কোনো অনুষ্ঠান হলে সেখানে আয়োজন করা হতো।
আগে থেকেই আট তলায় গ্যাস লাইনের সমস্যা ছিল। এজন্য মিস্ত্রি এসে সেটা মেরামত করে এক পর্যায়ে তারা নিচে নেমে যায়। সেসময় রান্না ঘরের দরজা জানালা বন্ধ ছিল। ফলে রান্না ঘরে গ্যাস জমে থাকে বলে অনুমান করা হয়।
পরর্তীতে দুই জন নৈশপ্রহরী সিগারেট হাতে নিয়ে ওই কক্ষে প্রবেশের সাথে সাথেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুজনই দগ্ধ হন।
দগ্ধ নৈশ প্রহরীদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ও পরে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
ফাইল ছবি
বান্দরবানের ৪জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ অস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
তিনি আরও জানান, আজ রবিবার সকালে রোয়াংছড়ি ও রুমা সীমান্তবর্তী এলাকার গভীর জঙ্গলে মরদেহগুলো দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন।
ছবি সংগৃহীত : মহান মে দিবস
আজ মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উত্সর্গ করেছিলেন এবং এই আত্মদানের মধ্য দিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
আন্দোলনে শ্রমিকদের অধিকারের স্বীকৃতি মিললেও আজও শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিতে দেশে দেশে সমাজে সমাজে আন্দোলন করতে হয়। দেশে দেশে শ্রমিকেরা আজও বঞ্চিত, নি:গৃহীত। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলওর ছয়টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। এটি একটি বিরল ঘটনা এবং শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষায় এক অনন্য স্বীকৃতি।
দিবসটি সরকারি ছুটি। মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বের সব শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের জন্য সংগ্রামী চেতনায় উদ্ভাসিত একটি দিন এই মহান মে দিবস। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত কর্মপরিবেশ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতাসহ সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের ঐতিহাসিক দিন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক ও মালিক পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উত্পাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হবেন। আমরা শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সূত্র: ইত্তেফাক