a
ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে দেশে দুইদিন (শুক্রবার ও শনিবার) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকবে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কবে থেকে ছুটি কার্যকর হবে সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে।’
এছাড়া আজ মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা এবং ব্যাংকসমূহ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে আগামীকাল সোমবার (২০ জুন) থেকে রাত ৮টার পর সারাদেশে বিপণি-বিতান, মার্কেট ও মুদি দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ রবিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে একমত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে সমিতির নেতারা ঈদুল আজহার কারণে ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্প্রতি এই নির্দেশনা জারি করে। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
গণিতের প্রতি যেন গ্রামের ছেলেমেয়েরা ভয় ভীতি না পায়, সেজন্য সহজ বোদগম্যভাবে করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শরীয়তপুরের ছেলে সবুজ। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ যেন গণিতের প্রতি বাড়ে, সেজন্য কুইজ, আইকিউ টেস্ট এবং লজিক পাজলের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা শেখান। রীতিমতো এক অন্যরকম আনন্দদায়ক ক্লাস করান তরুন সবুজ। গনিতকে জনপ্রিয় করতেই ২০২১ সালের ৮ জুলাই প্রতিষ্ঠা করেন ৭ ডিসিসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সুপার ১০ সদস্যের নিয়ে কাশেমপুর কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টে গতকাল ৮ জুলাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
৭ডিসিসি এর প্রতিষ্ঠাতা সবুজ আহমেদ বলেন, আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে ১০ জন সুপার লেভেলের বাচ্চা নিয়ে শুরু করেছিলাম আমার এই সুপার ১০ অলিম্পিয়াড টিম এবং ৭ডিসিসি এডুকেশনাল প্লাটফর্ম।
এই টিমের ১০ জন সদস্যকে তখন কয়েক ধাপে বাছাই করে নেওয়া হয়েছিল। এদের আইকিউ লেভেল এনাফ গুড। সেই শুরু থেকেই এখন অব্দি এদেরকে আমি গাইড করে আসছি।প্রবলেম সলভিং, ছোট খাটো আইকিউ টেস্ট এগুলা প্রায় সময়ই টিমের সদস্যরা প্রাকটিস করে। টিমের ১০ জনের মধ্যে ৫ জন কলেজ স্টুডেন্ট, ৩ জন এস এস সি ক্যান্ডিডেট, ১ জন ক্লাস ১০ এবং ১ জন ক্লাস ৯ এর শিক্ষার্থী।
সুপার ১০ এর বৈশিষ্ট্যঃ
১.এরা সিনিয়র জুনিকয়র সবাই একসাথে একই ধাপের প্রব্লেম সলভ করে।
২.একজনের প্রব্লেম সলভিং ক্যাপাবিলিটি দেখে অন্যজন মোটিভেট হয়।
৩.টিম আকারে প্রব্লেম সলভ করে।
৪.একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে, ছুটিকালীন সময়গুলাতে সবাই গণিত বিজ্ঞান প্রাকটিস করে।
এই যে এত এত কিছু করা হয়, এতে কিন্তু কারো কখনো মন খারাপ হয় না, কারো কখনো ক্লান্তিভাব আসে না, ইভেন কারো একাডেমিক এডুকেশনেও প্রভাব পড়ে না। যার শিক্ষক যত ভালো সে তত বেশি এগিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
তরুন শিক্ষার্থী সবুজ বলেন, সুপার ১০ টিম এবং ০৭ডিসিসি এর ১ বছর সেলিব্রেশন করলাম আমরা। সবাই যাতে ফ্রেশ মন নিয়ে পুরো উদ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, সেকারনে সুপার ১০ অলিম্পিয়াড টিমকে অনেকেই সাপোর্ট করতে এগিয়ে আসছেন।
সবুজ আরো বলেন, আমাদের সুপার ১০ এর জন্য আমেরিকা থেকে গিফট মেহেদী হাবিব এর পক্ষ থেকে উপহার এসেছে। তিনি ভবিষ্যতে আমাদের সব রকম সাহায্য করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
সবুজ বলেন, মেহেদী ভাই আরো একটা মহৎ কাজের আইডিয়া দিয়েছেন সুপার ১০ এর মতো সুবিধাবঞ্চিত এবং একটু পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এইবার কাজ শুরু করতে বললেন।
যাদের দিকে সমাজ কিংবা কোনো সংগঠন তাকায় না, এমন ২০ জন বাচ্চা নিয়ে, অতি শীগ্রই আমি আরেকটা টিম করতে যাচ্ছি, যার নাম হবে, ‘ডিটারমাইন্ড ২০’।
আশা করি, সমাজের সুধীমহল, স্কলার এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা বরাবরের মতো আমার এই টিম গুলাকে সাপোর্ট করবেন।
গণিতপ্রেমী সবুজ বলেন, গত বছর ০৭ডিসিসি গণিত অলিম্পিয়াড এ লোকাল গভঃ এবং প্রয়াস সংগঠন আমাকে সাপোর্ট করেছেন।
এইবার সুপার ১০ অলিম্পিয়াড টিমকে সাপোর্ট করতেছেন আমেরিকা থেকে মেহেদী হাবিব। আশা করি, মেহেদী ভাইকে সামনের সকল কাজে পাশে পাব। উনি একজন বাস্তববাদী শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। এলাকার শিক্ষার্থীদের নিয়ে সারাজীবন চিন্তা ভাবনা করেন।বিদেশে থেকেও যে, আমাদের এই ছোট্ট কাজকে সাপোর্ট করতেছেন, এটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
পরিশেষে সবাইকে গণিতপ্রেমে এগিয়ে আসার আহবান জানালেন তরুন এই সবুজ।