a ১ থেকে ৭ জুলাই কেউ বাসা থেকে বের হতে পারবে না
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

১ থেকে ৭ জুলাই কেউ বাসা থেকে বের হতে পারবে না


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১, ০৩:৪৬
১ থেকে ৭ জুলাই কেউ বাসা থেকে বের হতে পারবে না

ফাইল ছবি

১ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৭ জুলাই রাত ১২টা কেউ বাসা থেকে বের হতে পারবেনা। জরুরি সেবা ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। 

বিধিনিষেধ চলাকালে এবার কোনো মুভমেন্ট পাস থাকবে না। গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব কথা অবহিত করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে কঠোর অবস্থানে না যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমরা সারা দেশের স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশনে দেখছি দেশের একটা বড় অংশ করোনা সংক্রমণের রেড, অরেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। কিছু বাস্তব কারণে ৩০ জুন পর্যন্ত করতে পারছি না। 

তবে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হবে। এবার আমরা খুবই কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ ও বিজিবি। তারা টহলে থাকবে। তাদের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কারও বের হওয়া যাবে না, বাসায় থাকতে হবে সবাইকে। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া বা বিদ্যুৎ, পানি এসব জরুরি সেবা সেগুলো চলবে। তিনি বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি চাঁপাইনবাবগঞ্জে লক করে দেওয়ায় সংক্রমণ অনেক কমে গেছে। সাতক্ষীরায়ও পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে। অর্থাৎ যেখানে যেখানে আমরা আইসোলেটেড করে দিয়েছি মুভমেন্ট রেস্ট্রিক্টেড করে দিয়েছি সেখানেই কমেছে। 

এখন ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই এরপর সরকার যদি মনে করে আরও সাত দিন দিতে হবে, সেটাও বিবেচনায় আছে। পোশাকশিল্প বা রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আবার বসা হবে। বিস্তারিত নোটিস দিয়ে জানানো হবে।

বিধিনিষেধে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কোনো ব্যবস্থা থাকবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কেবিনেট বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষার আওতায় যথাসম্ভব গত বছর যেটা করা হয়েছে সেটা চালু রাখতে। 

বিশেষ করে শহর এলাকায় বেশি সমস্যা হয়, সেটাকে নজরদারিতে রেখে যথাযথ ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব থাকবে। আর্মি, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন পুলিশ তারা সবাই টহলে থাকবে। তাদের যতটুকু সম্ভব যা দরকার, সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অথরিটি দেওয়া হয়েছে। 

বলা হয়েছে যাতে কোনোভাবেই বেশি মানুষ বের হতে না পারে। কেউ কথা না শুনলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা আছে। এবার কোনো মুভমেন্ট পাস থাকছে কি না জানতে চাইলে বলেন, থাকবে না। এবার কোনো মুভমেন্ট পাস থাকবে না। কেউ বের হতে পারবে না। সাত দিন সবাই ঘরে থাকবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

আজ দেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ০৭ আগষ্ট, ২০২১, ১০:৫৪
আজ দেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু

ফাইল ছবি

সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে আজ শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে গণটিকা কার্যক্রম। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ক্যাম্পেইন চালিয়ে ৩২ লাখ মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে।

গ্রাম, শহর ও দুর্গম এলাকার মানুষ ছয় দিনে পর্যায়ক্রমে টিকা পাবেন। এছাড়াও মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরও টিকা দেওয়া হবে।

টিকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেছেন, ‘আপনারা দেখেছেন নানান জায়গা থেকে নানা মন্তব্য এসেছে। নানা বিষয় এসেছে। আমরা সে ব্যাপারগুলোর বিষয়ে সজাগ আছি। আমরা চেষ্টা করব, ভবিষ্যতে যাতে এই ব্যাপারগুলোর পুনরাবৃত্তি না হয়। তবে টিকা নিয়ে যা হয়েছে সেটার সবটুকুর দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের না।’

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাকক্ষে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আজ ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে টিকা ক্যাম্পেইন করে ৩২ লাখ মানুষকে করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। ২৫ বছর বা এর বেশি বয়সি জনগোষ্ঠী এই টিকা পাবে। তবে এ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া এবার দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আবুল বাশার।

তিনি বলেন, ‘১৮ বছর বয়সি অনেকের এনআইডি নেই। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, যদি এনআইডি ছাড়া ১৮ বছর বয়সিদের টিকার আওতায় আনতে যাই, মাঠে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে, সেটা আমরা সামাল দিতে পারব না। সে জন্য অনেক আলোচনা করে আমরা ঠিক করেছি বয়সসীমা ২৫ বছর হবে। আমরা চিন্তা করেছিলাম, যদি আমরা ম্যাসিভ আকারে ক্যাম্পেইন না করতে পারি বা মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করতে না পারি, তাহলে সারা দেশে যেখানে আমাদের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে হবে, এত মানুষকে আমরা কীভাবে কাভার করব? এটা পাইলট প্রজেক্ট বলা যেতে পারে। আমরা নিজেদের সক্ষমতা যাচাই করতে চাই। আমরা দেখতে চাই, আমাদের লোকেরা, প্রান্তিক পর্যায়ে এক দিনে কী পরিমাণ টিকা দিতে পারেন।’ সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পরিমণি সম্পর্কে এসডি রুবেলের মন্তব্য, আছে সামাজিক দায়বদ্ধতা!


বিনোদন ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৩ আগষ্ট, ২০২১, ১০:১২
পরিমণি সম্পর্কে এসডি রুবেলের মন্তব্য, আছে সামাজিক দায়বদ্ধতা!

সংগৃহীত ছবি

দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এসডি রুবেল পরিমণিকে নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘হ্যালো বিবেক, বিচার আদালতে হোক, মিডিয়া তে নয়। হয়তো তিনি যথার্থই বলেছেন, তার মতো অন্ধ কিছু ভক্ত পরিমণিকে নিয়ে মাতামাতি করছেন তাদের কাছে রুবেলের এই মন্তব্য যথার্থই মনে হবে।

কিন্তু আজ সমাজে পরিমণির মতো ব্যক্তিরা সমাজ সংসারকে (পুরুষ/মহিলা) কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। পরিমণির মতো এসব নায়িকারা যখন চলচ্চিত্র প্রাঙ্গণ কলুষিত করছে, তখন ভাল ইমেজের নায়ক-নায়িকারা বা অভিনেতারা বিব্রতবোধ করেন এবং পরিমণির এসব কর্মকান্ডে বিব্রত হয়েছেন অনেকেই। সাধারণ মানুষ মনে করেন চলচ্চিত্র প্রাঙ্গণ এমনই। আসলে কি তাই?

বিচারালয়ে বিচার হবে, তবে নষ্ট মানুষগুলো কষ্ট দেবে সমাজের ভাল মানুষকে তা হতে পারে না। একজন পরিমণি ৫/৬ বছরে সমাজে এরকম দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, তা হতে দেয়া যায় না। আর সমাজে এসব ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভবও হয়ে উঠে না। 

তাই বিচারালয়ে বিচার হয়তোবা যথোপযুক্তভাবেই হবে। পাশাপাশি জনসম্মুখে এসব ব্যক্তিদের কার্যকলাপ প্রকাশ পেলে অন্য সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা ও ঘৃণা জন্মাবে। ফলে ভবিষ্যতে এসব পরিমণরা গড়ে উঠার সুযোগ নেবে না।
 
সমাজে নষ্ট ব্যক্তিদের অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে সকলকেই সচেতন থাকতে হবে। আমাদের সমাজে প্রত্যেক সেক্টরে এসব পরিমণি খুঁজে পাওয়া যাবে। এদের ঘৃণিত কাজগুলো অঙ্গুলি দিয়ে প্রকাশ করার সুযোগ থাকলে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনাগুলো কম ঘটবে বৈকি।

সমাজে নষ্ট বা বিতর্কিত মানুষের পক্ষ নিয়ে স্বনামধন্য ব্যক্তিরা মন্তব্য করতে আরও যত্নশীল হবেন, এমনটাই মনে করেন সচেতন মহল। প্রসঙ্গত, পরিমণের বিষয়টি নিয়ে এস ডি রুবেল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এভাবে-

‘হ্যালো বিবেক, বিচার আদালতে হোক, মিডিয়া তে নয়। জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে প্রথমত মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করানো উচিত ছিল? একান্ত ব্যক্তিগত জীবনে পরীমণি যদি ভুল করে থাকে, একজন শিল্পীকে বৃহত্তর স্বার্থে শুধরানোর জন্য সামাজিক সুযোগ রাখা উচিত ছিল কি! পর্দার আড়ালে সে যদি ভুল করে থাকে, সেটা বিচ্ছিন্নভাবে জনগণের সামনে এনে কার স্বার্থ হাসিল করা হল! সম্ভাবনাময় একজন শিল্পীর এমন পতনে হৃদয় ব্যথিত!’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়