a
গত এক বছরে ফেসবুক থেকে আপত্তিকর কনটেন্ট গণ্য করে প্রায় ৫ হাজার লিংক সরিয়েছে বিটিআরসি। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসির কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত এক বছরে প্রায় ১৮ হাজার ৮৩৬টি লিংক অপসারণের জন্য ফেসবুকের কাছে অনুরোধ করা হয়। যার মধ্যে ৪ হাজার ৮৮৮টি লিংক অপসারণ করা হয় এবং এখনও ১৩ হাজার ৯৮৪টি লিংক একটিভ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি কর্তৃক প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যানে আরও জানানো হয়, ইউটিউবের কাছে ৪৬১টি লিংক অপসারণ করার অনুরোধ করলে সেখানে ৬২টি লিংক অপসারণ করা হয়। এখনও ৩৬৯টি লিংক অ্যাকটিভ রয়েছে।
সম্মেলনে পরিসংখ্যান উপস্থাপনকালে বিটিআরসির সিস্টেম এন্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ জানান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের নির্দেশনা মোতাবেক সাইবার থ্রেট ডিটেকশন এন্ড রেসপন্ড (সিটিডিআর) নামের একটি কারিগরি সিস্টেম ইতোমধ্যে প্রায় ২২ হাজারেরও বেশি পর্ণোগ্রাফি এবং জুয়ার সাইটে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।
এছাড়াও এই সিস্টেমের মাধ্যমে ডিজিটাল মাধ্যম থেকে ১ হাজার ৬০টি ওয়েবসাইট বা আপত্তিকর কনটেন্টের লিংক অপসারণ করা হয়েছে। যা এই সিস্টেমে অনুরোধের শতভাগ কার্যক্রম বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ধারা ৮ (১ ও ২) অনুযায়ী ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মহাপরিচাক ডিজিটাল মাধ্যম থেকে কনটেন্ট অপসারণ/ব্লক করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হলে তারা এ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। সূত্র: ইত্তেফাক
এবার পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯.৯২ শতাংশ বাড়ানো হল। সোমবার দুপুরে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য নিয়ন্ত্রক এ সংস্থার কাছে গত জানুয়ারি মাসে দাম বাড়ানোর আবেদন করেছিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তখন সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল তারা। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এক মাসের মাথায় আপিল করে পিডিবি। এ আবেদন বিইআরসি বিবেচনায় নিয়ে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিল।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানোর আবেদন করবে বিতরণ কোম্পানিগুলো।
সরকারি-বেসরকারি সব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র থেকে প্রথমে বিদ্যুৎ কিনে নেয় পিডিবি। এরপর পিডিবি সেই বিদ্যুৎ পাইকারি মূল্যে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করে। পরে বিতরণ কোম্পানিগুলো খুচরা মূল্যে গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়।
গত ১২ বছরে বিদ্যুতের দাম ৯ বার বেড়েছে। এ সময় পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। সবশেষ দাম বাড়ানো হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যা ওই বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন পাইকারি পর্যায়ে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ বাড়ানো হয় দাম। একই সময়ে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে দেশে দুইদিন (শুক্রবার ও শনিবার) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকবে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কবে থেকে ছুটি কার্যকর হবে সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে।’
এছাড়া আজ মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা এবং ব্যাংকসমূহ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন