a
সংগৃহীত ছবি
এক লাফে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটার প্রতি ৯ টাকা। এ তথ্য জানায় বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে।
এখন থেকে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৫৩ টাকায়। আগে এর দাম ছিল ১৪৪ টাকা। এ ছাড়া পাঁচ লিটারের এক বোতল তেল পাওয়া যাবে ৭২৮ টাকায়। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১২৯ টাকা, পাম সুপার তেল ১১২ টাকায় লিটার প্রতি দরে বিক্রি হবে।
ভোজ্যতেল বিপণনকারী শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি টি কে গ্রুপের পরিচালক (ফাইন্যান্স অ্যান্ড অপারেশনস) মো. শফিউল আথহার তাসলিম গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য আমদানি মূল্য লিটারপ্রতি ১৩ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। তবে মন্ত্রণালয় ৯ টাকা বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন দেয়। নতুন এ দরে আগামী শনিবার থেকে তেল বিক্রি হবে।
ফাইল ছবি: হাসিনা, রেহেনা, জয় ও সালমান এফ রহমান
নতুন নতুন প্রকল্প বের করার তাগাদা দিতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা। নতুন প্রকল্প মানেই বড় অঙ্কের কমিশন। এসব সকল বিষয় জানতেন শেখ হাসিনা। তবে তিনি কখনো এসব বিষয়ে মাখা ঘামাননি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। সালমান এফ রহমানের দাবি, শেখ পরিবারের অতি লোভের কারণেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটা শোচনীয় হয়েছে। তাতে সব সময়ই সায় দিতেন সরকারের শীর্ষস্থানীয় কিছু ব্যক্তি। শেখ হাসিনাকে বোঝাতে গিয়ে অনেকে ছিটকে পড়েছেন। কারণ, তিনি সব সময়ই তাঁর নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতেন।
সালমান এফ রহমানের বরাত দিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এস আলমের মাধ্যমে দেশ থেকে পাচার হওয়া দেড় লাখ কোটি টাকার অর্ধেকই শেখ রেহানা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়কে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এসব অনিয়ম হয়। তবে এসব বিষয়ে কেউ কথা বলার সাহস পাননি। কেবল অর্থ পাচার নয়, দেশের ইস্টার্ন রিফাইনারি, চিনিকল হাতিয়ে নিলেও এস আলমের বিষয়ে সবাই নীরব থাকতেন।
সূত্রমতে, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংককে লুটপাটের জন্য বেছে নিয়েছিলেন সালমান এফ রহমান। তাই নিজের পছন্দের মতো চেয়ারম্যান এবং এমডি নিয়োগ দিতেন। পছন্দ না হলে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ব্যাংকে যোগদান করতে দিতেন না। কেউ যোগদান করে ফেললেও অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করতেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা এ প্রতিবেদককে বলেছেন, তাদের কাছে তথ্য এসেছে ‘সুকুক’ বন্ডের মাধ্যমে সালমান এফ রহমান তুলে নিয়েছেন ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এই বন্ড কেনার জন্য ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করেছেন তিনি। প্রথম দিকে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগে রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সার্কুলার জারি করানো হয়, যাতে ব্যাংকগুলো বন্ডে বিনিয়োগে বাধ্য হয়। তবে বারবার নিজের অসুস্থতার দোহাই দিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন সালমান এফ রহমান।
গত ১৩ আগস্ট রাজধানী ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: ৮ দফা দাবির বাস্তবায়ন নিয়ে আজ ১৩ই এপ্রিল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন কৃষি ডিপ্লোমা ছাত্র অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থীবৃন্দরা। আজকের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম দেয় এই শিক্ষার্থীরা। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবিগুলো মানা না হয় তাহলে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, কৃষিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরী করার জন্য বাংলাদেশে সরকারি ১৮ টি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সহ অসংখ্য বেসরকারি কৃষি কলেজ রয়েছে, যেখানে কৃষিতে ৪ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সে অধ্যয়ন করা হয়। সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে মিলিয়ে প্রায় অর্ধলক্ষ শিক্ষার্থী রয়েছে, বর্তমানে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ আর হতাশ বিরাজমান, কারন কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীগণ চরম বৈষম্যের স্বীকার।
কৃষি ডিপ্লোমা ছাত্র অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে সারা বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারি বেসরকারি কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ০৮ দফা দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামে। এই যৌক্তিক ০৮ দফা দাবি নিয়ে ২০০৮ সাল, ২০০৯ সাল, ২০১৬ সালে আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। কিন্তু বারংবার দাবি যৌক্তিক বলে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েও আজ পর্যন্ত কোন দাবি বাস্তবায়ন করা হয় নাই।
তাদের ০৮ দফা দাবির মধ্যে কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ অর্থাৎ পলিটেকনিক ছাত্র/ছাত্রীদের ডুয়েট এর ন্যায় একটি স্বতন্ত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা অন্যতম একটি দাবি। পৃথিবীর কোন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আন্দোলন করতে হয় রাজপথে নামতে এমন এমন কোন দেশ আছে আমাদের জানা নেই, প্রিয় সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।
কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীগন যদি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে দক্ষ জনসম্পদ হিসেবে তৈরি হয় তাহলে সমস্যা কোথায়?
কয়েক যুগ এই যৌক্তিক বিষয় নিয়ে কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদগন আন্দোলন সংগ্রাম করার পরেও যখন দাবিগুলোর বিষয়ে কোন এক অজানা কারনে, কোন একদল কুচক্রী মহলের ইন্ধনে বাস্তবায়ন না হওয়ার কারনে আমরা জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট টা কাজে লাগিযে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আবারো সোচ্চার হই। বর্তমান সরকার যাতে বিভ্রান্ত না হয় সেই জন্য আমরা প্রথমে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কয়েক মাস আগে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, কৃষি উপদেষ্টা, কৃষি সচিব, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক সহ বিভিন্ন জেলা প্রশাসক বরাবর আমাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দিই। তারা আমাদের এই দাবিগুলো কে অধিকার বলে অবিহিত করেন এবং যৌক্তিক দাবি বলে দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে সত্য যে আবারো কোন এক কুচক্রী মহলের ইন্ধনে যারা আমাদেরকে শিক্ষার একটি গন্ডিতে রেখে মজা পায়, যারা চায়না আমরা তাদের সমকক্ষ পর্যায়ে যাই ঐ সমস্ত মহলের কারণে আমাদের দাবিকে আবারো বাস্তবায়ন না করার কৌশল অবলম্বন করছে।
আমরা সেজন্য আবারো অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরিক্ষা বর্জন কর্মসূচি গ্রহণ করি এবং সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো তারা আমাদের দাবি আদায়ে পদক্ষেপ না নিয়ে বিভিন্ন ভাবে ছাত্রদের বদলি, ড্রপআউট সহ হুমকি ধমকি প্রদর্শন করছে যা ছাত্রদের সাথে অত্যন্ত সাংঘর্ষিক বিষয়।
আমরা আপনারা জাতির বিবেক সাংবাদিকদের মাধ্যমে তাদেরকে বলে দিতে চাই, জুলাই আন্দোলনকে ভূলে যাবেন না। বৈষম্যের বিরুদ্ধে কিভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে দাবি আদায় করতে হয় তা আমাদের জানা রয়েছে। আমরা এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। প্রয়োজনে আরো কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
আমাদের ০৮ দফা দাবির প্রতিটি দাবিই অত্যন্ত যৌক্তিক। আপনাদের অবগতির জন্য নিম্নে ০৮ দফা দাবি গুলো পেশ করা হলো।
১। ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের স্বতন্ত্র পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ দিতে হবে।
২। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে গেজেট করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং প্রতিবছর নিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
৩। কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক সংকট দূরীকরণ করতে হবে।
৪। কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে ডি.এ.ই এর অধিনস্থ থেকে বের করে সম্পূর্ণভাবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আলাদা প্রতিষ্ঠান করতে হবে।
৫। সকল কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহকারি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদটি শুধুমাত্র ডিপ্লোমা কৃষিবিদ দের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে।
৬। ডিপ্লোমা কৃষিবিদ দের বেসরকারী চাকুরীর ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের পে-স্কেলে বেতন দিতে হবে। ৭। কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের কে মাঠ সংযুক্তি ভাতা প্রদান করতে হবে (ইন্টার্নি)।
৮। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা-দের চাকুরীতে প্রবেশের পর ৬ মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
উপরোক্ত দাবিগুলো আদায় হলে কৃষিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরী হবে। কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার বৈষম্য গুলো দূর হবে। কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার বৈষম্য দূর হলে বাংলাদেশের কৃষি অনন্য উচ্চতায় পৌছাবে বলে বিশ্বাস করি।
তাদের এই যৌক্তিক দাবিগুলো লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরা এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান কৃষি ডিপ্লোমা ছাত্র অধিকার আন্দোলন।