a
ফাইল ছবি
ভারতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল পিস ইউনিভার্সিটি।
দেশটির সংবাদমাধ্যম সিটিটুডে’র এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এই বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে একাধিকবার ভুয়া বা ফেক ডিগ্রি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ অভিযানে এমন একটি ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি কেলেঙ্কারির উদঘাটন করে। সেইসঙ্গে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে।
সেসময় একটি হোটেলে আয়োজন করা হয় শতাধিক ব্যক্তিকে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানের। কিন্তু সেই হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। সেই অনুষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে আটক ও ভুয়া কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিগুলো অর্থের বিনিময়ে লোকদের কাছে বিক্রি করার।
স্থানীয় একটি হোটেলে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার শান্তি কাউন্সিল এবং ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল পিস ইউনিভার্সিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, বিধায়কও এই ডিগ্রির প্রার্থী ছিলেন। রাজ্যজুড়ে এবং তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মোট ১৪২ জন প্রার্থী এই ডিগ্রি অর্জনের জন্য জড়ো হয়েছিলেন। বেশিরভাগ প্রার্থী ডিগ্রির জন্য ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছিলেন।
এদিকে, গত ১০ এপ্রিল সম্মানসূচক ডক্টর অব মিউজিক পদকে ভূষিত হন বাংলাদেশের ফোক সম্রাজ্ঞী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে এই সম্মানসূচক পদক দেয় ভারতের গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি। কিন্তু মমতাজ বেগমের ডক্টরেট ডিগ্রি লাভের বিষয়টি নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট ডিগ্রি ও ডিগ্রিদাতা প্রতিষ্ঠান নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ।
কারণ, ভারতের সরকারি ওয়েবসাইটে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় মমতাজ বেগমের দাবি করা প্রদেশে এই নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভারতের দ্যা ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন (ইউজিসি) অ্যাক্ট- ১৯৫৬ এর সেকশন ২২(১) অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, অথবা ইউজিসি অ্যাক্ট-১৯৫৬ এর ৩ এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়, অথবা সংসদীয় কোনো আইনের আওতায় প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানই শুধু ডিগ্রি প্রদান করতে পারবে।
ইউজিসি অ্যাক্ট-১৯৫৬ এর সেকশন ২৩ এ বলা হয়েছে, উপরিউক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া আর কেউ ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না। গ্লোবাল হিউম্যান পিস বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের ইউজিসি অ্যাক্ট-১৯৫৬ অনুযায়ী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই নয় এবং এটি কোনো ডিগ্রিও প্রদান করতে পারে না।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিশ্বের প্রায় সব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ থাকলেও গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি নামে কোনো পেজ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সূত্র:বিডিপ্রতিদিন
ফাইল ছবি : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
বাংলাদেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ১৫০টি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দেশের ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩৫৮ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ৫৯৯ জন। শিক্ষক আছেন ১৫ হাজার ২৯৩ জন। এছাড়া ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ১৫০টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি জানান, ভূমি জরিপ শিক্ষার উন্নয়নকল্পে ‘বাংলাদেশ ভূমি জরিপ শিক্ষার উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মাধ্যমে দেশের চারটি জেলায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি জরিপ প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করা হচ্ছে। বিদ্যমান দুটি প্রতিষ্ঠান হলো কুমিল্লার রামমালার বাংলাদেশ সার্ভে ইনস্টিটিউট এবং রাজশাহীর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউট।
তিনি আরও বলেন, পটুয়াখালীর দশমিনার পটুয়াখালী ল্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউট এবং যশোরের মনিরামপুরের যশোর ল্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউটে নতুন করে ভূমি জরিপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মেক্সিকোর এক চিকিৎসক।
রোববার (৩ জানুয়ারি) মেক্সিকান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ৩২ বছর বয়সী ওই নারী চিকিৎসক ভ্যাকসিন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তার খিঁচুনি ও শ্বাসকষ্ট হয় এবং ত্বকে র্যাশ দেখা দেয়। পরে তাকে মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নুয়েভো লিওনের একটি সরকারি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
গত শুক্রবার (১ জানুয়ারি) রাতে মেক্সিকান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে তার ‘এনসেফালোমেলাইটিস’ হয়েছে। ভাইরাসের কারণে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের প্রদাহে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ওই চিকিৎসকের অ্যালার্জির সমস্যা ছিলো এবং ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর কারো শরীরে এমন প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার প্রমাণ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মান বায়োটেকনোলজি কোম্পানি বায়োএনটেক যৌথভাবে এ ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। বিষয়টি নিয়ে ফাইজার এবং বায়োএনটেক এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রসঙ্গত, মেক্সিকোতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ৫শ’ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে দেশটি।