a
ফাইল ছবি
বাখমুতের পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার। বুধবার টেলিগ্রামে এ দাবি করেন ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন।
তিনি বলেন, ওয়াগনারের সামরিক ইউনিটগুলো বাখমুতের পূর্ব অংশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বাখমুতকা নদীর পূর্বের সবকিছুই এখন ওয়াগনারের নিয়ন্ত্রণে। খবর রয়টার্স। এদিকে, ইউক্রেন দাবি করছে, তারা বাখমুতে রুশ বাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।অপরদিকে, ন্যাটোপ্রধান দাবি করেছেন, অচিরেই গোটা বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে চলে যাবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, ইউক্রেনের বাখমুত দখল করা বৃহত্তর দনবাস অঞ্চলের ভেতরে সম্মুখ অভিযান শুরু করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাখমুতকে ইউক্রেন বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক কেন্দ্র বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
গত কয়েক মাস ধরে বাখমুত দখলের জন্য লড়াই চালিয়ে আসছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। বাখমুতে রাশিয়ার বাহিনীর আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছে ওয়াগনার। শহরটি দখল করতে পারলে গত গ্রীষ্মের পর এটিই হবে মস্কোর বড় সাফল্য। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
চলমান ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের নির্বিচারে আক্রমনের পরেও জামায়াতের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন কয়েক হাজার মুসল্লি। ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে গত কয়েকদিনের উত্তেজনা-সংঘর্ষ চলছে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের। এরপরও পবিত্র আল আকসা মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজে ঢল নেমেছে ফিলিস্তিনিদের। ইসরায়েলি নানান হুমকি অত্যাচারের কথা মাথায় রেখেই আজ বৃহস্পতিবার ১৩ মে সেখানে জামায়াতের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন কয়েক হাজার মুসল্লি।
সংবাদ মাধ্যম আনাদুলো এজেন্সি সূত্রে জানা যায়, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের একের পর এক বিমান হামলা ও আল-আকসায় সন্ত্রাসী ইসরায়িলি বাহিনীর আক্রমণের কারনে ঈদুল ফিতরের সব আয়োজন বাতিল ঘোষণা করেছিলেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তের পরেও বৃহস্পতিবার ঈদের নামাজের জন্য মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদটিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে মুসল্লিদের পদচারণায়।
চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোতে আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। আজ ঈদের দিন সকালেও কিছু এলাকায় হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল।
সংগৃহীত ছবি
আমেরিকান সৈন্যসহ ন্যাটোবাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবাদের দাপট জোরালো হওয়ায় শত শত আফগান সেনা পালিয়ে যাচ্ছেন।
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের সাথে যুদ্ধে টিকতে না পেরে এক হাজারেরও বেশি আফগান সেনারা সীমান্ত অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, তাজিক কর্মকর্তারা জানান, আফগান প্রদেশ বাদাখশানের কয়েকটি জেলায় যুদ্ধের পর 'জান বাঁচানোর' তাগিদেই এসব আফগান সৈন্য তাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আফগানিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন তালেবানের দখলে, এবং প্রতিদিনই তারা নতুন নতুন জেলা সরকারি বাহিনীর হাত থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে।
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবাদের দাপট জোরালো হওয়ায় শত শত আফগান সৈন্য পালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গতকাল রবিবার একদিনে সর্বাধিক সেনা সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার ঘটনা ঘটলো। যুক্তরাষ্ট্র বাগরাম বিমানঘাঁটি খালি করে দেওয়ার দুই দিন পর এই ঘটনা ঘটলো।
সৈন্যদের এভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তাজিকিস্তান যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কতজন সৈন্য দেশটিতে পালিয়ে গেছেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি মার্কিন সমর্থিত আফগানিস্তান সরকারের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।
এদিকে আশংকা করা হচ্ছে, তালেবানের সাথে সরকারি বাহিনীর লড়াই যদি আরও তীব্র হয়, তাহলে শরণার্থীর ঢল সীমান্ত অতিক্রম করে আশেপাশের দেশে চলে যেতে পারে। আর মধ্য এশিয়ার দেশগুলো এখন থেকেই সেই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।