a
ফাইল ছবি
কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে। রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে ও ডিইউজে’র আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্ধ এ দাবি করেন।
গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিচার বিভাগকে মুক্তসাংবাদিকতার পক্ষে ভূমিকা নেয়া উচিত। তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালত আজ মুক্ত সাংবাদিকতার পক্ষে রায় দিচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সংবিধান বিরোধী আইন বন্ধে আদালতের ভূমিকা আমরা দেখতে পাইনি।
সাংবাদিকরা গ্রেফতার হচ্ছেন এবং তারা বছরের পর জেল আছেন অথচ জামিন দেয়া হচ্ছে না। দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন বলা হয়। কিন্তু কতটুকু স্বাধীন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশের বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারলে রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পেতেন।
সমাবেশে বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, এ সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ গণমাধ্যম। আর সত্য হচ্ছে প্রধান শত্রু । সত্য প্রকাশের জন্য অনেক সাংবাদিককে আটক করে রাখা হয়েছে। অনেক সাংবাদিক খুন হয়েছেন। মামলা-নির্যাতনে হয়রানি করা হচ্ছে।
রুহুল আমিন গাজীসহ সকল কারাবন্দি সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, মামলার মেরিট দেখে আর সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করে বিচার বিভাগ রায় দিলে এসব মামলা টিকতে পারে না।
এ প্রসঙ্গে শওকত মাহমুদ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে প্রেস ফ্রিডম নেই। অথচ ওই দেশের বিচারপতিরা সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অনেক মামলার আসামিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সাংবাদিক আটককে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার মূল লক্ষ্য তাদের অপশাসনকে দীর্ঘায়িত করা। তিনি মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালা কানুন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, কোনো সভ্যদেশে এমন ভয়ংকর আইন কল্পনাও করা যায় না।
আমেরিকার সংবিধানে প্রথম সংশোধনী আনা হয় মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষায়। এতে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে এমন কোনো আইন কখনো মার্কিন কংগ্রেসে পাস করবে না। এরাই হলো সভ্য। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের সংবিধানেও সংশোধনী এনে মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হোক।
বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন সরকারকে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ৭৫ পূর্বে সংবাদপত্র বন্ধ করে এবং নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে তৎকালীন সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেই রুহুল আমিন গাজীসহ কারাবন্দি সকল সাংবাদিকের মুক্তি সম্ভব।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, এ সরকার অবৈধ। এ সরকার কর্তৃত্ববাদী। টিকে থাকার জন্য এ সরকার সব কিছু করতে পারে।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম অবিলম্বে কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি এবং শওকত মাহমুদসহ অন্যদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, রুহুল আমিন গাজী কিডনি সমস্যাসহ অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত। অথচ তার চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই।
ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালীন নোমানী, রফিকুল ইসলাম আজাদ সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, বিএফইউজের সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুল বাশার, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত ও রাশেদুল হক, বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব শহীদুল্লাহ মিয়াজী, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য একেএম মহসীন, ডিইউজে নেতা শাহজাহান সাজু, দেওয়ান মাসুদা, সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ আলম, দপ্তর সম্পাদক তোফায়েল হোসেন, নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ডিইউজের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ আলী আসফার, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য জেসমিন জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ও কোষাধ্যক্ষ গাজী আনোয়ারুল হক।
ফাইল ছবি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীতে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইনস্টাগ্রাম। বিশেষ করে সেলিব্রেটিদের এই মাধ্যমটি বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়, মাঝে মাঝেই শোনা যায় কারো না কারো আইডি হ্যাক হয়ে গিয়েছে বা ভুলবশত নিজের একাউন্ট এর সব ছবি ডিলেট করে দিয়েছে। সে কথা চিন্তা করেই বিশেষ এক সুবিধা নিয়ে আসলো ইনস্টগ্রাম। ইনস্টাগ্রাম তাদের অ্যাপে এইবার নিয়ে আসলো নতুন একটা ফিচার যার মাধ্যমে সহজেই মুছে ফেলা ছবি আবার ফিরিয়ে আনা যাবে।
বিশেষ করে হ্যাক হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট এর সকল ছবি হ্যাকার ডিলিট করে দেয় কিন্তু যখন অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করা হয় তখন সেই পুরনো ছবি ফিরে পাওয়া যায় না।
মাঝে মাঝে আমরা নিজেরাও ভুল করে আমাদের একাউন্টের ছবি ডিলিট করে থাকি। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই ইনস্টাগ্রাম এই নতুন ফিচার যুক্ত করেছেন। নতুন সংস্করণ থেকে অ্যাকাউন্ট করলে রিসেন্টলি ডিলিটেড’ নামের নতুন একটি ফোল্ডারে জমা হবে ডিলিট করা ছবি সেখান থেকেই চিরতরে মুছে ফেলা যাবে অথবা পুনরুদ্ধার (রিস্টোর) করা যাবে।
যা সাধারণত ডেস্কটপ,ল্যাপটপের রিসাইকেল বিনের মতো কাজ করবে। কিন্তু এই সুবিধা নিতে হলে অবশ্যই পাসওয়ার্ড লাগবে।
ছবি, ভিডিও, রিল, আইজিটিভি ভিডিও থেকে স্টোরিজ পর্যন্ত সব ধরনের কাজে ব্যবহার করা যাবে এই ফিচার। এই ফাইল গুলো ৩০ দিন পর্যন্ত রিসেন্টলি ডিলিটেড নামের ফোল্ডারে জমা থাকবে।
এই ফিচার ব্যাবহার করার জন্য যেতে হবে হবে সেটিংস > অ্যাকাউন্ট > রিসেন্টলি ডিলিটেড অপশনে।
অনেক চিন্তাভাবনার পর অবশেষে এই সুবিধাটি গ্রাহকদের দেয়া হচ্ছে। ইনস্টাগ্রাম এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন ‘আমরা জানি, হ্যাকার অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস পেয়ে গেলে কখনো কখনো অ্যাকাউন্টের ছবি সহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট ডিলিট করে ফেলেন। তাই যেন সবার প্রিয় মূহুর্তের ছবিগুলো যেন হারিয়ে না যায় সে পরিকল্পনা থেকেই এই ফিচার যুক্ত করা।
ফাইল ছবি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে- এমন তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সরকার এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া নিশ্চিত করার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ সংক্রান্ত কোনো রকমের গুজবে কান না দিতে এবং আগাম তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের আবার সভা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।