a
ফাইল ছবি । শফিকুর রেজা বিশ্বাস
প্রশাসন ক্যাডারের সুদক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বন্দর) মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাসকে ময়মনসিংহ বিভাগের পঞ্চম বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি পেশাগত জীবনে সৎ, দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। বর্তমান বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান এনডিসিকে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে বদলী করায় তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। গত বছরের ২ জুন তিনি ময়মনসিংহে যোগদান করেছিলেন মোঃ কামরুল হাসান।
মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস ইতিপূর্বে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম-সচিব, বগুড়া জেলার জেলা প্রশাসক, ফরিদপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, বাজিতপুর ও সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নেত্রকোণা ও হবিগঞ্জ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাঁর উপর অর্পিত রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপ-সচিব শাহীন আরা বেগম স্বাক্ষরিত ৩০ মে’২০২১ এক প্রজ্ঞাপণে এই নিয়োগ দেয়া হয়।
মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ হারিছ উদ্দিন বিশ্বাস তার পিতা। তার সহধর্মিনী আরিফা আক্তার ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। তারা ২ পূত্র ও ১ কন্যা সন্তানের পিতা-মাতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিভাগে কৃতিত্বের সাথে অনার্স এবং মাস্টার্স পাস করেন মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস। পরে ১৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৪ সালে প্রশাসন ক্যাডারে বরিশাল জেলায় তিনি চাকরি জীবন শুরু করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে নানা প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন।
প্রশাসন ক্যাডারের সুদক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাসকে ময়মনসিংহ বিভাগের পঞ্চম বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সেইসাথে নয়া কমিশনারকে আন্তরিকভাবে সহযোগীতারও আশ্বাস দিয়েছেন বিবৃতিদাতাগণ।
অভিনন্দন বিবৃতিতাদাগণ হলেন- ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি মোঃ আমিনুল হক শামীম সিআইপি, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন কালাম, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স এসোসিয়েশন ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক অনার্স এসোসিয়েশন ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ হরিশংকর দাশ, জেলা বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এইচ. এ গোলান্দাজ তারা, গণকণল্যাণ পরিষদ (জিকেপি) নির্বাহী পরিচালক, শম্ভুগঞ্জ জিকেপি অনার্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ লায়ন ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এফ.এম. এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল গ্রামের বাউয়ালাবন্দে নয়নাভিরাম সূর্যমুখী ফুল চাষ কৃষিতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। নতুন মাত্রা কৃষকদের সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী করছে ও ভবিষ্যতে অপার সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। কৃষিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ হবে লাভজনক। এই সূর্যমুখী ফুল দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভীড় জমাচ্ছে সিংগারবিল বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাবুল এলাহীর বাউয়ালাবন্দের প্রায় সাত বিঘা জমিতে।
এ অঞ্চলের মাটির গুনাগুন আবহাওয়া ও জলবায়ু সূর্যমুখী ফুল চাষাবাদের জন্য উপযোগী বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষিবিদ। সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য সাধারন তেলের চেয়ে আলাদা। কোলোষ্ঠোরেলমুক্ত প্রচুর পরিমাণ প্রাণ শক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল মানুষের শরীরের দূর্বলতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়। রান্নার জন্য সয়াবিন তেলের চেয়ে সূর্যমুখী তেল দশ গুণ বেশি পুষ্টি সমৃদ্ব হওয়ায় শরীরের হাড় সুস্থ ও মজবুত করে। সূর্যমুখী তেলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের মানুষিক চাপ দূর করে। এই তেল মানব দেহের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে বলে সূত্রে জানা যায়।
সূর্যমুখী ফুলবীজ বপনের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যে এই ফসল তোলা যায়। হাইসান ৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে বাবুল এলাহীর ৭ বিঘা জমিতে। তিনি জানান ফুল ফোটার পর অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে এই হলুদের সমারোহ নয়নাভিরাম সৌর্ন্দয্য দেখার জন্য। বিজয়নগর কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় ও তাদের সহযোগিতায় এই প্রথম আমি সূর্যমুখী ফুল চাস করলাম। এতে আমার তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে। কৃষি অফিস বীজ সার ও অন্যান্য খরচ বহন করেছে। আমি আশা করছি অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষ লাভজনক হবে।কিন্তু বর্তমানে টিয়াপাখি ফুলের বীজ নষ্ট করছে।
এ ব্যাপারে সিংগারবিল ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা হাদিউল ইসলাম সৃজনের সাথে কথা বলে জানা যায় বাবুল এলাহীকে কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগীতা করা হয়। আগামীতে আমরা আরও বেশি কৃষক সমন্নয় করে সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়াতে চাই। কিন্তু এই সূর্যমুখী ফুল বীজ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তেল ভাঙানোর তেমন মিলার নাই। সরিষার তেল ভাঙানোর মেশিন দিয়েই আপাতত তেল ভাঙানো হচ্ছে।
সাইবেরিয়ার শহর বারনাউলের ভিটাস নামের বাঘ গান গায়
বাঘ গান গায় শুনে অবাক হচ্ছেন অনেকেই। শুনতে অবাক হলেও ঘটনা সত্য। সাইবেরিয়ার শহর বারনাউলের একটি সার্কাসে এই বাঘকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ।
আট মাস বয়সী সেই বাঘ শাবককে এখন পরররযন্ত গর্জন করতে শোনেনি কেউ। তবে সেটির গলা থেকে মধুর সুর শুনেছেন অনেকেই। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাঘটি ছোট থেকেই এইভাবে ডাকে। এখন সেই ডাক আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে।
ভিটাস নামের সেই বাঘটিকে দেখতে রোজ দলে দলে মানুষ আসছেন চিড়িয়াখানায়। বারনাউলের দ্য লেসন্যায়া স্যাজকা চিড়িয়াখানায় এখন প্রধান আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিটাস। চিড়িয়াখানার অনেকে বলছেন, শাবকটি তার মাকে ডাকার সময় অদ্ভুত সুর তোলে। সেই ডাক অনেকটা পাখির কলতানের মতো। আবার কিছুটা বন্য বাঁদরের ডাকের মতোও বটে! তবে কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, সেই ডাকে কোনও যন্ত্রণা নেই। বরং আহ্লাদে আটখানা হয়েই শাবকটি ওরকম ডাক ছাড়ে।
সেই শাবকটির ডাক রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, শাবকটির গলার ভোকাল কর্ডের গঠন ঠিকঠাক হয়নি। তাই গর্জনে সমস্যা হচ্ছে। ২০২০ সালের জুন মাসে জন্মেছিল ভিটাস। সে শেরখান ও বাঘীরার চতুর্থ সন্তান।