a সিগারেটের সর্বনিম্ন খূচরা মূল্য ৯ টাকা করার দাবি তরুণদের
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সিগারেটের সর্বনিম্ন খূচরা মূল্য ৯ টাকা করার দাবি তরুণদের


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ০২:৪৮
সিগারেটের সর্বনিম্ন খূচরা মূল্য ৯ টাকা করার দাবি তরুণদের

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

সাইফুল আলম, ঢাকা:   শিশু-কিশোর ও তরুণদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে প্রতি শলাকার সিগারেটের সর্বনিম্ন খূচরা মূল্য ৯ টাকা করার দাবি জানিয়েছে তরুণরা। তারা জানায়, দাবি অনুযায়ী দাম বাড়ালে তরুণেরা সিগারেট সেবনে নিরুৎসাহিত হবে; দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৯ লক্ষ তরুণের তামাকজনিত অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং সরকারের বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা যা আগের বছরের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি।

বৃহস্পতিবার সকালে (২০ মার্চ’২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানায় তারা। আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং-এর সমন্বয়ক মারজানা মুনতাহার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির অন্য সদস্য তাসনিম হাসান আবির।

তরুণরা জানায়, নিম্ন এবং মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম কাছাকাছি হওয়ায় ভোক্তারা যে কোন একটি স্তরের সিগারেট বেছে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে দাম বাড়ালে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠী এবং তরুণ প্রজন্ম ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে।

তাই, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে প্রতি ১০ শলাকার নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে খুচরা মূল্য ৯০ টাকা, উচ্চ স্তরে খুচরা মূল্য ১৪০ টাকা, প্রিমিয়াম স্তরের খূচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণ এবং বিড়ির প্রতি শলাকার দাম অন্তত ১ টাকা করার দাবি জানায় তরুণরা।

সুপারিশ অনুযায়ী তামাক পণ্যের বিদ্যমান কর কাঠামো সংস্কার করা গেলে সিগারেটের ব্যবহার ১৫.১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৩.৩ শতাংশে নেমে আসবে। প্রায় ২৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়ষ্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকবে এবং প্রায় ১৮ লক্ষ কিশোর-তরুণকে নতুন করে সিগারেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবে। এবং সরকারের বাড়তি রাজস্ব আয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। 

সংবাদ সম্মেলনে আলোচক হিসেবে উপস্তিত ছিলেন, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আবদুল্লাহ নাদভী, ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। 

এ সময় রাশেদ রাব্বি বলেন, আগামী প্রজন্মকে তামাকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে এবং নতুন তামাকসেবী সংখ্যা কমাতে হলে কর ব্যবস্থাকে সহজ করে মূল্যস্ফীতি ও আয়বৃদ্ধির তুলনায় বেশি হারে তামাকপণ্যে করারোপ করতে হবে। 

ইকবাল মাসুদ জানান, বিগত কয়েক বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যে হারে বেড়েছে, সেই অনুপাতে বাড়েনি তামাকপণ্যের দাম ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং তরুণদের কাছে সহজলভ্য হয়েছে তামাকপণ্য। এমনকি, বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধির হার পাশ্ববর্তী দেশেরগুলোর চাইতে তুলনামূলক অনেক কম। তাই তামাক কর বাড়াতে সক্ষম হলে দীর্ঘমেয়াদে ১৭ লক্ষ ১৩ হাজার অকাল মৃত্যুর রোধ করা সম্ভব হবে। 

বাংলাদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম তামাক ব্যবহারকারি দেশ। প্রতিবছর তামাকপণ্য বিক্রি থেকে যে রাজস্ব আসে, তা তামাকজনিত স্বাস্থ্য ব্যায়ের মাত্র ৭৫ শতাংশ। প্রস্তাবনা অনুসারে কর বাড়ালে সিগারেট বিক্রি থেকে রাজস্ব আসতে পারে ৬৮ হাজার কোটি টাকা যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪৩ শতাংশ বেশি বলে জানান আবদুল্লাহ নাদভী।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আয়ে করমুক্ত হবেন যারা


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ০৪ জুন, ২০২১, ০৯:৫৬
আয়ে করমুক্ত হবেন যারা

ফাইল ছবি

 

এবারের বাজেটে  আগের মতোই থাকছে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা। অর্থাৎ বার্ষিক আয় যাদের ৩ লাখ টাকার কম তাদের কোনো কর দিতে হবে না। আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের সময় এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
 
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। নারী করদাতা, সিনিয়র করদাতা, প্রতিবন্ধী করদাতা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বেশি। তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য বিদ্যমান করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।
 
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য বিদম্যান এই করহার তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্য সামাজিক আত্তীকরণের লক্ষ্যে বিশেষ বিধান চালুর পাশাপাশি তাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি। বর্তমান সরকার ব্যবসা সহকীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির ব্যবসায়ী করদাতাদের কর দায় লাঘবে সরকার সদা তৎপর। এ লক্ষ্যে ব্যক্তি করদাতাদের ব্যবসায়িক টার্নওভার করহার কমিয়ে ০.৫ শতাংশের পরিবর্তে ০.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

প্রসঙ্গত, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছিল। চার বছর করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকাই ছিল। সাধারণত চার-পাঁচ বছর পরপর জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এই সীমা বাড়ানো হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

অবিক্রিত হাজার হাজার গরু ব্যবসায়ীরা ফিরিয়ে নিয়েছে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই, ২০২১, ১০:৩৪
অবিক্রিত হাজার হাজার গরু ব্যবসায়ীরা ফিরিয়ে নিয়েছে

ফাইল ছবি

লাভের আশায় খামারি ও ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার পশু বিক্রির জন্য ঢাকার হাটে নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশিত দামে বিক্রি না হওয়ায় খামারি ও ব্যবসায়ীরা তাদের এসব পশু দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন। 

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পথ ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পশু নিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গের খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো থেকে অসংখ্য খামারি ও ব্যবসায়ীরা কয়েক হাজার পশু বিক্রির জন্য নিয়েছিলেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাটে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে মানুষের কাছে অর্থের সংকট থাকায় অনেকেই এবার কোরবানি দেননি। এজন্য গরুর চাহিদা কম ছিল। ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে নেওয়া অর্ধেক গরুও বিক্রি হয়নি। 

বুধবার ঈদের দিনেও অসংখ্য পশুবাহী ট্রাককে উত্তরবঙ্গে যেতে দেখা যায়। খামারি ও ব্যবসায়ীদের চোখে-মুখের দিকে তাকালে বোঝা যায়, কতটা হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

বঙ্গবন্ধু সেতুর গোলচত্বর এলাকায় কথা হয় একাধিক খামারি ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তারা বলেন, এবার গরুতে লাভ হয়নি, ক্ষতি হয়েছে। হাটে ক্রেতা ও দাম কম থাকায় খুব বেশি পশু হয়নি। লকডাউনের কারণে ক্রেতাদের চাহিদা থাকলেও পকেটে টাকার অভাবে তারাও পশু কিনতে পারেননি। 

টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, গতকাল থেকেই পশুবাহী ট্রাক ফিরছে উত্তরবঙ্গে। ঈদের দিনেও সড়কে পশুবাহী ট্রাকের চাপ রয়েছে। বেশিরভাগ গাড়িগুলোই গরুবোঝাই রয়েছে।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অর্থনীতি