a
ছবি সংগৃহীত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশেষজ্ঞ দলের এক প্রতিবেদনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, নির্বাচনকালীন সময়ে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সীমাবদ্ধ ছিল। গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।
ইইউ’র এমন দাবিকে বিএনপির আরেকটি ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, কোনো হামলা-মামলা আমাদের পুলিশ বাহিনী, পলিটিক্যাল বাহিনী করেনি। তারাই (বিএনপি) করেছে। তারা করে তারাই যদি অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা তরে তাহলে আমরা এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা মনে করি এগুলো সত্যের অপলাপ। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আরেকটি ষড়যন্ত্রের একটা নতুন ক্ষেত্র তৈরির প্রচেষ্টা নিচ্ছেন।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে পুলিশ স্টাফ কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে নিরাপত্তা বাহিনী নিরপেক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করেছে। গত নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী, বড় বড় নেতা এই নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন। কাজেই আমরা সুনিশ্চিত করে বলতে পারি এই নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বা কোনো ধরনের সাপোর্ট কেউ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি না, দেখিনি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছিল। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তবে তারা নির্বাচনের পরে মনগড়া তথ্য প্রচার করে বিদেশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। অথচ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি সাংবাদিকরা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বলেছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচনের সুষ্ঠু হয়েছে। আমেরিকারও দুই একটি সংগঠন বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: “প্রতিবাদে প্রতিরোধে নারীর পথচলা” শীর্ষক নারী সংগঠনসমূহের ৭ম জাতীয় সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থাপন করার জন্য ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিতে আজ ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২/১৬ নভেম্বর ২০২৫ ইং এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নারীপক্ষ।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা নারীদের নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। তারা বলেন, সম্মেলনে ৩টি প্ল্যানারি অধিবেশন এবং ৮টি বিষয়ে মোট ১৬টি অর্থাৎ ১ টি বিষয়ে ২ টি করে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় । কর্মশালার আলোচ্য বিষয়সমূহ ছিল-
১. নারী আন্দোলনের স্বতন্ত্র ধারা বিনির্মাণ ও আন্দোলনকে শক্তিশালী করার উপায়
২. নারী আন্দোলনের জন্য সম্পদ আহরণ ও সম্ভাব্য উৎস
৩. বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠা
৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণের সব পর্যায়ে নারীর স্বাধীন ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর
৫. তৃণমূল নারী সংগঠনসমূহের সমস্যা বিশ্লেষণ ও সমাধানের কৌশল
৬. আন্তঃপ্রজন্মের কথোপকথন: অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ ও পারস্পরিক প্রত্যাশা
৭. নারী অধিকারভিত্তিক সংগঠন ও নারী রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা
৮. বিভিন্ন অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক স্থাপনের কৌশল।
প্ল্যানারি অধিবেশনগুলোতে আদিবাসী নারী নেত্রী, শ্রমিক আন্দোলন, যৌনকর্মীদের অধিকার আন্দোলন এবং জুলাই আন্দোলনের নারী শিক্ষার্থী তাদের সংগ্রামের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বক্তা হিসেবে বিভিন্ন প্ল্যানারীতে অনেকে উপস্থিত ছিলেন। উল্ল্যেখ্য যে, প্রথম প্ল্যানারীতে নারী আন্দোলনের স্বতন্ত্র ধারা বিনির্মাণ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন শেফালিকা ত্রিপুরা, চেয়ারম্যান (অস্থায়ী), খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-
• বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আপিল বিভাগ।
• রাশেদা কে. চৌধূরী, উপদেষ্টা, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
• খুশি কবির, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি।
সম্মেলনে গাজা এবং বাংলাদেশের আদিবাসী মানুষের প্রতি সংহতি জানানো হয়। এছাড়া এই সম্মেলনে নারীপক্ষ'র প্রয়াত সদস্য ও নারী আন্দোলনের নেত্রী নাসরিন হক স্মারক বক্তৃতা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয় ।
সম্মেলনের বিভিন্ন কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ সমূহের কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো-
সকল ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ও নারীর স্বাধীন ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর প্রতিষ্ঠায় সংগঠিত হতে হবে, আওয়াজ তুলতে হবে, যথাযথ জায়গায় দাবী উপস্থাপন এবং দেন-দরবার করতে হবে
নারী আন্দোলনের স্বতন্ত্র ধারা বিণির্মানে সর্বস্তরে সহায়ক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে এবং তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
• নারী আন্দোলনের জন্য সম্পদ আহরণ ও সম্ভাব্য উৎস যেমন: মানবসম্পদ, নেটওয়ার্ক, বিভিন্ন জোট, স্থানীয় সম্পদ, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ইত্যাদি চিহ্নিতকরণে ও অর্জনে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে ।
• বৈচিত্রের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন অধিকার আন্দোলনের সাথে কার্যকর সম্পর্ক স্থাপনের কৌশল হিসেবে বিভিন্ন উদ্যোগের, যেমন- শ্রম আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, যৌনকর্মীদের আন্দোলন এর সাথে নারী আন্দোলনকে সংযুক্ত করতে হবে ।
• আন্তঃপ্রজন্মের মধ্যে যোগসূত্রতা স্থাপনের মাধ্যমে নারী আন্দোলনের ধারাকে চলমান রাখতে হবে। • তৃণমূল নারী সংগঠনগুলোর নিজেদের আত্মমূল্যায়নের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে উত্তরণের পদক্ষেপ নিতে হবে।
• নারী আন্দোলনের ইস্যুকে রাজনৈতিক দলের এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
মনোযোগ দিয়ে শোনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আমাদের সম্মেলনের বিষয়টি আপনাদের পত্রিকায় প্রকাশ করবেন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে আমার কথা শেষ করছি।
সংগৃহিত ছবি
বার্সেলোনা সাথে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে গতকাল বিদায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন লিওনেল মেসি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের অধিকাংশ ফুটবলার। সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রাণভোমরাকে বিদায়ের প্রায় ৯ ঘন্টা পরেই মাঠে নেমে পড়েছে বার্সার ফুটবলাররা। মেসির বিদায়ের দিনেই রোলানদোর জুভেন্টাসকে ৩ঃ০ গোলে হারিয়ে গাম্পার ট্রফি জিতল বার্সেলোনা।দলের হয়ে গোল করেছে সদ্য দলে যোগ দেওয়া মেমফিস ডিপাই ও ড্যানিশ তারকা মার্টিন ব্রাথওয়েট এবং বার্সা ওয়ান্ডারবয় রিকি পুইগ।
ম্যাচের শুরু থেকেই জুভেন্টাসের উপর দাফট দেখাতে থাকে বার্সেলোনা। যার ফলে শুরুতেই এগিয়ে যায় রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা। ম্যাচের তিন মিনিটে জুভেন্টাস ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল করেন মেমফিস ডিপাই। ম্যাচে পিছিয়ে পরে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। ১৪ মিনিটে রোনালদোর ডান পায়ের জোরালো শট জায়গায় দাঁড়িয়ে ফিরিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক নেতো। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ডি বক্সের বাম পাশ থেকে আলভারো মোরাতার জোরাোল শট দুই হাত দিয়ে রক্ষা করে ফিরিয়ে দেন কিপর নেতো।
৪৩ মিনিটে আবারও নেতোর বিশ্বস্ত হাত জুভেন্টাসকে গোল থেকে বঞ্চিত করে, মোরাতার নেওয়া মাটি ঘেষা শট মাটিতে শুয়ে রক্ষা করেন নেতো। বিরতিতে যাবার ঠিক আগ মুহুর্তে আরো একবার দারুণ সেইভ দেন নেতো, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ফ্রিকিক থেকেও গোল পায়নি জুভেন্টাস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ৫ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারত জুভেন্টাস কিন্তু আবারও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সেই নেতো। ডি বক্সের বাইরে থেকে চিয়েসার নেওয়া শট ঝাপিয়ে পরে হাতের স্পর্শে বাইরে ঠেলে দেন। ৫৭ মিনিটে বার্সেলোনাকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন মার্টিন ব্রাথওয়েট। কর্ণার থেকে আসা বল দূর থেকে দোড়ে এসে জোরালো হেডে বল জলে জড়ান এই ড্যানিশ ফুটবলার।
নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষে যোগ করা দুই মিনিটে মাথায় বার্সেলোনাকে তৃতীয় গোল এনে দেন রিকি পুইগ। সেই সাথে টানা নবম বারের মত গাম্পার ট্রফি জয় করে বার্সেলোনা।
উল্লেখ্য বার্সেলোনা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাবেক খেলোয়াড় এবং সভাপতি জুয়ান গাম্পেরের নামানুসারে মৌসুমের শুরুতে এই ম্যাচের আয়োজন করে বার্সেলোনা। এবার এই ট্রফির ৫৬তম সংস্করণ আয়োজিত হয়েছে। এদিকে আগামী ১৬ আগষ্ট লা লিগা মিশনে নামছে বার্সেলোনা, প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে রিয়াল সোসিয়াদাদ।