a
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা /ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংক্রমণের এই দুর্যোগ সময়ে দেশব্যাপী সাংবাদিকদের সহযোগিতার জন্য ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’কে ১০ কোটি টাকা প্রদান করেছেন। আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এ বার্তায় এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংক্রমণের এই দুঃসময়ে দেশব্যাপী সাংবাদিকদের সহযোগিতার জন্য ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’কে ১০ কোটি টাকা প্রদান করেন।
ফাইল ছবি
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতুর পালা বদল করে আজ বর্ষার প্রথম দিন। আষাঢ়ের শুরু। বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষার আনুষ্ঠানিক আগমনের দিন। পত্র-পল্লবে, পুষ্প-বৃক্ষে, নতুন প্রাণের সঞ্চার করে, নতুন সুরের বার্তা আর সবুজের সমারোহ নিয়ে এসেছে বর্ষা।
এই সময়ে বাঙালি মননে সবচেয়ে বেশি রোমান্টিকতা-আধ্যাত্মিকতার সুর বাজে। গ্রীষ্মের রুদ্র প্রকৃতির গ্লানি আর জরাকে ধুয়ে মুছে প্রশান্তি, স্নিগ্ধতা আর সবুজে ভরে তোলে বর্ষা। শত অনাকাঙ্খিত ঘটনার ভীড়েও এনে দেয় এক চিলতে বিশুদ্ধ সুখ।
বর্ষার রিমঝিম শব্দ বাঙালি মনে উৎসবের ঝঙ্কার তোলে। প্রত্যাশা, মহামারীর এই কঠিন সময় কালো মেঘ ছাপিয়ে ভেসে যাক বর্ষায়। গ্রীষ্মের খরতাপের শুষ্ক প্রকৃতিকেই শুধু নয়, বর্ষা ভিজিয়ে দেয় মনকেও। কখনো অন্ধকার করা কালো মেঘ, কখনো ঝিরিঝিরি আবার কখনো বা মুষলধারে বৃষ্টি।
বর্ষায় প্রেম জাগে মনে, হৃদয় নেচে ওঠে ভালোবাসার টানে। গাছে গাছে ফোটে কদম-বকুল, সৌন্দর্য ছড়ায় বাংলার গ্রাম, নগর ও শহরে। ঘাসফুল, সন্ধ্যা মালতিও কম নয়। গানে-কবিতায় বাংলার কবিরা করেছেন বর্ষা-বন্দনা। গ্রীষ্মের খরতাপে অতিষ্ঠ প্রাণকে শীতলতা দানে জুড়ি নেই বর্ষাকালের।
প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষের কাছে তাই বর্ষা নিয়ে আসে অভিনব ব্যঞ্জনা আর কবিদের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই। তাই ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ দিয়ে প্রণয় নিবেদন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। নজরুলের কাছে বর্ষাকে মনে হয়েছে ‘বাদলের পরী’।
প্রস্ফুটন মৌসুমে ছোট ছোট ডালের আগায় একক কলি আসে গোল হয়ে। বর্ষাকালেই মূলত নানা ফুল ফোটে। বর্ণে গন্ধে সৌন্দর্যে কদম এ দেশের রূপসী তরুর অন্যতম হলেও অবহেলা-অনাদরে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এ গাছ।
বর্ষার ঘন কালো মেঘ আর বৃষ্টি ভিজিয়ে দিক মহামারীকাল। প্রকৃতির সাথে সাথে উচ্ছ্বসিত হোক মানুষের হৃদয়। মনে লাগুক সজীবতার ছোঁয়া। আর বর্ষাবরণের উৎসবগুলো তোলা থাক আগামীর জন্য।
এ দিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারো কোথাও হচ্ছে না বর্ষাবরণ উৎসবের কোনো আনুষ্ঠানিকতা। তবে এ নিয়ে সরকারি- বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে থাকছে নানা আয়োজন।
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের মিসাইল হামলায় মাত্র পাঁচ মিনিটে ইসরায়েল ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যদি প্রতিরোধ আন্দোলনের নতুন করে সংঘাত শুরু হয় তাহলে ফিলিস্তিনিদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কয়েক মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে।
রবিবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় ইসমাইল হানিয়া এসব কথা বলেন। এসময় ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কঠোর নিন্দা করেন।
হামাস নেতা বলেন, “৭৪ বছর আগে থেকেই লেবানন সম্পূর্ণভাবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। এখন আমরা আল-আকসা মসজিদের মুক্তি আসন্ন মনে করি কারণ আমরা এখন বিজয় এবং উন্নয়নের যুগে অবস্থান করছি। এই উন্নয়ন এবং বিজয়ের বিষয়টি আমাদের জনগণ নির্ধারণ করবে।”
তিনি বলেন, গাজা উপত্যকা ইসরায়েলের জল, স্থল এবং আকাশ পথের অবরোধের আওতায় রয়েছে। কিন্তু তারপরও অপারেশন আল-কুদস সোর্ড নামে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে গাজাবাসী। যার অর্থ হচ্ছে, ইসরাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে গাজা। অপারেশন আল-কুদস সোর্ডে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড ব্যাপকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
হামাস নেতা বলেন, ভবিষ্যতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফিলিস্তিনের ১৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলকে পাঁচ মিনিটেই ধ্বংস করে ফেলবে।
তিনি আরও বলেন, দখলদার ইসরায়েল সরকার এবং অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের আল-আকসা ও আল-কুদসে কোথাও ঠাঁই নেই। সূত্র: প্রেসটিভি/বিডি প্রতিদিন