a বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সময় কেন প্রতিবাদ হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সময় কেন প্রতিবাদ হয়নি: প্রধানমন্ত্রী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১৬ আগষ্ট, ২০২২, ০৯:০৭
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সময় কেন প্রতিবাদ হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার সময় কেন প্রতিবাদ হয়নি সে প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতির পিতা তো অনেককে ফোনও করেছিল কোথায় ছিলেন তারা? ১৫ আগস্ট ৩২ নম্বর ওই ধানমন্ডিতে লাশগুলো তো পড়ে ছিল। একটি মানুষ ছিল না সাহস করে এগিয়ে আসার? একটি মানুষ ছিল না প্রতিবাদ করার? কেন করতে পারেনি। এতো বড় সংগঠন এতো লোক কেউ তো একটা কথা বলার সাহসও পায়নি। কত স্লোগান। বঙ্গবন্ধু তুমি আছো, যেখানে আমরা আছি সেখানে, অমুক তমুক অনেক স্লোগান, ছিল কোথায় সেই মানুষগুলো।

আজ মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাইকে হারিয়ে বেঁচে আছি। এ বাঁচা কত যন্ত্রণার বাঁচা যারা বাঁচে তারাই জানে। আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিল। যদি ৯৬ সালে সরকারে আসতে না পারতাম। যদি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করতে না পারতাম এই হত্যার বিচার হতো না। বার বার বাধা এসেছে। এমন কি বিচারের কথা বলতে যেয়ে বাধা পেয়েছি। বিচারের কথা বললে নাকি কোনো দিন ক্ষমতায় যেতে পারবো না। আমি বাধা মানি নাই দেশে-বিদেশে জনমত সৃষ্টি করেছি। সর্বপ্রথম এই হত্যার প্রতিবাদ করে বক্তব্য দিয়েছে আমার বোন রেহানা।’

তিনি বলেন, ‘কত অপপ্রচার চালানো হয়েছে আমার বাবা, মা-ভাইয়ের নামে। কত অপপ্রচার, কোথায় সেগুলো? কত রকমের মিথ্যা অপপ্রচার দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও যখন দেখে বাংলাদেশের মানুষের মন থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলা যায়নি। তখন হত্যা করা হয় জাতির পিতাকে। বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলা হলো।’

প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, একটি মানুষ ছিল না সাহস করে এগিয়ে আসার? একটি মানুষ ছিল না প্রতিবাদ করার। কেন করতে পারেনি? এতো বড় সংগঠন, এতো লোক কেউ তো একটা কথা বলার সাহসও পায়নি।

১৫ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট ওই লাশ পড়েছিল। ১৬ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে গেল টুঙ্গিপাড়ায়। কারণ দুর্গম পথ যেতে ২২ থেকে ২৪ ঘণ্টা লাগবে তাই কেউ যেতে পারবে না। তাই সেখানে নিয়ে মা-বাবার কবরের পাশে মাটি দিয়ে আসে। সেখানকার মৌলভী সাহেব আপত্তি করেছিলেন যে গোসল করাবো, কাফন দাফন করাবো। জাতির পিতা কিছু নিয়ে যাননি শুধু দিয়ে গেছেন। একটা দেশ দিয়ে গেছেন একটা জাতি দিয়ে গেছেন, পরিচয় দিয়ে গেছেন। আত্মপরিচয় দিয়ে গেছেন। বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলে উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করে দিয়েছেন, কিছুই নিয়ে যাননি বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের গরীব মানুষের রিলিফের কাপড় তিনি দিতে পারতেন সেই রিলিফের কাপড়ের পার ছিঁড়ে সেটা দিয়েই তাকে কাফন দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে কিছুই নিয়ে যাননি। মা-বা-ভাই-বোন কিছুই নিয়ে যাননি। ১৬ তারিখ বনানীতে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। মুসলমান হিসেবে এতোটুক দাবি থাকে জানাজা পড়ার সেটাও তো পড়েনি।

তিনি বলেন, কাফনের কাপড় সেটাও দেয়নি। ৭৫ এর ঘাতকরা বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র করার ঘোষণা দিয়েছিল ইসলামের কোনো বিধি তারা মানেনি। আমার প্রশ্ন জাতির পিতা তো অনেককে ফোনও করেছিলেন, কি করেছিলেন, কোথায় ছিলেন তারা? বেঁচে থাকতে সবাই থাকে, মরে গেলে যে কেউ থাকে না তার জীবন্ত প্রমাণ।

এজন্য আমি কিছু আশা করি না। আমার একটাই কথা জাতির দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। সব সহ্য করে নীল কণ্ঠ হয়ে অপেক্ষা করেছি কবে ক্ষমতায় যেতে পারবো। দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো তাহলেই হত্যার প্রতিশোধ নেয়া হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

৯৯৯-এ সহযোগিতা চাওয়ায় ডা. মুরাদের বাসায় পুলিশ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারী, ২০২২, ০৬:৩৪
৯৯৯-এ সহযোগিতা চাওয়ায় ডা. মুরাদের বাসায় পুলিশ

৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। তাকে মারধর করা হচ্ছে এই মর্মে অভিযোগ করে ফোন করেন। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান জাহানারা এহসান।

বৃহস্পতিবার ৯৯৯ থেকে বিষয়টি জানানো হয় ধানমন্ডি থানা পুলিশকে। এরপরই পুলিশের একটি টিম ডা. মুরাদের বাসায় যায়।

এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মুরাদ হাসানের স্ত্রী ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ পাঠানো হয়। ওই সময় ডা. মুরাদ বাসায় ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহ থেকেই অভিযোগটি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আয়ে করমুক্ত হবেন যারা


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ০৪ জুন, ২০২১, ০৯:৫৬
আয়ে করমুক্ত হবেন যারা

ফাইল ছবি

 

এবারের বাজেটে  আগের মতোই থাকছে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা। অর্থাৎ বার্ষিক আয় যাদের ৩ লাখ টাকার কম তাদের কোনো কর দিতে হবে না। আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের সময় এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
 
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। নারী করদাতা, সিনিয়র করদাতা, প্রতিবন্ধী করদাতা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বেশি। তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য বিদ্যমান করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।
 
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য বিদম্যান এই করহার তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্য সামাজিক আত্তীকরণের লক্ষ্যে বিশেষ বিধান চালুর পাশাপাশি তাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি। বর্তমান সরকার ব্যবসা সহকীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির ব্যবসায়ী করদাতাদের কর দায় লাঘবে সরকার সদা তৎপর। এ লক্ষ্যে ব্যক্তি করদাতাদের ব্যবসায়িক টার্নওভার করহার কমিয়ে ০.৫ শতাংশের পরিবর্তে ০.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

প্রসঙ্গত, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছিল। চার বছর করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকাই ছিল। সাধারণত চার-পাঁচ বছর পরপর জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এই সীমা বাড়ানো হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়