a
ফাইল ছবি: ইরাকে টাইগ্রিস নদীর পানি কমে হঠাৎ জেগে উঠা শহরটির ছবি
শহরটি প্রায় ৩ হাজার ৪০০ বছরের পুরাতন। তবে এত দিন পানির নিচে ছিল পুরো শহরটি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বেড়েছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। এতে টাইগ্রিস নদীর পানি কমে হঠাৎ জেগে উঠতে শুরু করেছে প্রাচীন এই শহরটি। খবর ইউরো নিউজের
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে এতোদিন টাইগ্রিস নদীতে ডুবে ছিল প্রাচীন এ শহরটি। প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতার নানা নিদর্শন ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে দেশটিতে। ওই নদীতে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে শহরটির বিভিন্ন স্থাপনা ধীরে ধীরে ভেসে উঠতে থাকে।
জার্মান ও কুর্দিশ প্রত্নতত্ত্ববিদেরা জানান, এটি প্রাচীন মিত্তানি সাম্রাজ্যের সময়কার একটি শহর। শহরটিতে একটি প্রাসাদ রয়েছে। আরও রয়েছে কয়েকটি বড় আকারের ভবন। ধারণা করা হচ্ছে, খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৫০ থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত এই শহরটিতে মানুষ বসবাস করতো।
ইরাকের এই প্রাচীন শহরের খননকাজে যুক্ত রয়েছেন জার্মানির তুবিনজেন ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি ইরাক। দেশটির মসুল অঞ্চলে কয়েক মাস ধরে উষ্ণ আবহাওয়া ও বাড়তি তাপমাত্রা বজায় রয়েছে। মসুল বাঁধের পানিও দ্রুত কমছে। এর জের ধরে টাইগ্রিস নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় মসুল–সংলগ্ন স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের কিমুনেতে অবস্থিত ব্রোঞ্জ যুগের প্রাচীন এই শহরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
কুর্দিস্তান আর্কিওলজি অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ কাসিম, জার্মানির ফ্রেইবুর্গ ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদ ইভানা পুলজিজি ও জার্মানির তুবিনজেল ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদ পিটার পিফেলজনার ইরাকে ভেসে ওঠা প্রাচীন এই শহর নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। তাঁদের দলের যৌথ উদ্যোগে খননকাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রত্নতত্ত্ববিদেরা বলছেন, ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল প্রাচীন শহরটি। সেটাও ১৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে। পরে ধীরে ধীরে আস্ত শহরটি টাইগ্রিসে তলিয়ে যায়। এখন আবারও প্রাকৃতিক দুর্যোগের (খরা) কারণে ডুবিয়ে যাওয়া শহরটি আস্তে আস্তে জেগে উঠতে শুরু করেছে। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
রাজধানীর বাড্ডায় ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে একটি ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বাড্ডা থানা–পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম চন্দন পার্সি। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এই ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। বাড্ডা এলাকার ওই ভবনে চন্দন মা ও বোনের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন।
চন্দন পার্শির বন্ধু ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের একই ব্যাচের আল-রাজী মাহমুদ অনিক বলেন, ' খুব শান্ত স্বভাবের হাসিখুশি ও মিশুক ছেলে ছিল পার্শি। ওকে দেখে আমাদের কখনোই মনে হয়নি ও এমনটা করতে পারে। গত কয়েকমাস ধরে যোগাযোগ হয়নি ওর সাথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এক্টিভ ছিলনা। আমরা ভেবেছি সামনে বিসিএস এর প্রস্তুতি নিতে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে।
কিন্তু ওর বোন আজ আমাদের এক বন্ধুকে ফোন করে এই সংবাদ দেয়। এমন সংবাদ আমাদের বাকরুদ্ধ করেছে। বেকারত্বের হতাশা থেকেই এমনটা করেছে বলেই পরিবার ও বন্ধুদের ধারণা।'
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘থানায় সকাল সাড়ে আটটার সময় ঘটনাটি জানানো হয়। আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই। সেখান থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাঁর লাশ নিয়ে যায়।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন বছর তিনি চাকরির চেষ্টা করছিলেন। তাঁদের পরিবার একমাত্র বোনের আয়ে চলছিল। এসব বিষয়ে তিনি প্রায় মানসিকভাবে পীড়িত হতেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফাইল ছবি
চলতি বছর কোপা আমেরিকার জয়ের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামেনি আর্জেন্টিনা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আবারও মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের তিন ম্যাচে খেলবে আলবিসেলেস্তারা। এ তিন ম্যাচের জন্য ৩০ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা।
চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভেনিজুয়েলা, ৬ সেপ্টেম্বর ব্রাজিল এবং ১০ সেপ্টেম্বর বলিভিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা । এ তিন ম্যাচের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা বস লিওনেল স্কালোনি।
পিএসজির হয়ে সর্বশেষ ম্যাচে কাঁধে চোট পান ফরওয়ার্ড মাউরো ইকার্দি। ৩-৪ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েছেন তিনি। কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা স্কোয়াড থেকে দুইজন বাদ পড়েছেন। তারা হলেন গোলরক্ষক অগাস্টিন মার্চেসিন এবং সার্জিও আগুয়েরো। দুইজনই ইনজুরির কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন।
আর্জেন্টিনা স্কোয়াডে ফিরেছেন চার ফুটবলার। এরমধ্যে পাওলো দিবালা তিন বছর পর আবারও জাতীয় দলে ডাক পেলেন। এছাড়াও ফিরেছেন এমিলিয়ানো বুয়েনদিয়া, জেরোনিমো রুলি এবং হুয়ান ফয়েথ। গোলরক্ষক অগাস্টিন মার্চেসিনের পরিবর্তে দলে ডাক পেয়েছেন জেরোনিমো রুলি।
আর্জেন্টিনা স্কোয়াড
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ফ্রাঙ্কো আরমানি, হুয়ান মুসো এবং জেরোনিমো রুলি
ডিফেন্ডার: গঞ্জালো মন্তিয়েল, নাহুয়েল মলিনা, আরমান পেজ্জেলা, হুয়ান ফয়থ, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, লুকাস মার্টিনেজ, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, মার্কোস অ্যাকুইনা এবং নিকোলাস ট্যাগলিয়াফিকো।
মিডফিল্ডার: রদ্রিগো ডি পল, এক্সেকুয়েল প্যালাসিও, লিয়ান্দ্রো পারদেস, গিদো রদ্রিগেজ, নিকোলাস ডমিনগুয়েজ, জিওভান্নি লো চেলসো, আলেহান্দ্রো গোমেজ এবং অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
ফরওয়ার্ড: অ্যাঞ্জেল কোরেয়া, জুলিয়ান আলভারেজম হোয়াকুইন কোরেয়া, নিকোলাস গঞ্জালেস্ম এমিলিয়ানো বুয়েনদিয়া, লাওতারো মার্টিনেজ, লিওনেল মেসি এবং পাওলো দিবালা।