a
ফাইল ছবি
রাজধানীর বাড্ডায় ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে একটি ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বাড্ডা থানা–পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম চন্দন পার্সি। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এই ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। বাড্ডা এলাকার ওই ভবনে চন্দন মা ও বোনের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন।
চন্দন পার্শির বন্ধু ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের একই ব্যাচের আল-রাজী মাহমুদ অনিক বলেন, ' খুব শান্ত স্বভাবের হাসিখুশি ও মিশুক ছেলে ছিল পার্শি। ওকে দেখে আমাদের কখনোই মনে হয়নি ও এমনটা করতে পারে। গত কয়েকমাস ধরে যোগাযোগ হয়নি ওর সাথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এক্টিভ ছিলনা। আমরা ভেবেছি সামনে বিসিএস এর প্রস্তুতি নিতে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে।
কিন্তু ওর বোন আজ আমাদের এক বন্ধুকে ফোন করে এই সংবাদ দেয়। এমন সংবাদ আমাদের বাকরুদ্ধ করেছে। বেকারত্বের হতাশা থেকেই এমনটা করেছে বলেই পরিবার ও বন্ধুদের ধারণা।'
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘থানায় সকাল সাড়ে আটটার সময় ঘটনাটি জানানো হয়। আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই। সেখান থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাঁর লাশ নিয়ে যায়।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন বছর তিনি চাকরির চেষ্টা করছিলেন। তাঁদের পরিবার একমাত্র বোনের আয়ে চলছিল। এসব বিষয়ে তিনি প্রায় মানসিকভাবে পীড়িত হতেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে রাস্তা খুঁজতেও আমরা গুগলের আশ্রয় নেই। কোনও অচেনা জায়গায় গেলেই গুগল ম্যাপ-ই যেন প্রধান ভরসা। তবে কখনও কখনও এই গুগল ম্যাপস ব্যবহার করে অনেকে বিপাকেও পড়েছেন। যাওয়ার কথা এক কনের বাড়ি, বরযাত্রী গিয়ে হাজির হল অন্য এক বিয়েবাড়িতে। প্রথমটায় ঘুণাক্ষরেও টের পেল না কেউ। একে অপরের মধ্যে উপহার দেওয়া নেওয়ায় হয়ে গেল। শেষে ভুল ধরলেন কনের কাকা। তারপরে তো দু’পক্ষেরই মাথায় হাত। বোঝা গেল, দোষ গুগল ম্যাপের। ম্যাপ দেখে বিয়েবাড়ি খুঁজতে গিয়েই এই হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়। বরপক্ষ বিয়েবাড়ি খুঁজতে সাহায্য নিয়েছিল গুগল ম্যাপের। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার পাকিস জেলার ওই গ্রামে একই সঙ্গে দু’টি বিয়েবাড়ি আয়োজিত হয়েছিল। একটিতে ছিল বিয়ে, অন্যটিতে বাগ্দান পর্ব। দু’টিই কনেপক্ষের বাড়ি। যে বরপক্ষের বিয়েবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল, তারা গুগল ম্যাপের সাহায্যে গন্তব্য খুঁজতে থাকেন। ম্যাপ নির্দিষ্ট করে দেখায় যে বাড়িটিকে, সেটিতে আসলে চলছিল বাগ্দানের আয়োজন। সেখানেই ঢুকে পড়েন তাঁরা। ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে খাবারের প্লেট আসে, আসে ফুল। উপহার লেনদেন হয়। কিন্তু ভুল ভাঙান কনের কাকা। দেখা যায়, এই বরযাত্রীর দলের আসলে অন্য মেয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা। শেষে ওই বাড়ির লোকই গ্রামের অপর প্রান্তে ঠিক বাড়িতে পৌঁছে দেন বরযাত্রীর দলকে।
নেট দুনিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে এই ঘটনাটি বিশেষ করে একটি ভিডিও। স্বাভাবিক ভাবে হাসির রোল উঠেছে এই ভিডিয়ো ঘিরে। অনেকেই বলছেন, ভাগ্যিস বিয়ে পিঁড়ি পর্যন্ত ঘটনা গড়ায়নি, তাহলে যা হত, তা সেলুলয়েডের গল্পকেও হার মানাবে।
পরবর্তীতে অবশ্য উলফার বাড়ির লোকজনই ওই বরযাত্রীদের সঠিক বাড়িতে পৌঁছতে সাহায্য করে।
ফাইল ছবি
টাকা হাতিয়ে নিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদাকে হত্যা করা হয়। এই টাকার জন্যই তাকে লাশ হতে হলো। পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। টাকার লোভ সামলাতে না পেরে ওই সাবেক অধ্যাপককে হত্যা করেন রাজমিস্ত্রি। এ অভিযোগে রাজমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত অধ্যাপক সাহিদা গাফফার কাশিমপুরের পাইনশাইল এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থেকে পাইনশাইল এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন প্রকল্পের একটি ফ্লাটে কাজ করাচ্ছিলেন। শুক্রবার গাজীপুরের পানিশাইল এলাকায় তার ভাড়া বাসার অদূরে আবাসিক প্রকল্পের ভেতরের জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সাইদা খালেকের ফ্লাটে আনারুল নামের রাজমিস্ত্রি কাজ করছিলেন। সাহিদা গফফারের হাতে টাকা দেখে ওই টাকা রাজমিস্ত্রি ছিনিয়ে নিতে।ধরলে তিনি ডাকচিৎকার দিলে রাজমিস্ত্রি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে রাজমিস্ত্রি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার উপ-পরিদর্শক দীপঙ্কর রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আনারুলকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার আনারুল গাইবান্ধা জেলা সাদুল্লাপুর থানার বুজর্গ জামালপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
নিহত সাহিদা গাফফার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মৃত কিবরিয়াউল খালেকের স্ত্রী।
আজ সকালে গাজীপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদা খালেকের (মোছা. সাইদা গাফফার) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত দু’দিন আগে গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় একটি নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন নিহতের মেয়ে সাহিদা আফরিন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন