a কাদের-হাছানদের কথায় এখন ঘোড়াও হাসে, সবাই হাসে: মির্জা ফখরুল
ঢাকা শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কাদের-হাছানদের কথায় এখন ঘোড়াও হাসে, সবাই হাসে: মির্জা ফখরুল


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ০৯ জুন, ২০২১, ০৩:৪২
কাদের-হাছানদের কথায় এখন ঘোড়াও হাসে, সবাই হাসে: মির্জা ফখরুল

ফাইল ছবি । মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদের কথায় এখন ঘোড়াও হাসে, সবাই হাসে। নতুন পন্থায় তারা বিএনপিকে নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। তাদের কথার উত্তর দিতে চাই না। 

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় বুধবার (৯ জুন) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
 
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, তারা কী যে বলে নিজেরাও জানে না। তারা মিথ্যা বলে। অবলীলায় ঠান্ডা মাথায় হাছান মাহমুদরা বিএনপিকে নিয়ে মিথ্যা বলেন।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এমনি এমনি ক্ষমতায় কেউ এনে দেবে না। স্বৈরাচারী কায়দায় বর্তমান সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে আছে। নির্বাচনে তারা জয়ী হতে পারবে না জেনেই ক্ষমতাসীনরা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে নিজেরাই জয়ী হয়ে বসে আছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

“অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমূখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” নামে আইন প্রনয়ন প্রয়োজন


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ১১:৫৪
অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমূখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা নামে আইন প্রনয়ন প্রয়োজন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  দীর্ঘদিন ধরে মিডিয়ায় আলোচনায় থাকা "অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ" সংগঠনটি আজ একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। ২৫ শে নভেম্বর শাহবাগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ভুল বুঝাবুঝির প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত ৫৩ বছর ধরেই, সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে লোপাট করে একটি দুর্বৃত্ত চক্র দেশে বিদেশে দৃষ্টিকটু বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দেশে পুঞ্জিভুত করে রেখেছে ও বিদেশে পাচার করছে। এভাবেই আমাদের কৃষক, শ্রমিক, হকার, ব্যবসায়ীসহ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীকে পুজিশূন্য করে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে দেয়া হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশের মানুষের মধ্যে চরম অস্থিরতা ও বৈষমের সৃষ্টি হয়েছে।

এই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আ. ব. মোস্তাফা আমিনের নেতৃত্বে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ দূর্নীতি বিরোধী শিরোনামে “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমূখী” বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” নামে একটি বিশেষ আইন প্রনয়ণের দাবীতে ২০২১ সাল হতেই প্রচারপত্র বিতরণের মধ্যে দিয়ে ধানমন্ডি অফিস হতে শুরু করে ২৫ নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার বৈঠক ও সমাবেশ করেছে। 

এর মধ্যে গত ১৮ আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখে শাহবাগে লক্ষাধিক আবেদনকারী ও সংগঠক নিয়ে একটি সমাবেশ শেষে অর্ন্তবর্তী সরকারের যমুনা কার্যালয়ে আইন পাশের দাবীতে আইনের খসড়াটি হাতে হাতে জমা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইন পাশের দাবীতে আরো দুইখানা তাগাদাপত্র দেওয়া হয়েছে। এতে করে কোন রকম সাড়া না পেয়ে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশর নেতৃবৃন্দ আইন পাশের চাপ প্রয়োগের জন্য ২৫/১১/২০২৪ইং তারিখে একটি সমাবেশ আহব্বান করে। এতে করে ২৫ নভেম্বর ২০২৪ অহিংস গনঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ এর সংগঠকসহ লাখো আন্দোলনকারী ঢাকা সরওয়ার্দী উদ্যান ও শাহবাগ মূখী হওয়ার খবরটি সারা বাংলাদেশের টপ নিউজ ছিল। তবে ২৫ নভেম্বর উক্ত টপ নিউজগুলো পজেটিভ না হয়ে নেগেটিভ ভাবে প্রচার হয়েছে সেটাই বড় দু:খজনক। 

২৫ তারিখে শাহবাগ সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ১৮ই নভেম্বর ২০২৪ইং আবেদন করা হয়। তবে থানা পুলিশের পরামর্শে যাদুঘরে দর্শনার্থীদের অসুবিধা ও পিজি হাসপাতালসহ বারডেম হাসপাতালে রোগীদের অসুবিধার কারণে সেই আবেদনটা পরিবর্তন করে ১৯ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখে সরওয়ার্দী উদ্যানে পুনরায় আবেদন করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় সমাবেশটি করা না করা নিয়ে বেশ কয়েকবার পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা হতে ২৪/১১/২০২৪ইং তারিখে আমরা অবগত হলাম সমাবেশটি করার কোন অনুমতি পাবো না। সেই সময়ে আমাদের অনেক লোকজন ঢাকায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে আত্নীয়-স্বজনদের বাসায় উঠে গেছে। তারা রেল গাড়ী, বাস, লঞ্চ, মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকা মুখি হয়ে যাওয়ায় সমাবেশে লোক আসা বন্ধ করতে পারিনি কিন্তু কমিয়ে এনেছি।

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ একটি স্বেচ্ছাসেবী, সিভিল রাইট অর্গনাইজেসন নামে অর্থনৈতিক কর্মসূচী নিয়ে মাঠে চারটি বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করে। তবে উক্ত সংগঠনটি কোন আর্থিক লেনদেন করবে না, করবে গঠিতব্য অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমূখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা। 

ধাপে ধাপে চারটি কাজ হলোঃ
১। সারা বাংলাদেশ থেকে এক কোটি আশি লক্ষ লোকের আবেদন/ অনুস্বাক্ষর গ্রহন করা যা হয়েছে।

২। বিশিষ্ট আইনজীবিদের পরামর্শক্রমে দুর্নীতি বিরোধী শিরোনামে একটি “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গনমূখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” নামে আইন প্রনয়নের উদ্দেশ্যে তখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে তাদের কাছে দাবি উপস্থাপন করা। ইতিমধ্যে যেটি ১৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের দপ্তর যমুনায় পেস করা হয়েছে। 

৩। আইনটি পাশ করা হলে দেশ-বিদেশ হতে দুর্নীতি বাজদের কাছে থাকা অবৈধ পুঞ্জিভুত ও পাচারকৃত টাকা গনশুনানীর মাধ্যমে উক্ত সংস্থাটি উদ্ধার করতে সক্ষম হবে। 

৪। সেই টাকাগুলো বিনা সুদে, বিনা জামানতে, অতি সাধারন পুজি শূন্য আবেনকারীদের মধ্যে সহজ শর্তে বিনিয়োগ হিসাবে দেওয়ার সম্ভাব্য প্রস্তাব রয়েছে। যা দিয়ে ছোট ছোট শিল্প কারখানা হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগলের ফার্ম ও মৎস্য খামার করতে পারলে সারা বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটিয়ে স্বনির্ভর জাতি গঠনের মধ্যে দিয়ে দুর্নীতি মুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছে। এখন মুল বিষয়টি হল ২৫ তারিখে সমাবেশটি যে নেগেটিভ ভাবে প্রচার হয়েছে তা অত্যন্ত অপরাজনীতি ও দুঃখজনক। তবে আমি যা বুঝতে পেরেছি, সমাবেশটি ভন্ডুল করার জন্য তিনটি মাধ্যমকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

০১। বৈষম্যসহ সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে বলা হয়েছে এরা আওয়ামীগের দোষর। ০২। নির্বাহী বিভাগে প্রচার করা হয়েছে এরা সরকার উৎখাত করতে আসছে। ০৩। মিডিয়ায় সাধারণ জনগনের উদ্দেশ্যে প্রতারক হিসাবে বলা হয়েছে। ঢাকা আসলে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হবে যা বিভ্রান্তি কর ও খন্ডিতাংশ ।

প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, ২৪শে নভেম্বর রাত ৯টা হতে সংগঠক ও নেতাদের বাস ও অফিস হতে গ্রেফতারের পর হতেই সমাবেশটি এলোমেলো করার জন্য সমাবেশগামী জনগণদের আওয়ামীলীগের দোসর, সরকার পতনের জন্য আসতেছে, ঢাকা আসলে ১ লক্ষ টাকা দিবে বলে প্রতারক হিসাবে বিভিন্ন মিডিয়া প্রচার করেছে। যার জন্য প্রচুর হামলা ও মামলা হয়েছে যারা দেশের বিভিন্ন জায়গা হতে সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছে ,পথে পথে তাদের যানবাহন ভাঙ্গচুর করা হয়েছে, পিটিয়েছে, মোবাইল ছিনতাই করেছে, মানি ব্যাগসহ নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। এতে করে সবচেয়ে বড় দূর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে হাতিয়া, লক্ষীপুর, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, চাঁদপুর, নারায়নগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, ঢাকার আবেদনকারী ও সংগঠকগণ।

সুতরাং আজকের সমাবেশ হতে আমরা দেশবাসীকে জানাচ্ছি যে, আমরা আওয়ামীলীগের কোন দোসর ছিলাম না। সরকার পতনের জন্য সমাবেশটি আহবান করা হয়নি এবং বিগত ৫ বছরে আমাদের কাজ কর্মগুলো খুবই সু-শৃঙ্খলভাবে সম্পূর্ন হয়ে আসছে বলে কোনরূপ প্রতারনার সুযোগ ছিল না হলে পুলিশে সোপর্দ করার কথা ফরমে উল্লেখ ছিল । মিডিয়া তিনশত, পাঁচশত, একহাজার, টাকা নেওয়ার যে প্রচার হয়েছে সেগুলো দূরুত্ব বুঝে পরিবহনের ভাড়া নিজেদের ব্যবস্থাপনায় স্বইচ্ছায় দিয়েছিল । সুতরাং এই কাজে কেউ প্রতারক নয়।

অতএব, এই সাংবাদিক সম্মেলন হতে আমরা দেশের বিভিন্ন থানায় আমাদের নেতৃবৃন্দ ও সংগঠকদের মামলাগুলো প্রত্যাহারসহ সকলের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি এবং আপনারা সঠিক তথ্যগুলো মিডিয়ায় তুলে ধরলে সংগঠকগণ তাদের ইজ্জত-সম্মান নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় বসবাস করতে পারবেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আন্দোলনকারীদের উপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪, ০২:৩৩
আন্দোলনকারীদের উপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত

 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর আজ থেকে কোন ধরণের গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে কোটা আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা ও মনজুর আল মতিন।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিবাদী করা হয়েছে।

বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকার ও বিচারপতি মো. মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট আবেদনের উপর শুনানি হতে পারে।

সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার চেয়ে আন্দোলনে নামে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের ফলে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে তাদেরকে দমন করতে পুলিশ বিভিন্ন সময় গুলি করে হতাহত করেছে।

এদিকে সারাদেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সেই মোতাবেক দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচী ও রাস্তা অবরোধ চলছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি