a
ছবি সংগৃহীত
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) এমপি বলেছেন, অত্যন্ত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং সামনের দিকে আরো অনেক খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটা আমার আশঙ্কা। যদি না হয় আমি খুশি হব। আমি আশঙ্কা করছি, দেশের মানুষ একটা আগ্নেয়গিরি জ্বালা বুকের মধ্যে নিয়ে বসে আছে। বাংলাদেশ এখন শ্রীলঙ্কার পথে হাঁটছে। গোজামিল দিয়ে দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। বাস্তবে দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে।
জি এম কাদের শনিবার (১১ মার্চ) বিকালে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে জাপা চেয়ারম্যান আরো বলেন, দেশে এমন অনেক আইন করা হয়েছে, মুখ খুলে কথা বললে দেশদ্রোহী হয়ে যাবেন। এখন আর মনের কথা বলা যায় না। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে এটা দেশের বিরুদ্ধে চলে যাবে এবং দেশদ্রোহী মামলা হয়। একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে পারি—মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, দেশে এখন সবচেয়ে বেশি বৈষম্য হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ছিল জনগণের মালিকানাধীন একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আজকে বর্তমান সরকারের দল আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে বলতে নিজেদের মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে। কিন্তু আমি পক্ষে-বিপক্ষে বলব না। বললে তো কালকে আবার ফাঁসিতে নিয়ে যেতে পারে। দেশের একটি শ্রেণির মানুষ সরকারি দল করে তারা বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। তারা লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে দেশের বাইরে পাচার করছে। বেশির ভাগ মানুষকে চাকরি-বাকরি ও আইনি সহায়তাসহ সবক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে ফেলা হচ্ছে। তারা দরিদ্র থেকে দরিদ্র হচ্ছে।
সম্মেলনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির নতুন কমিটিতে এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কবির মোহনকে সাধারণ সম্পাদক এবং সিনিয়র সহসভাপতি পদে হুমায়ুন কবির মুন্সীর নাম ঘোষণা করা হয়। এদিকে দীর্ঘ আট বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে দুপুরের পর থেকে জাতীয় পার্টির কুমিল্লা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে মুখরিত হয় টাউন হল মাঠ। সূত্র:ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
নাগরিকদের গণতান্ত্রিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পথে অন্তরায় যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে বিশিষ্ট নাগরিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি’।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় এক সভা থেকে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়।
আজ শুক্রবার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামিনা লুৎফা নিত্রার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির গঠনের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাহাড় ও সমতলের সব নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে নিবর্তনমূলক ও জনবিরোধী আইন বাতিল করতে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে, শ্রমিক ও কৃষকের অধিকার রক্ষা করতে এবং দখলদারত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করাসহ সব ধরনের গণতান্ত্রিক দাবিতে এই প্ল্যাটফর্ম কাজ করে যাবে।
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, প্রতিটি গণ–অভ্যুত্থানের পর পুনরায় ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হতে দেখা যায়। মানুষের প্রাণের বিনিময়ে অর্জন ব্যর্থ হয়েছে। এবারের গণ–অভ্যুত্থান ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব শক্তির একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম জরুরি। তাই এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, সীমা দত্ত, মাহা মীর্জা ও কল্লোল মোস্তফা।
সদস্য হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক আকমল হোসেন, অধ্যাপক মামুন আল রশিদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, মোশাহিদা সুলতানা রিতু, স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, আশরাফ কায়সার, বিধান রিবেরু, আনিস রায়হান, চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, এ এস এম কামাল উদ্দীন, আফজালুর বাসার, মযহারুল ইসলাম বাবলা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, লেখক ও শিল্পী মোস্তফা জামান, শিল্পী অরুপ রাহী, মফিজুর রহমান লাল্টু, বিথী ঘোষ, সুষ্মিতা রায় সুপ্তি, আজিমুন নুজহাত মণিষা, ওমর তারেক চৌধুরী, জামশেদ আনোয়ার তপন, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, কামার আহমাদ সাইমন, অধ্যাপক কাজী রফিকুল ইসলাম, বাকী বিল্লাহ, জয়দীপ ভট্টাচার্য, নাসিমুল খবির ডিইক, তসলিমা আক্তার লিমা, জলি তালুকদার, আমেনা খাতুন, সুনয়ন চাকমা, হারুন-অর-রশিদ ভূঁইয়া, মানস নন্দী, শামীম ইমাম, সত্যজিৎ বিশ্বাস, ইকবাল কবীর, আফজাল হোসেন, রাশেদ শাহরিয়ার, আইনজীবী মানজুর আল মতিন, রাগিব নাঈম, সালমান সিদ্দিকী, দিলীপ রায়, সৈকত আরিফ, সায়েদুল হক নিশান, অঙ্কন চাকমা, তাওফিকা প্রিয়া প্রমুখ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মুজাহিদিন ব্রিগেড সামরিক মহড়া চালিয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজেদের লড়াইয়ের প্রস্তুতির লক্ষে শনিবার এই সামরিক মহড়া চালায়। গাজা উপত্যকার বেশ কয়েকটি অংশে ‘কার্যকর প্রতিশ্রুতি’ নামে ফিলিস্তিনিরা এই মহড়া চালায়।
গাজার স্থল ও সমুদ্র ভাগে প্রতিরোধ যোদ্ধারা নানা রকমের যুদ্ধ-দৃশ্যের অবতারণা করে। ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরা সাম্প্রতিককালে পবিত্র আল-কুদস শহরে সহিংসতা চালাচ্ছে, তার প্রতিরোধকল্পে এই মহড়ার মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়।
মুজাহিদিন ব্রিগেডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে অনুষ্ঠিত এ মহড়ায় ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ দুই সংগঠনের নেতারা কুদস শহরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
আল-কুদস শহরে গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে বহু ফিলিস্তিনি হতাহত ও প্রায় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। ইহুদীবাদীরা মাঝে মধ্যেই সেখানে মিছিল বের করছে এবং আরবরা নিপাত যাক স্লোগান দিচ্ছে। সূত্র: পার্সটুডে