a
ফাইল ছবি
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করতে প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ব নেতাদের দেওয়া চিঠিকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন মামলা সংশ্লিষ্ট সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে আইনজীবী খুরশীদ আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের আইন, বিচার বিভাগকে না জেনে, পর্যালোচনা না করে অযাচিতভাবে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করছেন। তারা আদালতে ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে এত মাতামাতি করছেন কেন আমার বুঝে আসে না।
বিশ্ব নেতাদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে খুরশীদ আলম খান বলেন, বাংলাদেশে আসুন, দেখুন কত স্বচ্ছতার সঙ্গে ড. ইউনূসের মামলার বিচারকাজ চলছে। শুধু ড. ইউনূসের কথায় বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নিয়ে বিরূপ ধারণা পোষণ করবেন না।
এর আগে ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করা এবং বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন ১৭৫ জন বৈশ্বিক নেতা।
সোমবার প্রকাশিত সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি তাকে (ড. ইউনূস) লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করায় আমরা উদ্বিগ্ন এবং এটি তাকে বিচারকভাবে হেনস্তা করার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বলে আমাদের বিশ্বাস।’
চিঠির শুরুতে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ সম্বোধন করে লেখা হয়েছে—
‘আমরা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতার পাশাপাশি বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে লিখছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আপনাদের জাতি যেভাবে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে আমরা তার প্রশংসা করি।
কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি পরিলক্ষিত হচ্ছে, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া এবং নির্বাচনের সময় প্রশাসন দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনে বৈধতার অভাব ছিল।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে তা হলো— নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা। আমরা উদ্বিগ্ন এই কারণে যে, আমাদের মনে হচ্ছে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এটা ক্রমাগত বিচারিক হয়রানি বলেই আমাদের বিশ্বাস। এর আগেও ৪০ জন বিশ্বনেতা তার নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে আপনার কাছে যে আবেদন করেছিলেন। এই চিঠিটি তার ওপর ভিত্তি করেই লেখা হয়েছে। আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, আপনি অবিলম্বে অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করুন। সূত্র: যুগান্তর
আজ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ, আট ঘণ্টা বিশ্রাম ও আট ঘণ্টা বিনোদন এবং শ্রমের ন্যায্য মজুরির দাবিতে ১৮৮৬ সালের আজকের দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে ধর্মঘটের ডাক দেয় শ্রমিকরা।
এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সাত শ্রমিক নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ১৮৯০ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্যারিস কংগ্রেসে বিশ্বব্যাপী মে মাসের ১ তারিখ ‘মে দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এরপর থেকে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মে মাসের এক তারিখে শ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানাতে মে দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশও প্রতি বছর ১ মে শ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
এবছর করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে মে দিবসের সব ধরনের কর্মসূচি বাতিল করা হলেও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন সীমিত আকারে কিছু কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘মালিক-শ্রমিক নির্বিশেষ, মুজিববর্ষে গড়ব দেশ’। দিবসটি উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে সরকারের পাশাপাশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদেরও শ্রমজীবী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে শ্রমিক ও মালিকের উত্পাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে শ্রমিকের উন্নয়নে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি মুজিববর্ষে মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের অগ্রযাত্রায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মহান মে দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
ফাইল ছবি
কসোভো সীমান্তে সামরিক সমাবেশ করছে সার্বিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে। তবে এমন রিপোর্ট প্রত্যাখান করেছে ইউরোপের রাশিয়ার অন্যতম মিত্র দেশ সার্বিয়া।
আল জাজিরার খবরে প্রকাশ, সামরিক সমাবেশ করার ইউউ এবং মার্কিন প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা প্রচারণা’ বলে উল্লেখ করেছে সার্বিয়া। এর আগে গত সপ্তাহে একটি গুলির ঘটনায় চারজন নিহত হয়। এই ঘটনা অস্থির বলকান অঞ্চল আরো ‘উত্তেজনা’ সৃষ্টি হবে।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভিউসিস ইন্সটাগ্রামে এক ভিডিওতে বলেছেন, এটা একটি মিথ্যা ক্যাম্পেইন।
ওই ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে ইতোমধ্যে তারা অনেক মিথ্যা বলেছে। সার্বিয়ার বাস্তবধর্মী (সফিসটিকেটেড) অস্ত্র রয়েছে এতে তারা বিরক্ত।’
এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র কসোভো সীমান্ত থেকে বেলগ্রেডকে তাদের বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে উত্তর কসোভোর একটি মঠে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর সার্বিয়া সীমান্তে অত্যাধুনিক ট্যাংক ও আর্টিলারি মোতায়েন করে বলে সতর্ক করে হোয়াইট হাউস। ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
শনিবার কসোভোর সরকার জানিয়েছে, তারা ‘তিনটি ভিন্ন দিক’ থেকে সার্বিয়ার সেনাবাহিনীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। সার্বিয়াকে অবিলম্বে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার এবং সীমান্ত এলাকা অসামরিকীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশঙ্কা করেছে, ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে দৃষ্টি ফেরাতে রাশিয়া সার্বিয়াকে দিয়ে নতুন কোনো ঘটনা ঘটাতেও পারে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন