ভারতের ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার অনুরোধ খারিজ করেছে ইন্টারপোল। এ নিয়ে মোট তিন বার ভারত সরকারের অনুরোধ খারিজ করে দিল ইন্টারপোল। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
ইন্টারপোল সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে অর্থ রোজগার করা এবং তা অপ্রাসঙ্গিক জায়গায় খরচ করাকে আর্থিক দুর্নীতি বলা যায় না এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ইন্টারপোল। আর তাই জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ খারিজ করা হয়েছে।
এমনকি এনআইএ (ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় তদন্ত সংস্থা) যে তথ্যপ্রমাণ পেশ করেছিল ইন্টারপোলের সামনে তাও বাতিল হয়ে গেছে। ধর্মীয় বক্তব্য রাখার জন্য আর্থিক দান নেয়াকে অপরাধ বলে গণ্য করা যায় না বলেও সাফ জানিয়েছে ইন্টারপোল।
এ বিষয়ে জাকির নায়েকের আইনজীবী এস হরি হারাণ জানান, ইন্টারপোল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার কপি তিনি হাতে পেয়েছেন। এই বিষয়ে অবশ্য এনআইএ’র মুখপাত্র কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে এনআইএ সূত্রে খবর, এনআইএ ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছে এবং পরবর্তীতে তা পরীক্ষা করে ফের অনুরোধ জানাবে ইন্টারপোলকে।
প্রসঙ্গত, ভারতের ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েক বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।
লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ তাদের একটি প্রতিনিধিত্বমূলক অফিস রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে খুলবে। গত মাসে হিজবুল্লাহ একটি প্রতিনিধিদল এবং সেই সময় দু'পক্ষের বৈঠকটিতে বিষয়টি নিয়ে গভীর আলোকপাত করা হয়।
গত বছর ১৫ মার্চ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ হিজুবল্লাহর প্রতিনিধিদলকে মস্কোয় স্বাগত জানিয়েছিলেন। হিজবুল্লাহর প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সংগঠনের শীর্ষ নেতা ও সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ রা’দ।
রাশিয়ার অনুরোধেই ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা যায় এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে আগে যে বৈঠক হয়েছিল তার চেয়ে এবারের বৈঠক তুলনামূলক তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। পাশাপাশি এর দ্বারা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, হিজবুল্লাহ সংগঠনকে রুশ সরকার একটি স্বাধীন শক্তি হিসেবে ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে।
মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম নামের দুটি সংগঠন।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠন দুটির নেতারা মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এ দাবি জানান।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের নেতারা বলেছেন, অবিলম্বে মোসারাত জাহানের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করতে হবে। মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের সায়েম সোবহানকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একই সঙ্গে এর সঙ্গে যারা যারা জড়িত, তাঁদের সবােইকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম নামের সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী হাসান মানববন্ধনে বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর কোথায় আছেন, সেটি সবাই জানতে চায়। তিনি যদি লুকিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। আর যদি পালিয়ে যান, সেটা আমাদের জাতির ব্যর্থতা। সরকারের ব্যর্থতা। আমরা জেনেছি, নিহত মুনিয়ার বোনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর পরিবার জীবনের নিরাপত্তা পাচ্ছে না।’
কুমিল্লার মেয়ে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী মোসারাত জাহানের মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম নামের সংগঠনটির নেতারা।
মেহেদী হাসানের অভিযোগ, মুনিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর চরিত্র হননের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। একটি মহল অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মুনিয়ার মৃত্যু নিয়ে সঠিক সংবাদ যাতে প্রচার না হয় তারও চেষ্টা করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা রেজ্জাকুল হায়দার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দীপাবলি, হাবিবুল্লাহ মেজবাহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁর বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় আগাম জামিন পেতে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। তবে উচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের বিধি ও চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে এ মুহূর্তে কোনো ধরনের আগাম জামিন আবেদন শোনা যাবে না বলে অভিমত জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অভিমত জানান। সূত্র: প্রথম আলো