a
ফাইল ছবি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারো মাসে তের পার্বন। গতকাল ১২ জুলাই, ২০২১, ২৭ আষাঢ়, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ সোমবার রথযাত্রা উৎসব। এই উৎসব হিন্দুদের কাছে একটি পূণ্য তিথিও। এই পূণ্য তিথিতে শ্রীজগন্নাথ ধামপুরী ছাড়াও বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়।
হিন্দুদের বিশ্বাস রথের দড়ির স্পর্শ করলে (দড়ি টানলে) পূণ্য লাভ হয়। শাস্ত্রমতে রথযাত্রার পূণ্য তিথিতে যে কোনও কাজ শুরুর ক্ষেত্রে শুভ।
তবে করোনা মহামারীর কারণে এ ঐতিহ্যবাহী উৎসবে আমেজ প্রায় শূন্য। সারাদেশের মন্দির প্রাঙ্গণেই সীমিত পরিসরে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে রথটানা ও অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালা আয়োজিত হবে। করোনার কারণে গতবছরও অনুরূপভাবে সীমিত পরিসরে রথযাত্রা উৎসব উদযাপিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সীমিত পরিসরে রথযাত্রা আয়োজন বিষয়ে সারাদেশের পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতাদের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, কেবল মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে ও ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী মন্দিরের ভেতরে রথটান ও পুজোসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে মন্দিরের বাইরে কোন ধরনের শোভযাত্রা কিংবা ভক্ত সমাবেশ করা হবে না।
প্রতিবছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে এই রথযাত্রা শুরু হয়। এর নয়দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত হয় উল্টো রথযাত্রা। এবারের উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ জুলাই। রথযাত্রার মতো উল্টো রথযাত্রাও উদযাপিত হবে সীমিত পরিসরে।
জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ঢাকা’র সীমিত পরিসরের অনুষ্ঠানমালা আজ শুরু হচ্ছে। ইসকনের স্বামীবাগ আশ্রম মন্দিরের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে দুপুর ১২টায় মন্দিরের ভেতরেই রথটান অনুষ্ঠিত হবে। ২০ জুলাই উল্টো রথযাত্রাও একইভাবে আয়োজিত হবে।
ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী যশোমাধবের রথযাত্রাও সীমিত পরিসরে আয়োজিত হবে। এছাড়া পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের জগন্নাথ জিউ ঠাকুর মন্দির, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির এবং শাঁখারীবাজার একনাম কমিটিসহ রাজধানীর অন্যান্য মন্দির ও দেশের বিভিন্ন মন্দিরেও সীমিত পরিসরে রথটান অনুষ্ঠিত হবে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বদরুদ্দোজা, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহানবী (সাঃ)-কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবমাননা করার দাবিতে নাহিদ হাসান নলেজের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ২২ ফেব্রæয়ারি বাদ মাগরীবের নামাজ শেষে থানাহাট বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মুসল্লিগণ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে মিছিলটি বাজার, কলেজ মোড হয়ে চিলমারী মডেল থানার সামনে গিয়ে নাহিদ হাসান নলেজের দ্রæত গ্রেফতারসহ শাস্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করেন।
এরপর আবারো উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল টি শেষ হয়। এসময় স্থানীয় মুসল্লী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বক্তব্য রাখেন, লিটন ইসলাম শাকিব, সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা ও চিলমারী ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল করিম, সাব্বির সরকার প্রমুখ । তারা বলেন নাহিদ হাসান নলেজ একজন চাঁদাবাজ ও নাস্তিক। সে মহানবী কে কটুক্তি করেছে তাই এই নাস্তিক ও কুলাঙ্গার কে অতি সত্বর আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। তারা আরো বলেন চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কুলাঙ্গার নলেজ কে গ্রেফতার করা না হলে বৃহৎ কর্মসূচি করা হবে মর্মে প্রশাসন কে হুঁশিয়ারী প্রদান করেন।
অভিযুক্ত নাহিদ হাসান নলেজ উপজেলার রমনা ইউনিয়ন এর ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং এলাকায় নাস্তিক হিসেবে পরিচিত।
ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ- এর একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার দিয়ে লিখেছিলেন "কওমী জননী ডাকা কুলাঙ্গাররা হত্যার হুমকি দিয়েই চলছে তাদের কি গ্রেফতার করা হবে না" মর্মে একটি লেখা পোস্ট করেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে এটি ছড়িয়ে পরলে। এমন মন্তব্য করার পর মুসলিম জনতা ক্ষিপ্ত হলে কিছুসময় পরই সেই পোস্ট তিনি সরিয়ে নেন। স্থানীয় সুশীল সমাজ ও সচেতন মহল প্রতিবাদস্বরূপ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মোশাহেদ খান বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফাইল ছবি
কোভিড-১৯ এর ঊর্দ্বমুখী সংক্রমণের মাঝে শিক্ষার্থীদের বহুল প্রতীক্ষিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত জানানোর পাশাপাশি সংক্রমণ কমে এলে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এই দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংক্রমণের মাঝে কীভাবে ফরম পূরণ করা হবে সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উদ্বেগের মধ্যে বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মাধ্যমে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এই সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনার যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, আমাদের টিকা কার্যক্রম চলছে। এছাড়া গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়ে সংক্রমণ কমে এসেছিল। সেই অভিজ্ঞতায় আমরা এই সময়ে সংক্রমণ কমে আসবে বলে আশা করছি।
পরীক্ষার ফরম পূরণ কবে কীভাবে সে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহার পর অনলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, গ্রুপভিত্তিক নৈর্ব্যচনিক তিন বিষয়ের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার আগে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে এসএসসিতে ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট ও এইচএসসিতে ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া হবে।
তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে আবশ্যিক বিষয়গুলোর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে (পূর্বের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনায়) ও অ্যাসাইনমেন্টের ফলাফল সমন্বয় করে ফল দেওয়ার ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও এই সময়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ফেরানো যায়নি। ভার্চুয়াল ক্লাসের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেটিও খুব বেশি কাজে আসেনি। ফলে মহামারিকালে কোনো পাবলিক পরীক্ষায়ও বসতে পারেনি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গত বছর মহামারির আগে এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলেও এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের 'অটোপাস' দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এবার প্রথম থেকেই 'অটোপাস' না দেওয়ার কথা বলে আসছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।