a পঞ্চাশ দশকে গির্জায় হাজার হাজার যৌন নির্যাতক ছিল তদন্ত রিপোর্ট
ঢাকা শুক্রবার, ২২ কার্তিক ১৪৩২, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পঞ্চাশ দশকে গির্জায় হাজার হাজার যৌন নির্যাতক ছিল তদন্ত রিপোর্ট


আন্তর্জাতিক সংবাদ:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০
পঞ্চাশ দশকে গির্জায় হাজার হাজার যৌন নির্যাতক ছিল: তদন্ত রিপোর্ট

ফাইল ছবি

ফ্রান্সে ১৯৫০-এর দশক থেকে রোমান ক্যাথলিক চার্চে ঘটে যাওয়া বহু যৌন নির্যাতনের ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত এক নিরপেক্ষ কমিশনের প্রধান বলেছেন, সে সময় হাজার হাজার শিশু নির্যাতনকারী তৎপর ছিল।

জঁ-মার্ক সোভ ফরাসি বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, ২,৯০০ থেকে ৩,২০০ শিশু নির্যাতনকারী পাদ্রী এবং অন্যান্য যাজকদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন তারা।

তিনি বলছেন, "এটি হচ্ছে ন্যূনতম অনুমান।"
মোট ১১৫,০০০ জন পাদ্রী ও অন্য গির্জা কর্মকর্তার ব্যাপারে তদন্ত চালানো হয়। রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে চার্চ, আদালত এবং পুলিশের দলিলপত্রের আর্কাইভে পাওয়া তথ্য এবং যৌন নির্যাতনের শিকারদের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে।

আগামী মঙ্গলবার এই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করা হবে। আর রিপোর্টটি হবে আড়াই হাজার পৃষ্ঠার বেশি।

যৌন নির্যাতনের একজন ভুক্তভোগী বলেছেন, এর ফল হবে বোমা ফাটার মতো।

বিভিন্ন দেশে কয়েকটি কেলেংকারির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ফরাসি ক্যাথলিক গির্জা কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালে নিরপেক্ষভাবে ওই তদন্তের নির্দেশ দেন।

কমিশনের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ডাক্তার, ইতিহাসবিদ, সমাজবিজ্ঞানী এবং ধর্মতত্ত্ববিদরা। আড়াই বছরের মধ্যে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি সাক্ষীর সাথে যোগাযোগ করা হয়।

রোমান ক্যাথলিক প্রকাশনা দ্য ট্যাবলেটের ক্রিস্টোফার ল্যাম্ব বলেছেন, এই যৌন নির্যাতন কেলেংকারি ক্যাথলিক চার্চকে গত ৫০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটে ফেলে দিয়েছিল।

এর ধারাবাহিকতায় পোপ ফ্রান্স এ বছরই ক্যাথলিক চার্চে নিয়মকানুনে সংশোধনী আনেন - যাতে যৌন নিপীড়ন, শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন, শিশু পর্নোগ্রাফি, এবং এসব ঘটনা চাপা দেবার চেষ্টাকে স্পষ্টভাবে অপরাধ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

সোভ ফরাসী দৈনিক লা মঁদকে বলেছেন, এই প্যানেল এমন ২২টি ঘটনার তথ্যপ্রমাণ কৌঁসুলিদের হাতে তুলে 
দেয়া হয়েছে যেগুলোর ব্যাপারে এখনো ফৌজদারি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে। সূত্র : বিবিসি বাংলা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মুমিনের ভাবনায় নতুন বছর


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ০২ জানুয়ারী, ২০২২, ১০:১৭
মুমিনের ভাবনায় নতুন বছর

প্রতিকী ছবি

দিন শেষে রাত আসে। রাতের অপেক্ষা ফুরায়। আবার রাত শেষে দিন আসে। দিনের অপেক্ষা ফুরায়। মাস ফুরিয়ে নতুন মাস আসে, বছর ফুরিয়ে আসে নতুন বছর। এভাবেই একসময় দেখতে দেখতে আমাদের জীবনটাও ফুরিয়ে যাবে। পাড়ি জমাতে হবে অন্ধকার গহিন কবরের শেষ ঠিকানায়। সময়ের পালা-বদলে পুরনো একটি বছরকে বিদায় জানিয়ে আগমন করেছে নতুন আরেকটি বছর। নতুন বছর ঘিরে নানা জনের নানা ভাবনা থাকে।

এ ক্ষেত্রে একজন মুমিনের ভাবনা হলো, আমার জীবনের মূল্যবান একটি অংশ চলে গেছে। আমি মৃত্যুর আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। কারণ আল্লাহ মানুষকে সুনির্দিষ্ট একটি সময় দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এ সময়ের কোনো হেরফের বা কমবেশি হবে না। যার জন্য যতটুকু সময় নির্ধারিত, ততটুকু ফুরিয়ে গেলেই জীবন শেষ হয়ে মৃত্যুর ডাক এসে যাবে।

কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যখন কারও নির্ধারিত সময় উপস্থিত হবে তখন আল্লাহ তাকে কিছুতেই অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কিছুই কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ সুরা মুনাফিকুন।

তাই একটি বছরের উপসংহারে দাঁড়িয়ে মুমিনের মানসপটে প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে একটি বছর তো আমি শেষ করেছি, কিন্তু যে মহান উদ্দেশ্যে আল্লাহ আমাকে এ পৃথিবীতে পাঠালেন যেমনটি তিনি কোরআনে বলেছেন ‘আমি জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদত করবে।’ সুরা জারিয়াত।

সে পথে আমি কতটুকু অগ্রসর হয়েছি? জীবনের চূড়ান্ত গন্তব্য জান্নাতের দিকে কতটা এগিয়ে যেতে পেরেছি? এর জন্য পাথেয় সংগ্রহ করেছি কতটুকু? নাকি এখনো উদাসীনতার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছি?

কোরআনে আল্লাহ এমন লোকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘যারা ইমান এনেছে তাদের কি এখনো সময় হয়নি আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তাদের অন্তর বিগলিত হবে?  তারা কি তাদের মতো হবে না, যাদের আগে কিতাব দেওয়া হয়েছিল। এরপর যখন তাদের ওপর দিয়ে দীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হলো, তখন তাদের অন্তর শক্ত হয়ে গেল এবং আজ তাদের অধিকাংশই অবাধ্য।’ সুরা হাদিদ।

অতএব নতুন বছরে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো বিগত বছরের ভুলত্রুটি সংশোধন করা এবং সেগুলোর জন্য তওবা করে নতুন বছরে নির্ভুল ও পাপমুক্ত জীবনযাপনের জন্য প্রত্যয়ী হওয়া। পরকালে আল্লাহর সামনে হিসাব-নিকাশের মুখোমুখি হওয়ার আগে পৃথিবীতেই জীবনের হিসাব-নিকাশ করে নেওয়া। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

লেখক: মাওলানা মাহমূদ হাসান তাসনীম, ইসলামবিষয়ক গবেষক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

১১ বছর পর শিরোপার দেখা পেল ইন্টার মিলান


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
মঙ্গলবার, ০৪ মে, ২০২১, ১২:০১
১১ বছর পর শিরোপার দেখা পেল ইন্টার মিলান

ফাইল ছবি

 

টানা ৯ বছর শিরোপা জিততে থাকা জুভেন্টাস এর শিরোপায় এবার ভাগ বসালো ইন্টার মিলান। ইতালিয়ান লিগে গত ৯ বছর একাই আধিপত্য বিস্তার করে চলছিল জুভেন্তাস। 

২০১১-১২ মৌসুমে যা শুরু করেছিলেন বর্তমান ইন্টারমিলান কোচ কন্তে। এবার সেই কন্তের দলের কাছেই শিরোপার ধারাবাহিকতা হাতছাড়া করলো জুভেন্টাস। দীর্ঘ ১১ বছর পর সিরি-এ লিগের শিরোপা জিতেছে ইন্টার মিলান। 

গত রবিবার সাসুলোর বিপক্ষে আটালান্টা ১-১ গোলে ড্র করায় ইন্টারের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়। লিগে চার ম্যাচ এখনো বাকি আছে।

শনিবার সাসুলের বিপক্ষে আটালান্টা ম্যাচের পরই শিরোপা উৎসবের আমেজ শুরু করে ইন্টার সমর্থকরা। সাসুলোর বিপক্ষে আতালান্তা ম্যাচে না থেকেই ছিল তারা। খেলাটি ড্র হওয়ার পরই মিলানের রাস্তায় নেমে উৎসব করতে থাকেন ইন্টার মিলানের সমর্থকরা। 

করোনাভাইরাসের সময়ও এই উৎসব দীর্ঘ ১১ বছরের অপেক্ষার অবসানের। ২০০৯-১০ মৌসুমে  নাম্বার ওয়ান নামে পরিচিত হোসে মরিনহোর অধীনে সিরি-এ, কোপা ইতালিয়া এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতার পর নিজেদের হারিয়ে খুজছিল ইন্টার মিলান। 

এমনকি কিছু মৌসুম  চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও খেলার যোগ্যতা হয়নি তাদের। সে দলকে কন্তে দায়িত্ব নিয়েই পরিবর্তন করতে থাকেন। গত মৌসুমে শিরোপার স্বপ্ন উকি দিয়েও তা বাস্তবরুপ পায়নি কিন্তুএবার ঠিকই চার ম্যাচ হাতে রেখে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ইন্টার মিলান এ পর্যন্ত শিরোপা জিতেছে ১৯টি।  তারা ছাড়িয়ে গেছে এসি মিলানের ১৮ ট্রফি জয়কে। ৩৬টি ট্রফি নিয়ে তালিকায় সবার ওপরে জুভেন্তাস।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - ধর্ম