a পঞ্চাশ দশকে গির্জায় হাজার হাজার যৌন নির্যাতক ছিল তদন্ত রিপোর্ট
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পঞ্চাশ দশকে গির্জায় হাজার হাজার যৌন নির্যাতক ছিল তদন্ত রিপোর্ট


আন্তর্জাতিক সংবাদ:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০
পঞ্চাশ দশকে গির্জায় হাজার হাজার যৌন নির্যাতক ছিল: তদন্ত রিপোর্ট

ফাইল ছবি

ফ্রান্সে ১৯৫০-এর দশক থেকে রোমান ক্যাথলিক চার্চে ঘটে যাওয়া বহু যৌন নির্যাতনের ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত এক নিরপেক্ষ কমিশনের প্রধান বলেছেন, সে সময় হাজার হাজার শিশু নির্যাতনকারী তৎপর ছিল।

জঁ-মার্ক সোভ ফরাসি বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, ২,৯০০ থেকে ৩,২০০ শিশু নির্যাতনকারী পাদ্রী এবং অন্যান্য যাজকদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন তারা।

তিনি বলছেন, "এটি হচ্ছে ন্যূনতম অনুমান।"
মোট ১১৫,০০০ জন পাদ্রী ও অন্য গির্জা কর্মকর্তার ব্যাপারে তদন্ত চালানো হয়। রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে চার্চ, আদালত এবং পুলিশের দলিলপত্রের আর্কাইভে পাওয়া তথ্য এবং যৌন নির্যাতনের শিকারদের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে।

আগামী মঙ্গলবার এই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করা হবে। আর রিপোর্টটি হবে আড়াই হাজার পৃষ্ঠার বেশি।

যৌন নির্যাতনের একজন ভুক্তভোগী বলেছেন, এর ফল হবে বোমা ফাটার মতো।

বিভিন্ন দেশে কয়েকটি কেলেংকারির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ফরাসি ক্যাথলিক গির্জা কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালে নিরপেক্ষভাবে ওই তদন্তের নির্দেশ দেন।

কমিশনের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ডাক্তার, ইতিহাসবিদ, সমাজবিজ্ঞানী এবং ধর্মতত্ত্ববিদরা। আড়াই বছরের মধ্যে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি সাক্ষীর সাথে যোগাযোগ করা হয়।

রোমান ক্যাথলিক প্রকাশনা দ্য ট্যাবলেটের ক্রিস্টোফার ল্যাম্ব বলেছেন, এই যৌন নির্যাতন কেলেংকারি ক্যাথলিক চার্চকে গত ৫০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটে ফেলে দিয়েছিল।

এর ধারাবাহিকতায় পোপ ফ্রান্স এ বছরই ক্যাথলিক চার্চে নিয়মকানুনে সংশোধনী আনেন - যাতে যৌন নিপীড়ন, শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন, শিশু পর্নোগ্রাফি, এবং এসব ঘটনা চাপা দেবার চেষ্টাকে স্পষ্টভাবে অপরাধ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

সোভ ফরাসী দৈনিক লা মঁদকে বলেছেন, এই প্যানেল এমন ২২টি ঘটনার তথ্যপ্রমাণ কৌঁসুলিদের হাতে তুলে 
দেয়া হয়েছে যেগুলোর ব্যাপারে এখনো ফৌজদারি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে। সূত্র : বিবিসি বাংলা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

লাইলাতুল কদর রাতের ইবাদত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
রবিবার, ০৯ মে, ২০২১, ০৮:১১
লাইলাতুল কদর রাতের ইবাদত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম

সংগৃহীত ছবি

 

পবিত্র মাহে রমজান আল্লাহকে একান্ত করে আপন করে নেয়ার মাস এবং নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নেয়ার মাস। এ মাসের বিশেষ মাহাত্ম হচ্ছে লাইলাতুল কদর। তাইতো মুমিনের হৃদয় কাঁদে লাইলাতুল কদরের প্রত্যাশায়। 

বিগত বছরে আত্মায় সংগোপনে সঞ্চিত তাবৎ পাপ অপরাধ ও হৃদয়াভ্যন্তরে পুঞ্জীভূত সব পঙ্কিলতাকে ধুয়ে মুছে সাফ করে সজ্জিতরূপে সজ্জনে পরিণত হওয়ার মাস হল রমজান। 

যারা এ মাসের প্রতিটি সময়কে বিশেষ ইবাদত বন্দেগিতে রত থেকে অতিবাহিত করতে পারবেন তারাই কেবল আল্লাহপাকের প্রিয়ভাজন হবেন। বসন্ত মৌসুমে ফুটন্ত ফুলের সমারোহ হতে মধু আহরণ করে মৌ-মক্ষিকা যেমন সেই মৌসুমকে সার্থক করে তেমনিভাবে একনিষ্ঠ চিত্তের খোদা প্রেমিকগণ রমজানে নিবেদিত ইবাদত গোজারের মাধ্যমে জীবনোদ্দেশ্যকে সার্থক করে এবং আবিষ্কার করে নেয় রমজানের সেই রাতটিকে- যে রাতের ইবাদত হাজার মাস চেয়েও অধিক মর্যাদাবান। 

প্রত্যেক মুমিন বান্দার জন্য ‘লাইলাতুল কদর’-এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ রয়েছে, আর তা হলো, এটা এমন এক রাত, যখন মুমিন এক মহান আশীর্বাদ লাভ করতে পারে। 

প্রসিদ্ধ একটি হাদিস দ্বারা একথা সাব্যস্ত যে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কদরের রাতে যে ব্যক্তি ঐকান্তিক বিশ্বাসের সাথে আল্লাহর পুরস্কার লাভের আশা করে, তার অতীতের সব গুণাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়’ (বোখারি, প্রথম খণ্ড)। 

আমাদের দেশে ২৭ রমজানের রাতকেই লাইলাতুল কদর হিসেবে পালন করা হয়। তবে হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লাইলাতুল কদর অন্বেষণের সময় কখন হবে সে বিষয়ে উপদেশ দিয়ে বলেছেন, ‘রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ কর’ (বোখারি)। হাদিসের ভাষ্যমতে, রমজান মাসের শেষাংশের যেকোনো বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে যেকোনো রাতই লাইলাতুল কদর হতে পারে। 

মহান এ রাত সম্পর্কে আল্লাহপাক তার পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বলেন, ‘এবং তোমাকে কিসে অবহিত করবে যে, লাইলাতুল কদর কি? লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। ঐ রাতে ফেরেশতাগণ এবং কামেল রূহ সকল তাদের প্রতিপালকের হুকুম অনুযায়ী যাবতীয় বিষয়সহ নাযেল হয়’ (সুরা কাদর)। 

এ রাত কখন আসে, কিভাবে আসে এবং কেমন আরাধ্য আত্মার কাছে মহিমান্বিত এ রজনী ধরা দেয়, সে বিষয়ে আমাদেরকে অবগত হতে হবে।

হজরত রাসুল পাক (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের জীবনে আগত প্রতিটি রমজানের শেষ দশকের কোন এক বেজোড় রাত্রিতে এ সম্মানিত রজনীকে সন্ধান করো’ (বোখারি)। 

অর্থাৎ রমজানের ত্রিশটি দিবস অসম্ভব কঠোর সাধনায় অবিরাম আরাধনার পর এ মাসের প্রায় শেষ প্রান্তে এসেই কেবল একজন আরাধক সেই রাতের সন্ধান লাভ করতে পারে। আর এটাই হলো রমজানের নিবিড় ইবাদতের মর্মকথা। 

অতএব, ঐশী পুণ্যে পরিপূর্ণ এ রাতের সন্ধান লাভ করা কোন সাধারণ বিষয় নয় এবং এটি কোন সাধারণ কাজও নয়। যে মহাজন বছরের প্রতিটি দিবস ও রাত সাতিশয় সাধনায় দ্বীনের ইবাদতে ব্রত থেকে পুণ্যতায় পূর্ণ হতে পারবেন কেবল তিনিই সন্ধান পাবেন সে রাতের সওগাত সম্ভার। 

মহান আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘স্মরণ রেখো, আল্লাহর স্মরণেই হৃদয় প্রশান্তি লাভ করে’ (১৩:২৮)। 

মুমিন মাত্রই মাহে রমজানের পবিত্রতায় আল্লাহ স্মরণের মাত্রাকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেয়, ইবাদতের একাগ্রতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এমন কোন পুণ্যের কাজ নেই যা কিনা সে হাতছাড়া করে। 

আল্লাহ প্রেমিকের অন্বেষণ মাত্র একটাই থাকে আর তা হলো, লাইলাতুল কদরকে লাভ করা। এ প্রাপ্যতার মাঝেই সে আত্মার শান্তি আর এ উপার্জনের মাঝেই সে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পায়। প্রতিটি বছর রমজান তার সেই স্বর্গ-সুধা প্রদানের জন্যই আমাদের প্রত্যেককে আহ্বান করে। 

তাই আসুন! রমজানের এ শেষ ক’টিদিন সিয়াম সাধনায় নিবিড়চিত্তে নিবেদিত হয়ে সেই মাহাত্ম্য আহরণে মত্ত হই, যার মাঝে প্রকৃত সুখ নিহিত। কেননা এই শেষ দশকেই আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে আত্মার নাজাতের প্রতিশ্রুতিসহ লাইলাতুল কদরের উপহার রেখেছেন। 

এমনিভাবে বিভিন্ন ইবাদতে খোদা মানুষের আত্মার মঙ্গলার্থে নানান উপায়ে মজুত রেখেছেন তার অনন্যসব অবদান। এসব ব্যবস্থাদি মানুষের প্রতি খোদার অনুকম্পা প্রদর্শনেরই প্রমাণ। 

তাই আমাদের উচিত হবে খোদা সকাশে ধর্ণা দিয়ে সেসব অনুকম্পাদি আহরণ করা। নচেৎ জীবন হবে মূল্যহীন। আমরা তো কোনভাবেই প্রত্যাশা করতে পারি না যে, আমাদের জীবনে আবারও এ রমজান ফিরে আসবে। 

আমরা যদি আমাদের প্রণান্ত প্রচেষ্টা ও আল্লাহর দয়ায় সেই নেয়ামত পেয়েই যাই তখন আমাদের কি করা উচিত? 

এক্ষেত্রে রাসুল করিম (সা.)-এর উপদেশ বাণী হল, তিনি (সা.) বলেছেন, যখন তোমরা লাইলাতুল কদরের সন্ধান পাবে, তখন এ দোয়াটি পাঠ করবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি, হে আল্লাহ তুমি অবশ্যই ক্ষমাশীল। তুমি ক্ষমা করাকে পছন্দ কর, কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা কর’ (তিরমিজি)। 

হে আমাদের পরম প্রিয় করুণাময় খোদা! তুমি আমাদের প্রত্যেককে ক্ষমা কর এবং রমজানের সবকটি নেয়ামত আমাদের প্রত্যেককে দান কর আর লাইলাতুল কদর লাভে আমাদেরকে ধন্য কর, আমিন।

লেখক: ইসলামি গবেষক ও কলামিস্ট/masumon83@yahoo.com/সূত্র:যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সুতাং নদীর তীরবর্তী বসতিতে দুর্গন্ধে জনজীবন হুমকির সম্মুখীন


হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৫৬
সুতাং নদীর তীরবর্তী বসতিতে দুর্গন্ধে জনজীবন হুমকির সম্মুখীন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

হবিগঞ্জ জেলা সদরের সুতাং নদীতে প্রাণ আর এফ এল কোম্পানীর ফেলানো বর্জ্যে এতই দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে যে, ঐ এলাকার জনজীবন হুমকির সম্মুখীন। লোক মুখে শোনা যায় যে, সুতাং নদীর বিষাক্ত পানিতে মাছ পর্যন্ত টিকছেনা। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিনের হবিগঞ্জ জেলার প্রতিনিধি শেখ আব্দুল কাদির কাজল সরোজমিনে সুতাং নদীর তীরে সাধুর বাজারে গেলে, সেখানকার বাতাসে নদীর দূর্গন্ধযুক্ত হাওয়া নাকে লাগলে- তাৎক্ষণিক হাঁচি উঠে এবং সেখানে টিকে থাকা বড়ই কষ্টকর বলে জানান। 

কেমিক্যাল এর পঁচা দূর্গন্ধযুক্ত বাতাস জনজীবনে মহাবিপর্যয় ঘটবে বলেই আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন। তাই এ বিষাক্তযুক্ত পানি নিষ্কাশনে বিকল্প ব্যবস্থা না করলে এখানকার আশে পাশে লোকজন বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। 

তাই পরিবেশ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার নিকট জোর দাবী, অতি সত্বর এখানকার বিষাক্ত পানিকে নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করা এবং ভবিষ্যতে কোন কোম্পানির কেমিক্যালের দুর্গন্ধযুক্ত পানি সুতাং নদীর সাথে সংযোগ স্থাপন না করা হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - ধর্ম