a
নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ তোপের মুখে পরা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ঘিরে এখন দেশব্যাপী আলোচনা তুঙ্গে। যদিও তিনি ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। অবশ্য পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ছাড়া পাওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে দুটি পোস্ট করেছেন হেফাজত ইসলামের এই শীর্ষস্থানীয় নেতা। সেখানে তিনি নিরাপদে আছেন বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন।
সোনারগাঁওয়ের তৌহিদী জনতার প্রতি শুকরিয়া ! তবে কোনো ধরণের উত্তেজনাপূর্ণ আচরণ করা যাবে না !! ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে ।
প্রথম পোস্টে কোনো ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, `আমি নিরাপদে আছি, পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ! কেউ কোনো গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না !!'
এরপরেই আরো একটি পোস্ট করেন। সেখানে সোনারগাঁওয়ের তৌহিদী জনতার প্রতি শুকরিয়া আদায় করে বলেছেন, `কোনো ধরণের উত্তেজনাপূর্ণ আচরণ করা যাবে না। ধৈর্য ও সহনশীলতার সহিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।'
আমি নিরাপদে আছি, পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ! কেউ কোনো গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না !!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় মামুনুল হককে স্থানীয়রা বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানাবো।
এদিকে মামুনুল হক দাবি করেন, সঙ্গে থাকা ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেন নি তিনি।
ফাইল ছবি : ফজলে রাব্বী মিয়া
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বাংলাদেশ সময় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ডেপুটি স্পিকারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার ভাতিজা ফাহাদ রাব্বী সৈকত। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ সময় আনুমানিক রাত ২টার দিকে (নিউইয়র্ক সময় বিকেল ৪টা) নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ইন্তেকাল করেছেন। বিষয়টি আমি ফাহাদ রাব্বী সৈকত আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করছি।’
ডেপুটি স্পিকার দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ৯ মাস ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুর সময় তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা ও একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি বিভিন্নভাবে কাজ করেছেন।
ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন।
২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সংগৃহীত ছবি
শেষ সময়ের ডাক...
একটু বুক ভরে শ্বাস নেবো
সে উপায় নাই,
মুক্ত বাতাসেও প্রাণঘাতী অসুখ !
এ কেমন লীলা তোমার প্রাণেশ্বর !?
প্রতিমুহূর্তে যে প্রাণ অকালপ্রয়াণে নিভে যায়!
বেঁচে থাকার তার কি আছে অধিকার !?
জীবনের জন্য জীবন -আজ বড়ো প্রাণহীন হিমশীতল।
তুমি হীন তুমিময় সংসার
মায়ার অলখ ডোরে বাঁধা কেবলি বিপ্রতীপ ইশারার জাল।
এ কেমন পরীক্ষা তোমার !?
জলের পরে তোমার ছায়া
ধরতে নাহি পারি,
ডুবসাঁতারে জনম গেলো মিছে... প্রভূ
না হইলাম তোমার সঙ্গের কান্ডারী !
দিনের শেষে সন্ধ্যা ঘনাইছে আকাশে
মেঘের ঘনঘটা, বিদ্যুৎ চমকে গর্জিছে যমরাজ !
সময়ের ইতি টেনে বুঝিবা জানায় সম্ভাষণ,
যেতে হবে এইবার... এসেছে ডাক ওপারের ।
বুক ভরে শ্বাস নেই ...!
নীল আকাশ, নীল সমুদ্র
কৃষ্ণচূড়ায় রক্তক্ষরণের ছায়া, সবুজে নীলের কায়া ।
বিষে বিষাক্ত চারিধার !
মরণ রে তুহু মম ঘনশ্যাম ।।