a
ফাইল ছবি
সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতারের পর এবার সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এ দুই শহরে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ বছর এপ্রিল মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দেখা দিয়েছে নজিরবিহীন আবহাওয়া বিপর্যয়। বিরল বৃষ্টিতে প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক মরুর দেশ।
সৌদি ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজি (এনসিএম) এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ করে মক্কা ও মদিনায় ৫০ থেকে ৬০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
এই বৃষ্টিপাত দক্ষিণ-পশ্চিম সৌদি আরবের বাহা, আসির ও জিজান এবং উত্তর-পশ্চিমের তাবুকসহ অন্যান্য সৌদি অঞ্চলেও বিস্তৃত হতে পারে।
সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে উত্তর রিয়াদ ও পূর্ব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার তালিকাভুক্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের এই সময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
এনসিএমের মুখপাত্র হুসেইন আল কাহতানি সম্প্রতি বলেছেন, পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের মুনিফা শহরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এক ঘণ্টায় ৪২ মিলিমিটার ছাড়িয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাত এপ্রিলের শেষ অবধি অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়ার ওঠানামার কারণে জনগণকে সতর্কতা অবলম্বন এবং এনসিএমের নির্দেশনা অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে কর্তৃপক্ষ সশরীরে ক্লাস স্থগিত করে। প্রদেশের শহরগুলোতে মাঝারি থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি প্রবল বাতাস, দুর্বল দৃশ্যমানতা, শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত ও বন্যা দেখা দিয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সারাদেশে কতিপয় বিধি-নিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদসমূহে জামায়াতের নামাজের জন্য কিছু শর্ত আবশ্যিকভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করেছে।
যেসব শর্ত পালন করতে বলছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ঃ
মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে; প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে; মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে; কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে; শিশু, বয়ঃবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে; সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে; করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিগণ দোয়া করবেন এবং খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, অন্যান্য সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন।
উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: শহীদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সরকারি তিতুমীর কলেজের সাবেক ছাত্রদল নেতা গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির দুই বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বার বার কারানির্যাতিত নেতা রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক ও তৃনমূলের ভোটে নির্বাচিত সংগ্রামী সভাপতি এম.এ হান্নান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০১ সংসদীয় আসন-২৪৩ (নাসিরনগর) এ সংসদ সদস্য সদে বিএনপি'র দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে নাসিরনগর উপজেলাবাসীর সুখ দুঃখের সাথী হতে চান তিনি।
আজ ৩১শে অক্টোবর ২০২৫ বিকেল পাঁচটায় রাজধানী ঢাকার বংশালের ফজলুল করিম কমিউনিটি সেন্টারে জননেতা জনাব এম এ হান্নান এর সাথে ঢাকাস্থ নাসিরনগর উপজেলাবাসীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ আসন থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং পরিচিত সভায় সভাপত্বিত করেন জনাব, মোঃ জাহের মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন জনাব, এম এ হান্নান, সভাপতি - নাসিরনগর উপজেলা, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
নাসিরনগর উপজেলার প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জনাব মোঃ আবুল হাসান চৌধুরীর পরিচালনায় উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব, মফিজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব, অর্থ মন্ত্রনালয়। জনাব, এড. আমিনুল ইসলাম মনির, সদস্য, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম, সুপ্রিম কোর্ট বার শাখা। জনাব, মোহন মোল্লা, যুগ্ম-আহবায়ক শাহবাগ থানা বিএনপি, ঢাকা। জনাব, অধ্যাপক ডঃ হাফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া, সভাপতি, নাছির নগর উপজেলা সমিতি-ঢাকা। জনাব, মোস্তাক আহমেদ, বযুগ্ম-আহবায়ক, কোতয়ালী থানা বিএনপি, ঢাকা। জনাব, আলহাজ্ব হাফিজ উদ্দীন ভূঁইয়া, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ীসহ ঢাকাস্থ্য নাসিরনগর উপজেলার সকল নেতাকর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম.এ হান্নান বলেন, বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত এর রূপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নে আমরা নাসিরনগরবাসী বদ্ধপরিকর। আমি আপনাদের পাশে আছি। আপনারাও আমার পাশে থেকে দেশবাসীর সেবা করা সুযোগ দিন। সবশেষে তিনি সকলের দোয়া চাইলেন এবং বাহ্মণবাড়িয়া-১ সংসদীয় আসন ২৪৩ থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী করেন।
উল্লেখ্য যে, জনাব তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ৩১ দফা দাবি দিয়েছেন। তিনি সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে প্রণীত এজেন্ডা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র গড়িয়া তুলিয়াছিল, সেই রাষ্ট্রের মালিকানা আজ তাহাদের হাতে নাই। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাঠামোকে ভাঙ্গিয়া চুরমার করিয়া ফেলিয়াছে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনগঠন করিতে হইবে। দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরাইয়া দেওয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার হঠানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমূহের সমন্বয়ে একটি "জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐকমত্যের সরকার" প্রতিষ্ঠা করা হইবে।