ঢাকা শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

পদ্মা সেতু-অভ্যন্তরীণ ভূ-রাজনীতির ট্রাম্প কার্ড


আবু হানিফ, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ০২ জুলাই, ২০২২, ১২:০২
পদ্মা সেতু-অভ্যন্তরীণ ভূ-রাজনীতির ট্রাম্প কার্ড

ফাইল ছবি

দেশি-বিদেশি অনেক ষড়যন্ত্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অবশেষে ২৫ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  হাত দিয়ে উদ্ভোধন হলো আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির মহাকাব্যিক গেম চেঞ্জার পদ্মা সেতু।পদ্মা সেতু কেবল একটি ইট - পাথরের অবকাঠামো নয়,  এটি  বাঙালির বিজয়,  আত্মপরিচয়, আত্মমর্যাদা,  অহংকার, গর্ব ও  সক্ষমতার প্রতীক। ষড়যন্ত্র পদদলিত করে বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়ানোর স্তম্ভ । সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায় - জলে পুড়ে মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়। জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণে বলেছিলেন  'আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না' । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্ভোধনের মধ্যদিয়ে জাতির পিতা আর সুকান্তের কথার আবারও  প্রমাণ দিয়ে উচ্চারণ করলেন "যতবারই হত্যা করো জন্মাবো আবার, দারুণ সূর্য হবো লিখবো নতুন ইতিহাস "।

আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির ট্রাম্প কার্ড স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্ভোধনের মধ্যদিয়ে  বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির পাশাপাশি  আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতিতেও পদ্মা সেতু নতুন গেম চেঞ্জার হবে।

পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের নিয়ন্ত্রিত   বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের সে বাধার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল এডিবি, আইডিবি ও জাপানের  জাইকা। অথচ পদ্মা সেতু উদ্বোধনে সেই তারা  ও বিশিষ্টজনেরা কী বলে একটু দেখে নিই :

ঢাকায় নিযুক্ত  মার্কিন দূতাবাস থেকে বিবৃতি হলো " পদ্মা সেতুর  নির্মাণসাফল্য দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগের উন্নয়নে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ‘উদাহরণ’ "।

অন্যদিকে নিজস্ব  অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সঠিকভাবে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে  বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন।

শুধু তাই না  জাপানের রাষ্ট্রদূত  ইতো নাওকি বলেন, " পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে। এটা স্পষ্টভাবে বলে দেয় যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় স্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশ অনেক কিছুই করতে পারে এবং পদ্মা সেতু সেই সক্ষমতার জানান দিয়েছে  "।

ভিডিও বার্তায় চীনা রাষ্ট্রদূত নিজস্ব অর্থে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু নির্মাণে সাহসিকতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘সেতুটি আমার কাছে সাহসের একটি প্রতীক। স্বল্পোন্নত দেশ বাংলাদেশ এমন সেতু নির্মাণ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট  সংশয় ছিল। তারপরও বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ সেতুটি শুধু বাস্তবায়নই হয়নি, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে এর শতভাগ নির্মিত হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে যদি সাহসের কোনো সীমা না থাকে, তবে আকাশ তার সীমা।’

অপরদিকে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের  বাংলাদেশে নিযুক্ত  হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন 'বাংলাদেশের গর্ব ও মর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্যই অত্যন্ত  গুরুত্বপূর্ণ '।

ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন " পদ্মা সেতু দক্ষিণ অঞ্চলে মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো আর সেটার সফল বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ "

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্বের প্রতিফলন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন। এই সেতু আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় ও সুসংহত করবে।’

পদ্মা সেতু উদ্বোধন ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে খানিকটা এগিয়ে নিল কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, নিশ্চয়ই নেবে। কেউ কাজ করলে সে অগ্রসর হবে না কেন।

বর্তমানে আওয়ামীলীগের কট্টর সমালোচক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী  বলেন, ‘আজকে জাতির এই সাহসী উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। অত্যন্ত আনন্দঘন অনুভূতি এটা। একাত্তরেও মুক্তিযুদ্ধ করতে পেরেছি। আজকে পদ্মা সেতু নিজের চোখে দেখতে পেরেছি। এটি আমার জীবনের বড় একটি আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়ে গেছে। উনি অনেক ভালো কাজ করেছেন। এখন উনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’

বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর ( অব)  আকতার বলেন - বেগম খালেদা জিয়া সাবেক  প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে মাননীয়  প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে পারতেন। এতে ইতিবাচক জনমত তৈরি হতো বলেই আমি বিশ্বাস করি ।

রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) বলেন - যারা নিজস্ব জায়গা থেকে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে এবং নাম শুনতে পারে না, তাদের একটি অংশও আজ বলতে বাধ্য হচ্ছে, শেখ হাসিনা সত্যি পেরেছেন, তিনি পারেন। জাতীয় নেতৃত্বের বিশাল স্বীকৃতি। দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলায় যাঁরা বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মী রয়েছেন, তাঁদের মুখেও শোনা যাচ্ছে, শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কেউ এই পদ্মা সেতু করতে পারতেন না। সুতরাং আগামীর রাজনীতিতে এর একটি প্রভাব থাকবে, সেটিই স্বাভাবিক।

পদ্মা সেতু ভৌগলিকভাবে খণ্ডিত বাংলাদেশকে একসঙ্গে করেছে বলে মনে করেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বুয়েটের  অধ্যাপক ড. শামসুল হক।

অন্যদিকে রাষ্ট্রের অখণ্ডতার জন্য পদ্মা সেতু ভীষণ জরুরি ছিল বলে মনে করে পদ্মা সেতুতে কারিগরি টিমে কাজ করা নদী বিশেষজ্ঞ  ড. আইনুন নিশাত। তিনি আরো বলেন বিশ্ব ব্যাংক রাজনৈতিক কারণে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে। দূর্নীতি হলে সেটার দায়ভার আমার আর ড.জামিলুর রেজা চৌধুরীর হতো।

বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক বলেন -
কূটনীতিতে পূর্বানুমান  অনুসারে ভূরাজনীতির  ঘুঁটির বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার প্রতিপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। পদ্মা সেতুর কারণে  যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চীনা চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।  পদ্মা সেতুর ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব অত্যন্ত জটিল। তাই এ সেতু নিয়ে চীনের উচ্ছ্বাস ভিন্ন মাত্রার।

গণতন্ত্রে  জনগণই হলো সবচেয়ে বড় শক্তি। বিভিন্ন রকম নানাবিধ সমস্যা পরও আওয়ামীলীগ সরকার এক পদ্মা সেতু দিয়ে দেশের সিংহ ভাগ মানুষের  সমর্থন এবং সহমর্মিতা আদায় করেতে সক্ষম হয়েছে।  সে কারণেই পদ্মা সেতু জাতীয়  রাজনীতির মাঠে সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। এই আবেগ, উচ্ছ্বাস- ও আনন্দের কারণে বিরোধী দল হঠাৎ করে এখন যেমন আন্দোলনের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে না, তেমনি ভূ-রাজনীতির খেলোয়াড়েরা  বিপুল জনসমর্থনে থাকা এই সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম চাপ প্রয়োগ করেও খুব একটা সফল হতে পারবে বলে মনে হয়  না। ঐক্যবদ্ধ  জনগণের শক্তি যে বড় শক্তি, সেটি পদ্মা সেতু আবারও প্রমাণ করেছে। এই সেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারকে বিশ্বাস করতে শিখেছে যে,  শেখ হাসিনা যা বলেন তা পালন করেন। ফলে আগামী রাজনীতিতে পদ্মা সেতু একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দাঁড়াবে।

প্রমত্ত পদ্মায় সেতু নির্মাণ শুধু দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেই না আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতেও এর প্রভাব অপরিসীম হবে। এ সেতুকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনীতির দাবার চাল  যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের দিকে গমন করতে পারে বলে মনে করেন দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ।
ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশকে বলা হয় ‘দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়ার সেতু’। বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নের সুতিকাগার ইউরোপ নয়, বরং এশিয়া।  বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হলো এশিয়া এবং অত্র অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থান একবারে কেন্দ্র পর্যায়ে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন মানেই হচ্ছে এশিয়ার উন্নয়ন।  সাম্প্রতিক সময়ে বুঝা যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিযোগীতা- প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক খেলায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা হিসাবে আবির্ভূত  হয়ে উঠেছে। এইরূপ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ একটি ‘উন্নয়ন হাব’ হিসেবে  যদি  পদ্মাসেতুর গুরুত্ব বিবেচনা করে দেশ হিসাবে  নিজেদের সক্ষমতা  কাজে লাগাতে পারে তাহলে সামনের দিনগুলোতে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা আরো বৃদ্ধি পাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই এবং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় গুরুত্বপূর্ণ পালাবদলের ভুমিকায় থাকবে এই পদ্মা সেতু।

গত এক দশকে পশ্চিমা  নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিপরীতে চীনকেন্দ্রিক নতুন এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উত্থান  লক্ষ করা যাচ্ছে ।  পদ্মা সেতুকেন্দ্রিক রাজনীতিতে চীন প্রথমেই বিশ্বব্যাংককে হারিয়ে দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের পরাজয় মানে কার্যত যুক্তরাষ্ট্রেরই পরাজয়। এতে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের থেকে পিছিয়ে গেল।

রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির মেরুকরণ ও সমীকরণ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা  স্পষ্ট হচ্ছে। চীন-ভারতের সম্পর্কে বরফ গলা শুরু হয়েছে। টাইমস নার্ড নামের ভারতের একটি জনপ্রিয় সংবাদ চ্যানেলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের সমস্যা রয়েছে, তবে সেটি দেখভাল করার জন্য ভারত একাই যথেষ্ট, অন্য কারো সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজন নেই। ’ এটিকে চীন - ভারতের সুসম্পর্ক হিসাবেও অনেকে ইঙ্গিত করেছেন। চীনও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে।
জয়শঙ্কর আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন - ইউরোপের সমস্যাকে ইউরোপবাসী বিশ্বের সমস্যা মনে করে। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য সমস্যাকে ইউরোপ নিজেদের সমস্যা মনে করে না। তিনি আরো বলেছেন, আগামী দিনে ইউরোপকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার পরিবর্তন হবে, যে কথা চীন বহু আগে থেকেই বলে আসছে।

এসব বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে চীন-ভারত সম্পর্কের মধ্যে সুঘ্রাণের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, এই সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকলে  পুরো এশিয়া অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক আবহাওয়ার বিশাল পরিবর্তন ঘটবে। সেই পরিবর্তনের ঢেউ এসে পড়বে পদ্মা সেতুর ওপর।
 সুতরাং পদ্মা সেতুর যেমন অভ্যন্তরীণ গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে বহুমাত্রিক ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব।

অনেক ষড়যন্ত্র ও হাজারো  চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  বিচক্ষণ, দূরদর্শী, চৌকশ নেতৃত্বের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর উদ্ভোধন  বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট মহাকাব্য।  এই মহাকাব্যিক অর্জন বিশ্বরাজনৈতিক পরিমন্ডলে আমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে অনন্য মর্যাদায়-অনন্য উচ্চতায়। মর্যাদার এই আসন সমুন্নত রেখে  আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির  প্রতিটি পথচলায় লাল-সবুজের এই মহাকাব্যিক অগ্রযাত্রাকে উঁচিয়ে ধরে নায্য অধিকার আদায়ের জন্য দল,মত নির্বিশেষে সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে  কাজ করতে হবে।

লেখকঃ ইঞ্জিনিয়ার  ফকর উদ্দিন মানিক
সভাপতিঃ সিএসই এলামনাই এসোসিয়েশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
(লেখকঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পাঠ্য বই)

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সমকালীন প্রসঙ্গ-দিল্লি: গোলাম মাওলা রনি


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৮:৪২
 সমকালীন প্রসঙ্গ-দিল্লি গোলাম মাওলা রনি

ছবি: গোলাম মাওলা রনি

খুশবন্ত সিংয়ের বইটি পড়ার পর আমার মধ্যে একধরনের পাগলামো শুরু হয়ে গেল। নতুনভাবে দিল্লিকে জানার জন্য আমি বইপুস্তক ঘাঁটতে শুরু করে দিলাম এবং দিল্লির মাটি ও মানুষ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা নেয়ার জন্য নিজেকে ইবনে বতুতা, মার্কো পলো অথবা হেরোডোটাস সাজিয়ে লম্বা সময় নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলাম। মহাভারতে বর্ণিত ইন্দ্রপ্রস্থ কিংবা মৌর্য সম্রাট অশোকের জমানার শ্রীনিভাস পুরীর সাথে মুসলমানদের তৈরি দিল্লির কী সম্পর্ক তা জানার জন্য আমি সেবার যে কষ্ট করেছিলাম তা স্মরণ করলে নিজের হাসি থামাতে পারি না। ব্রিটিশরা কেন দিল্লিকে ১০০ বছর ধরে পাঞ্জাব প্রদেশের অধীন একটি ছোট শহর বানিয়ে রেখেছিল এবং ১৯১১ সালে হঠাৎ করে কেনই বা কলকাতা থেকে তাদের রাজধানী দিল্লিতে নিয়ে গেল তা চিন্তা করতে গিয়ে আমার মাথার চুল পড়তে শুরু করল। আর কেন বাংলাদেশের ভূখণ্ড গত পাঁচ হাজার বছর ধরে দিল্লিকে ঘৃণা করে তা খুঁজতে গিয়ে আমি প্রায় মরিমরি অবস্থায় পড়ে গিয়েছিলাম।

আজকের নিবন্ধে দিল্লি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গেলে রীতিমতো মহাভারত রচনা করতে হবে। সুতরাং ইতিহাস বর্ণনা না করে বরং ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আমার মনে কেন দিল্লি নিয়ে নিবন্ধ রচনার সাধ জাগল সে ব্যাপারে কিছু বলি। বাংলাদেশের ডামি নির্বাচনের কলকাঠি যে দিল্লি থেকে নাড়ানো হয়েছে তা এখন এই দেশের পাগলরাও বুঝে গেছে। অন্য দিকে যারা কলকাঠি নেড়েছে তাদের লোকজন মশকারা করে স্বামী বলার চেষ্টা করছে। অথচ শব্দটির রয়েছে বহুমাত্রিক অর্থ। সংস্কৃত শোয়ামি থেকে স্বামী শব্দের উদ্ভব যা প্রাচীন হিন্দুরীতি অনুযায়ী একটি সম্মানজনক উপাধি। কোনো নারী কিংবা পুরুষ দীর্ঘ দিন ত্যাগের পথ অনুসরণ করে যে সন্ন্যাস ধর্ম পালন করেন এবং তপস্যা করতে করতে যখন সিদ্ধি লাভ করেন তখন তাদের স্বামী উপাধি দেয়া হয়।

আমাদের দেশে স্বামী বলতে সাধারণত পুংলিঙ্গ বোঝালেও মূলত আদি উৎস সংস্কৃত ভাষায় স্বামীর কোনো লিঙ্গ নেই। এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ উপাধি যা নারী-পুরুষ যে কারো ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। হিন্দিতে স্বামী বলতে প্রভু, শিক্ষক, রাজপুত্র, দেবতার প্রতিচ্ছবি অথবা দেবালয় অর্থাৎ মন্দির বোঝানো হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ভারতের উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানে ব্যবহৃত আঞ্চলিক উপাধি যার সাথে দিল্লি-ভারতবর্ষ এবং বাংলার কী সম্পর্ক রয়েছে তা নিয়েও আজকের নিবন্ধে সাধ্যমতো আলোচনার চেষ্টা করব। কিন্তু তার আগে বাংলা ভাষায় স্বামী বলতে কী বোঝায় তা নিয়ে সংক্ষেপে কিছু বলে নিই। একজন নারীকে বিয়েশাদির মাধ্যমে অবাধে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানার যিনি অধিকারী তিনিই স্বামী। তিনিই স্বামী যিনি তার স্ত্রীর ওপর অধিকার প্রয়োগ করেন এবং ইচ্ছেমতো বিধিনিষেধ আরোপ করেন। স্বামীর ঔরসে উৎপন্ন এবং স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তানের ওপর স্বামীর কর্তৃত্ব সীমাহীন। বৈবাহিক সম্পর্কে স্বামী একগামী কিংবা অনায়াসে বহুগামী হতে পারে, অর্থাৎ একই সাথে বহু পাত্রীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক রাখতে পারে। স্ত্রী যতদিন জীবিত থাকেন ততদিন পুরুষের স্বামীত্ব বজায় থাকে। স্ত্রী মারা গেলে স্বামীর উপাধি পরিবর্তন হয়ে যায় এবং তখন তাকে বিপত্মীক বলে ডাকা হয়। কিন্তু স্ত্রী যদি আইনসঙ্গতভাবে পরিত্যাজ্য হন তবুও স্বামীত্ব চলে যায় না- সে ক্ষেত্রে স্বামীকে বলা হয় প্রাক্তন স্বামী।

ডামি মার্কা নির্বাচনের পর দিল্লির বিরুদ্ধে জনগণের ঘৃণা ও ক্রোধে এক নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। দিল্লির কর্তৃত্বপরায়ণ স্বামীরা যেভাবে বাংলাদেশের ওপর গত ৫২ বছর ধরে ক্রমাগত ছড়ি ঘুরিয়ে আসছে সেই ছড়ির পরিণতি অনাগত দিনে কিরূপ হতে পারে তার কিছু নমুনা ইতিহাস থেকে বর্ণনা করছি। বাংলা নিয়ে সুলতানি আমলে কিংবা মোগল আমলে যখন দিল্লির তৎকালীন স্বামীরা বাড়াবাড়ি করেছে ঠিক তখনই বাংলা বিদ্রোহ করে বসেছে। সেই বিদ্রোহ দমন করার জন্য গিয়াস উদ্দিন বলবন, ফিরোজশাহ তুঘলক, সম্রাট আকবরের সেনাপতি মহারাজা মানসিংহ ও সম্রাট জাহাঙ্গীরের সেনাপতি মীর জুমলা বাংলাদেশে এসেছেন বটে কিন্তু যুদ্ধ করে বাঙালিকে দমাতে পারেননি। সম্রাট আওরঙ্গজেবের জমানায় দু’দফায় সুবেদার শায়েস্তা খান ২০ বছরের জন্য শান্তি স্থাপন করতে পেরেছিলেন বটে কিন্তু শেষ অবধি টিকতে পারেননি। পরে নবাব মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদ নিয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় নতুন প্রেক্ষাপট।

ইংরেজ জমানার পুরোটা সময় পূর্ববঙ্গ-পশ্চিমবঙ্গ, বিহার-আসাম সবসময়ই ছিল অগ্নিগর্ভ। বারবার প্রশাসনিক রদবদল-বিভক্তি ও শত দমন-পীড়নেও বাংলার মাটি থেকে সূর্যসেনের মতো বিপ্লবী তৈরি হওয়া বন্ধ করতে পারেননি; বরং ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে বাংলা বৃটিশদের কাছে কতটা গলার কাঁটা হয়েছিল তা সদরঘাটের বাহাদুর শাহ পার্কের ইতিহাস পড়লেই টের পাওয়া যায়। পাকিস্তান জমানায় দিল্লি পূর্ববঙ্গে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও তাদের তাঁবেদার খয়ের-খাঁ ও এজেন্টদের মাধ্যমে পূর্ববঙ্গের শিল্পায়নের সর্বনাশ করেছিল এবং রাজনীতিতে ইন্ধন জুগিয়ে আরো সব কী করেছিল তা আমরা কমবেশি সবাই জানি।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের ওপর অনৈতিক চাপ, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরির জন্য আওয়ামী লীগে বিভক্তি, ছাত্রলীগে দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত এবং জাসদ-সর্বহারাদেরকে মদদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। এরশাদের সামরিক অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের আজকের দিন পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে যা কিছু করছে তার ফলে এ দেশের বৃক্ষ-লতা-পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ থেকে শুরু করে মানুষের দেহে যে বিষ ব্যথা তৈরি হয়েছে তা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে সহ্যের সীমা অতিক্রম করে গেছে।

ডামির আগে ভারত দেশের ছোট-বড় রাজনৈতিক দলের সাথে সমানতালে খেলেছে। প্রেস ক্লাবের সামনে যেসব ছোট ছোট দল ছোটখাটো পথসভা করে তাদের মধ্যেও সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি হওয়ার লোভের বীজ বপন করেছে। দেশের ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সাথে তাদের কেমন যোগাযোগ ছিল তা তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি কিংবা তার ভাতিজা নবগঠিত সুপ্রিম পার্টির নেতা সাইফুদ্দীন মাইজভাণ্ডারির নির্বাচনী প্রতীক একতারার তারের বেহাল দশা দেখলেই বোঝা যাবে। হেফাজতের একাংশ, সিলেটের ফুলতলী পীর কিংবা আটরশির ফয়সালের গোলাপ ফুলের করুণ দশার পর তাদের কাছে যদি এখন কোনো ভারতীয় এজেন্ট কথা বলতে যায় তবে মাজারপন্থীদের মেজাজ ঠিক থাকবে না।

ডামির আগে বিএনপি-জামায়াত-জাতীয় পার্টিকে নিয়েও ভারত খেলেছে এবং সবাইকে ফাঁকি দিয়ে জুয়ার ধন তুলে দিয়েছে প্রিয়জনের হাতে। ফলে ডামি নির্বাচন-পরবর্তী সময় পরিবেশ ও প্রতিবেশ এখন দিল্লির জন্য দুর্বোধ্য, ভয়ঙ্কর ও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হয়ে পড়েছে।

দিল্লি সম্পর্কে এত কিছু বলার অর্থ হলো, দিল্লির প্রকৃতি ও পরিবেশ মহাকাল থেকেই জীবাণুযুক্ত। দিল্লির কবলে পড়লে ফেরেশতা কিভাবে শয়তানে পরিণত হয় তা খুশবন্ত সিংয়ের দিল্লি উপন্যাসের পরতে পরতে উল্লেখ করা হয়েছে। একইভাবে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ফিরিসতা রচিত তারিখ-ই-ফিরিসতা গ্রন্থে এবং গুলশান-ই-ইব্রাহিমি গ্রন্থে মুসলিমদের ভারত বিজয়ের আগের সর্বভারতীয় ইতিহাস বর্ণনা করে গেছেন। দিল্লিকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ভারত, আফগানিস্তান ও উত্তর ভারতের হাজার বছরের ক্ষোভ ফিরিসতা গ্রন্থে অসাধারণভাবে উপস্থাপন করেছেন। দিল্লির প্রতাপশালী শাসকদের মধ্যে একমাত্র সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলক দিল্লির মাটি ও মানুষের বিষাক্ত রসায়ন বুঝতে পেরে তার রাজধানী দিল্লি থেকে দেবগিরিতে স্থানান্তর করেছিলেন। পৃথিবীর তাবৎ সুসভ্য ও মেধাবী অভিযানকারী দিল্লিতে স্থায়ী হননি। আলেকজান্ডার, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, অশোক, পৃথ্বিরাজ চৌহান, মুহাম্মদ ঘুরি প্রমুখ দিল্লির মাটি স্পর্শ করেননি। হর্ষবর্ধন-শশাঙ্ক, শিবাজি রাও, রণজিৎ সিং যেমন দিল্লির নাম শুনতে চাননি তদ্রুপ মহাভারতের পাণ্ডব-কৌরবরা দিল্লির পার্শ্ববর্তী হরিয়ানায় যুদ্ধ করেছে কিন্তু তৎকালীন দিল্লি অর্থাৎ ইন্দ্রপ্রস্থের ধারে কাছেও যায়নি।

নাদির শাহ, আহম্মদ শাহ আবদালি এবং তৈমুর লং ভারত জয় করলেও দিল্লিতে অবস্থান করেননি। এমনকি দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলো যথা অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাড়– ও তেলেঙ্গানা অঞ্চলে বিগত হাজার বছরের ইতিহাসে অনেক বড় রাজবংশ, রাজাধিরাজ তৈরি হয়েছেন কিন্তু তারা দক্ষিণ ভারত নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন। ব্রিটিশ ভারতে সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল ও মহাত্মা গান্ধী ছাড়া অন্য কেউ দিল্লির কেন্দ্রীয় রাজনীতির ব্যাপারে উৎসাহী ছিলেন না। আর সেই দক্ষিণ ভারত থেকেই নরেন্দ্র মোদি বাবরি মসজিদ ভেঙে উগ্র হিন্দুত্ববাদের দেবতা হয়ে দিল্লির মসনদে বসে দিল্লির বিষাক্ত ইতিহাসের সাথে নিজের রক্তাক্ত হাতের ছোঁয়া লাগিয়ে ভারতবর্ষে কী সব কাণ্ড করে চলেছেন তা আমরা সবিস্তারে না জানলেও বাংলাদেশে যা কিছু করেছেন তা আমাদের রক্ত-মাংসের ভেতর এমনভাবে ঢুকে গেছে যার প্রতিক্রিয়া জন্ম-জন্মান্তরে আমাদের পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকবে।

আমরা আজকের আলোচনার একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। দিল্লির স্বামীদের অনাগত পরিণতি বাংলার জমিনে কী হবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে হালআমলে তারা আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও মালদ্বীপ থেকে যেভাবে বিতাড়িত হয়েছে তার চেয়েও করুণ পরিণতি তাদের উপহার দেয়ার জন্য বাংলার আকাশ-বাতাস-স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। সূত্র: নয়া দিগন্ত

লেখক: গোলাম মাওলা রনি: সাবেক সংসদ সদস্য, লেখক ও সাংবাদিক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

১০ দফা দাবিতে বিএনপির গণমিছিলের কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৬:০৩
১০ দফা দাবিতে বিএনপির গণমিছিলের কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর

ফাইল ছবি

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ২৪ ডিসেম্বর পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল করবে বিএনপি।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগের সমাবেশ থেকে সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনের  অংশ হিসেবে প্রথম কর্মসূচি হিসেবে ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিলের ঘোষণা করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয় বিএনপির কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তন করার জন্য। কারণ, ওইদিন (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে নতুন করে গণমিছিলের তারিখ ঘোষণা করা হলো। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - মতামত