a
ফাইল ছবি
ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে। এতে অন্তত ২০ ওমরাহযাত্রী নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৯ জন। খালিজ টাইমস, গালফ নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদির দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের আকাবা শার নামক স্থানে একটি সেতুর সঙ্গে যাত্রীবাহী একটি বাসের সংঘর্ষ হয় এবং উল্টে গিয়ে এটিতে আগুন ধরে যায়। হতাহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কায় যাচ্ছিলেন। ব্রেকজনিত সমস্যার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
দুর্ঘটনার পর রেড ক্রিসেন্ট দলসহ জরুরী পরিষেবা সংস্থাগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করেন। একইসঙ্গে তারা এলাকাটি ঘিরে রাখে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-এখবারিয়া হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেছে, নিহতদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন। তবে তারা কোন দেশের নাগরিক এবং পরিচয় কী তা তাৎক্ষণিক প্রকাশ করা হয়নি। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারো মাসে তের পার্বন। গতকাল ১২ জুলাই, ২০২১, ২৭ আষাঢ়, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ সোমবার রথযাত্রা উৎসব। এই উৎসব হিন্দুদের কাছে একটি পূণ্য তিথিও। এই পূণ্য তিথিতে শ্রীজগন্নাথ ধামপুরী ছাড়াও বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়।
হিন্দুদের বিশ্বাস রথের দড়ির স্পর্শ করলে (দড়ি টানলে) পূণ্য লাভ হয়। শাস্ত্রমতে রথযাত্রার পূণ্য তিথিতে যে কোনও কাজ শুরুর ক্ষেত্রে শুভ।
তবে করোনা মহামারীর কারণে এ ঐতিহ্যবাহী উৎসবে আমেজ প্রায় শূন্য। সারাদেশের মন্দির প্রাঙ্গণেই সীমিত পরিসরে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে রথটানা ও অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালা আয়োজিত হবে। করোনার কারণে গতবছরও অনুরূপভাবে সীমিত পরিসরে রথযাত্রা উৎসব উদযাপিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সীমিত পরিসরে রথযাত্রা আয়োজন বিষয়ে সারাদেশের পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতাদের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, কেবল মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে ও ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী মন্দিরের ভেতরে রথটান ও পুজোসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে মন্দিরের বাইরে কোন ধরনের শোভযাত্রা কিংবা ভক্ত সমাবেশ করা হবে না।
প্রতিবছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে এই রথযাত্রা শুরু হয়। এর নয়দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত হয় উল্টো রথযাত্রা। এবারের উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ জুলাই। রথযাত্রার মতো উল্টো রথযাত্রাও উদযাপিত হবে সীমিত পরিসরে।
জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ঢাকা’র সীমিত পরিসরের অনুষ্ঠানমালা আজ শুরু হচ্ছে। ইসকনের স্বামীবাগ আশ্রম মন্দিরের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে দুপুর ১২টায় মন্দিরের ভেতরেই রথটান অনুষ্ঠিত হবে। ২০ জুলাই উল্টো রথযাত্রাও একইভাবে আয়োজিত হবে।
ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী যশোমাধবের রথযাত্রাও সীমিত পরিসরে আয়োজিত হবে। এছাড়া পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের জগন্নাথ জিউ ঠাকুর মন্দির, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির এবং শাঁখারীবাজার একনাম কমিটিসহ রাজধানীর অন্যান্য মন্দির ও দেশের বিভিন্ন মন্দিরেও সীমিত পরিসরে রথটান অনুষ্ঠিত হবে।
ফাইল ছবি
দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য করোনার টিকা কার্যক্রম ১১ আগস্ট থেকে শুরু হবে। এরপর আবার ২৬ তারিখ দ্বিতীয়বার টিকা দেওয়া হবে। রবিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে এই মুহূর্তে শিশুদের জন্য প্রায় ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। এগুলো দিয়ে আমরা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ১৫ লাখ শিশুকে টিকা দিতে পারব। পরবর্তীতে শিশুদের জন্য আরও টিকা আনা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘করোনা কিছুটা কমেছে। তবে, এখনো করোনায় দু-চারজন মারা যাচ্ছে। যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই করোনার টিকা নেননি। এখন টিকা না নিলে, হাতে মজুদ টিকার মেয়াদ দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে। মেয়াদ থাকতে দ্বিতীয় ডোজ টিকা না নিলে তারা পরবর্তীতে আর বুস্টার ডোজ নিতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানে শিশুদের জন্মের পর থেকেই মায়ের দুধ পান করানোর ওপর গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দেশে এখন ৭০ ভাগ দুগ্ধজাত শিশু মায়ের দুধ পান করলেও প্রায় ৩০ ভাগ শিশু মায়ের দুধ পান করে না। কেন করছে না সে বিষয়টিতে আরো গুরুত্ব দিতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কল-কারখানায় মায়েদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার চালুর ব্যাপারে জোর দেন। সূত্র: ইত্তেফাক