a ঔষধিগুণ সম্পন্ন কালো ধানের সম্ভাবনা!
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ পৌষ ১৪৩২, ০১ জানুয়ারী, ২০২৬
https://www.msprotidin.com website logo

ঔষধিগুণ সম্পন্ন কালো ধানের সম্ভাবনা!


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:২৫
ঔষধিগুণ সম্পন্ন কালো ধানের সম্ভাবনা

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ, ভারত শ্রীলঙ্কা, ভুটানসহ এশীয় অঞ্চলের প্রধান খাদ্য হিসেবে সকলের কাছে প্রথম পছন্দ ভাত। আর বাঙালি হলে সেক্ষেত্রে কথাই নাই। বাঙালি জনগোষ্ঠীর অন্য সব কিছু না হলেও ভাত ছাড়া চলে না তাদের। বর্তমান কৃষি ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ধান চাষ করা হয় যেমন ইরি, বোরো, আউশ, আমন ইত্যাদি। যা আমাদের ভাতের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। 

বর্তমান সময়ে নতুন এক প্রজাতির ধানের সন্ধান দিয়েছে বিজ্ঞানীরা যা আমাদের ভাতের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি  দেহের কিছু কঠিন রোগ প্রতিরোধে ভুমিকা রাখতে সক্ষম। বিভিন্ন জায়গায় নতুন প্রজাতির কালো দেখা যাচ্ছে কালো ধানের চাষ হচ্ছে এ চাল নাকি ক্যান্সারকে দূরে রাখে। শুধু ক্যান্সারই নয়, এ চালে মানুষের স্নায়ুও ভাল রাখতে সক্ষম বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। এমনকী আরো দাবি করা হচ্ছে যে এ চাল আলঝাইমার্স-এর সঙ্গেও মোকাবিলার ক্ষমতা আছে। 

ভারতে এ ধরনের চাল আগে চাষ হলেও এমন ঔষধিগুণ সম্পন্ন চালের কথা আগে শোনেননি ভারতের চাষিরা। তাঁদের সবার কাছে এমন ধানের কথা তুলে ধরেন মণিপুরের ধান গবেষক ৬৩ বছরের পি দেবকান্ত। এই ধানের নাম ‘চাখাও পোইরিটন’।

তিনি চাষিদের বলেছেন, “এটা আসলে আমাদের জন্য ধান নয়, এটা আসলে ভেষজ ঔষধ। শুধু টাকার জন্য চাষ না করে নিজেদের রোগমুক্ত রাখতে এই ধান চাষ করতে সকলকে আহ্বন জানান এই গবেষক"।

কালো ধান নিয়ে গবেষনা করা এই বিজ্ঞানী  ২০১২ সালে ভারত কেন্দ্র সরকারের ‘প্রোটেকশন অফ প্লান্ট ভ্যারাইটিস অ্যান্ড ফার্মাস রাইট অ্যাক্ট’ পুরষ্কার পেয়েছেন। এই ধানের ফলন যাতে বেশি হয়, এজন্য উচ্চতর গবেষণা চলছে। কালো চাল ক্যান্সার প্রতিরোধক এবং এন্টি এজিং। এছাড়াও বার্ধক্য, ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ প্রতিরোধক ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর। এ চালের ভেতর ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেল থাকে, অত্যন্ত পুষ্ঠিগুন সমৃদ্ধ।

বাংলাদেশও এ ধানের চাষ শুরু হয়েছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লায় কালো ধান চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন কুমিল্লার চাষী মনজুর হোসেন, নিজের তৈরি করা বীজ নিয়ে তিনি ১৫ জন কৃষকের সাথে চুক্তিভিত্তিক ভাবে চাষ করে কালো ধান, দেশব্যাপী এই ধান ছড়িয়ে দেওয়ার আশা করছেন কুমিল্লার এই কৃষক। একসময় এ ধান চীন, থাইল্যান্ড এ নিষিদ্ধ ছিল। যা একসময় শুধু রাজবংশের লোকেরাই খেয়ে থাকত। কুমিল্লার এই কৃষক আশাবাদী একদিন সাড়াদেশে সফল্যের সাথে ছড়িয়ে পড়বে এ ধান। যা চাষে কৃষক লাভবান হবে এবং নিজেদের পুষ্ঠিগত সমস্যাও পুরণ করতে সক্ষম হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তানে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩, ০৮:৫৯
পাকিস্তান ভারত ও আফগানিস্তানে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প

সংগৃহীত ছবি

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তান। এতে পাকিস্তানে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে কয়েক শতাধিক লোক। এছাড়া বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আফগানিস্তানে ক্ষয়ক্ষতি আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা একনো নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.৬।

মঙ্গলবার (২১ মার্চের) রাতের ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ছিল হিন্দুকুশ পর্বতমালার মাটির ১৮০ কিলোমিটার গভীরে। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করা হয়েছে।

আফগানিস্তানের পাশাপাশি তাজিকিস্তানেও ভূমিকম্পের ‘প্রভাব’ পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পাকিস্তানে ভূপর্যবেক্ষণ সংস্থা। রাজধানী ইসলামাবাদসহ লাহোর, কোয়েটা, পেশোয়ারের মতো পাক শহরে বুধবার রাতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শহরের নাগরিকেরা।

এদিকে উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেও ভূমিকম্প হয়। রাজধানী দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকাসহ জম্মু-কাশ্মির, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জেলাতেও কম্পন অনুভূত হয়। দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন স্থায়ী হয়েছিল ৪০-৫০ সেকেন্ড।  বিশেজ্ঞদের মতে, পরবর্তীতে হতাহতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে। সূত্র : আল জাজিরা।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে সিলেট-সুনামগঞ্জের পর নেত্রকোনা-শেরপুরেও বন্যা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২, ১২:৪৩
পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে সিলেট-সুনামগঞ্জের পর নেত্রকোনা-শেরপুরেও বন্যা

ফাইল ছবি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেট-সুনামগঞ্জের পর নেত্রকোনা-শেরপুরেও বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা।

শেরপুর: ভারিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নয় দিনের মাথায় ফের আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে নিম্নাঞ্চলগুলোতে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারিবর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায় শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ প্লাবন দেখা দিয়েছে।

এদিকে উজানের ভারতের মেঘালয়ের বিভিন্ন পাহাড়ি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

 
নেত্রকোনা: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে নেত্রকোনার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলায় বন্যা হচ্ছে। বিশেষ করে কলমাকান্দার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ৩৪৩ গ্রামের মধ্যে বেশিরভাগ গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়ায় প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ শুক্রবার সকালে বলেন, ‘কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলার মধ্যে কলমাকান্দায় বেশি বন্যা হচ্ছে। ক্রমশ পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। তিনটি উপজেলায় প্রচুর মানুষ পানিবন্দি। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢুবে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বন্যাকবলিত প্রতিটি উপজেলায় ২০ টন করে চাল ও দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শুকনো খাবারসহ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে।’

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। এতে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলার সদরসহ ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও শান্তিগঞ্জ এই ছয়টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। পানিবন্দি লোকজন চরম দুর্ভোগে আছেন। সুনামগঞ্জ জেলা সদরে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ শহরেরর ৬০ ভাগ বাসাবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।

সুনামগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহেদ হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সুনামগঞ্জ শহরের ৮০ ভাগ দোকানপাট পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিমজ্জিত। দোকান ঘরে পানি ঢুকায় ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এমন অবস্থায় অনেকে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ক্রেতা সাধারণ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।’

সিলেট: টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিলেট নগরীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বন্যাকবলিতদের। বন্যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরেও  ঢুকে পড়েছে পানি। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছে বন্যার পানি চলে আসায় বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুতের গ্রিড উপকেন্দ্র রক্ষা করতে কাজ শুরু করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। দুপুর ১২টার দিকে গ্রিড উপকেন্দ্রে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুপুর ১২টা থেকে জিও ব্যাগ ফেলে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - কৃষি ও আবহাওয়া

সর্বোচ্চ পঠিত - কৃষি ও আবহাওয়া

কৃষি ও আবহাওয়া এর সব খবর