a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ, ভারত শ্রীলঙ্কা, ভুটানসহ এশীয় অঞ্চলের প্রধান খাদ্য হিসেবে সকলের কাছে প্রথম পছন্দ ভাত। আর বাঙালি হলে সেক্ষেত্রে কথাই নাই। বাঙালি জনগোষ্ঠীর অন্য সব কিছু না হলেও ভাত ছাড়া চলে না তাদের। বর্তমান কৃষি ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ধান চাষ করা হয় যেমন ইরি, বোরো, আউশ, আমন ইত্যাদি। যা আমাদের ভাতের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।
বর্তমান সময়ে নতুন এক প্রজাতির ধানের সন্ধান দিয়েছে বিজ্ঞানীরা যা আমাদের ভাতের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি দেহের কিছু কঠিন রোগ প্রতিরোধে ভুমিকা রাখতে সক্ষম। বিভিন্ন জায়গায় নতুন প্রজাতির কালো দেখা যাচ্ছে কালো ধানের চাষ হচ্ছে এ চাল নাকি ক্যান্সারকে দূরে রাখে। শুধু ক্যান্সারই নয়, এ চালে মানুষের স্নায়ুও ভাল রাখতে সক্ষম বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। এমনকী আরো দাবি করা হচ্ছে যে এ চাল আলঝাইমার্স-এর সঙ্গেও মোকাবিলার ক্ষমতা আছে।
ভারতে এ ধরনের চাল আগে চাষ হলেও এমন ঔষধিগুণ সম্পন্ন চালের কথা আগে শোনেননি ভারতের চাষিরা। তাঁদের সবার কাছে এমন ধানের কথা তুলে ধরেন মণিপুরের ধান গবেষক ৬৩ বছরের পি দেবকান্ত। এই ধানের নাম ‘চাখাও পোইরিটন’।
তিনি চাষিদের বলেছেন, “এটা আসলে আমাদের জন্য ধান নয়, এটা আসলে ভেষজ ঔষধ। শুধু টাকার জন্য চাষ না করে নিজেদের রোগমুক্ত রাখতে এই ধান চাষ করতে সকলকে আহ্বন জানান এই গবেষক"।
কালো ধান নিয়ে গবেষনা করা এই বিজ্ঞানী ২০১২ সালে ভারত কেন্দ্র সরকারের ‘প্রোটেকশন অফ প্লান্ট ভ্যারাইটিস অ্যান্ড ফার্মাস রাইট অ্যাক্ট’ পুরষ্কার পেয়েছেন। এই ধানের ফলন যাতে বেশি হয়, এজন্য উচ্চতর গবেষণা চলছে। কালো চাল ক্যান্সার প্রতিরোধক এবং এন্টি এজিং। এছাড়াও বার্ধক্য, ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ প্রতিরোধক ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর। এ চালের ভেতর ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেল থাকে, অত্যন্ত পুষ্ঠিগুন সমৃদ্ধ।
বাংলাদেশও এ ধানের চাষ শুরু হয়েছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লায় কালো ধান চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন কুমিল্লার চাষী মনজুর হোসেন, নিজের তৈরি করা বীজ নিয়ে তিনি ১৫ জন কৃষকের সাথে চুক্তিভিত্তিক ভাবে চাষ করে কালো ধান, দেশব্যাপী এই ধান ছড়িয়ে দেওয়ার আশা করছেন কুমিল্লার এই কৃষক। একসময় এ ধান চীন, থাইল্যান্ড এ নিষিদ্ধ ছিল। যা একসময় শুধু রাজবংশের লোকেরাই খেয়ে থাকত। কুমিল্লার এই কৃষক আশাবাদী একদিন সাড়াদেশে সফল্যের সাথে ছড়িয়ে পড়বে এ ধান। যা চাষে কৃষক লাভবান হবে এবং নিজেদের পুষ্ঠিগত সমস্যাও পুরণ করতে সক্ষম হবে।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের ৫ জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদদের মতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার (তিন দিন) পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী দু’দিনে দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনের প্রথমার্ধে দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন অঞ্চল লুহানস্ক ‘সম্পূর্ণ মুক্ত’ বলে ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু।
এর আগে লুহানস্কের শেষ বড় ঘাঁটি লিসিচানস্ক শহরের পতন ঘটতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দোনবাসের কৌশলগত শহরটি দখল নিতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে রুশ বাহিনী।
ওলেক্সি আরেস্টোভিচ আরও বলেন, তারা সিভারস্কি দোনেতস্ক নদী অতিক্রম করেছে এবং উত্তর দিক থেকে শহরের দিকে আসছে। এটা বড় ধরনের একটা হুমকি। আগামী এক অথবা দুই দিনের মধ্যে বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন