a
ফাইল ছবি
করোনার সংক্রমণের কারণে দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শেষনজটের কবলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যা তাদের শিক্ষাজীবনকে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন করে তুলেছে অনেকে আছেন স্নাতক/স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের পরীক্ষার জন্য আটকে আছেন।
এসব বিষয় চিন্তা করে এবার অনলাইনে বিশেষ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালো ইউজিসি। আজ ৬ মে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির এক সভায় আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে পরীক্ষা নেবে। তবে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবে, সেটা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে ঠিক করবে।
এ বিষয়ে তাঁরা একটি গাইড লাইন তৈরি করেছেন। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় সেটা পরিপত্র আকারে জারি করলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো হবে।
এর আগে গতকাল ৫ মে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি কোন উন্নতি না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে অনলাইনে সকল বর্ষের চূড়ান্ত (ফাইনাল) পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। ইউজিসির কোনো কোনো সদস্য মনে করছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও উৎসাহী হবে।
ফাইল ছবি
কোভিড-১৯ এর ঊর্দ্বমুখী সংক্রমণের মাঝে শিক্ষার্থীদের বহুল প্রতীক্ষিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত জানানোর পাশাপাশি সংক্রমণ কমে এলে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এই দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংক্রমণের মাঝে কীভাবে ফরম পূরণ করা হবে সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উদ্বেগের মধ্যে বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মাধ্যমে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এই সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনার যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, আমাদের টিকা কার্যক্রম চলছে। এছাড়া গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়ে সংক্রমণ কমে এসেছিল। সেই অভিজ্ঞতায় আমরা এই সময়ে সংক্রমণ কমে আসবে বলে আশা করছি।
পরীক্ষার ফরম পূরণ কবে কীভাবে সে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহার পর অনলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, গ্রুপভিত্তিক নৈর্ব্যচনিক তিন বিষয়ের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার আগে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে এসএসসিতে ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট ও এইচএসসিতে ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া হবে।
তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে আবশ্যিক বিষয়গুলোর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে (পূর্বের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনায়) ও অ্যাসাইনমেন্টের ফলাফল সমন্বয় করে ফল দেওয়ার ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও এই সময়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ফেরানো যায়নি। ভার্চুয়াল ক্লাসের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেটিও খুব বেশি কাজে আসেনি। ফলে মহামারিকালে কোনো পাবলিক পরীক্ষায়ও বসতে পারেনি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গত বছর মহামারির আগে এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলেও এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের 'অটোপাস' দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এবার প্রথম থেকেই 'অটোপাস' না দেওয়ার কথা বলে আসছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ফাইল ছবি । নরেন্দ্র মোদি
মহারাষ্ট্রের এক চা বিক্রেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দাড়ি কাটার জন্য ১০০ রুপি মানি অর্ডার করে পাঠিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী কিছু বাড়াতেই চান তাহলে দাড়ি নয়, দেশে কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করুন। করোনা টিকার সংখ্যা বাড়ান।
ওই চা বিক্রেতা মহারাষ্ট্রের বারামাটির বাসিন্দা। তারা নাম অনিল মোরে। ইন্দ্রপুর রোডে এক বেসরকারি হাসপাতালের উল্টো দিকে ছোটখাটো একটি চায়ের দোকান চালান তিনি। এ বিষয়ে অনিল বারবার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করার কোনও অভিপ্রায় থেকে এই কাজ করেননি।
অনিল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজের দাড়ি বাড়াচ্ছেন। যদি কিছু বাড়াতেই হয় তাহলে সেটা হওয়া উচিত দেশের কর্মসংস্থান। পাশাপাশি দেশে টিকাকরণের গতি বাড়ানো হোক। বাড়ানো হোক হাসপাতালের সংখ্যা। গত দুটি লকডাউনের ফলে সাধারণ মানুষকে যে দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর উচিত যাতে মানুষ এটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সে চেষ্টা করা।”
অনিল আরো বলেন, দেশে প্রধানমন্ত্রীর স্থানই যে সর্বোচ্চ তা ভাল করেই জানেন তিনি। তার মতে, “আমি তাকে একশ’ রুপি পাঠিয়েছি, যাতে উনি নিজের দাড়িটা কেটে ফেলেন। কিন্তু উনি আমাদের মহান নেতা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে। তার অবমাননা করার কোনও ইচ্ছাই আমার নেই। কিন্তু যেভাবে মহামারীর কবলে পড়ে দিনের পর দিন দেশের গরিব মানুষের সমস্যা বেড়েই চলেছে, তাতে এভাবে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছাড়া উপায় ছিল না।”
উল্লেখ্য, নিজের চিঠিতে মোদির কাছে অনিলের আরো আরজি ছিল যে, যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারগুলোকে ৫ লাখ টাকা করে সাহায্য করুক কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে লকডাউনে বিধ্বস্ত পরিবারগুলোকেও দেওয়া হোক ৩০ হাজার টাকা।