a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: রাজধানীতে দিন দিন বাড়ছে দখল বাণিজ্য। জমি দখলসহ অন্যান্য স্থাপনা দখলে মেতে উঠেছে কিছু মহল। ৫ আগস্টের পর থেকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে নতুন পুরাতন কিছু পেশি শক্তি। জমি দখল, সন্ত্রাসী হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি - ভুক্তভোগীদের বাঁচাতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন শীর্ষক ২ রা জুন ২০২৫ ইং জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী পরিবার।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের মাহদি নগর এলাকার কালুনগর মৌজায় ৮১ শতাংশ জমি নিয়ে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা, অবৈধ দখলচেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকির শিকার হচ্ছেন মোঃ রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার । প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন এবং দ্রুত প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। রফিকুল ইসলাম জানান, কালু নগর মৌজার এস.এ ১০ ও ১১ নং খতিয়ানে ৭১ নাম্বার দাগে এবং আর.এস ৫৭ নং খতিয়ানে ১৫৩৬ নং দাগে এবং ঢাকা সিটি জরিপের ২৯০৯ নং খতিয়ানে ৪১৭ নং দাগে ৮১ শতংশ সম্পর্তি ১৯৩৮ সালে মানিকজান বিবি খরিদ করিয়া মালিকানা ও ভোগ-দখল করিয়া নিয়ত থাকা অবস্থায় মারা গেলে, তাহার ওয়ারিশগণ মো: নজরুল ইসলামকে আম-মোক্তার নিয়োগ করেন। মো: নজরুল ইসলাম চার পাশে টিনের বেড়া ও সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করিয়া মানিকজানের ওয়ারিশদের পক্ষে ভোগদখল বজায় রাখে । ২০২১ সালের ৭ জুন নজরুল ইসলামের কাছ থেকে মোঃ রফিকুল ইসলাম ও তার তিন বোন সাফ কবলা দলিল (নং: ২৬৫৬) মূলে জমিটি ক্রয় করেন এবং বর্তমানে জমিটি বৈধভাবে তাদের দখলে রয়েছে।
তবে ২০২৫ সালের ২৭ ই ফেব্রুয়ারি আলাউদ্দিন ( হিটলার আলাউদ্দিন), কুখ্যাত সন্ত্রাসী মনির কোম্পানি ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোঃ হোসেন-এর নেতৃত্বে একদল দুর্বত্ত জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এতে কেয়ারটেকার ও বাড়ির ভাড়াটিয়ারা বাধা দিলে তারা চলে যায়। যাওয়ার সময় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। তাহারা উক্ত সম্প্রতি জবর-দখলের জন্য মো: রফিকুল ইসলামের কেয়ারটেকার কে হুমকি ও ভয়ভীতি দিয়ে আসছে, ইতিমধ্যে তার কেয়ারটেকার কে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর নিকট মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করিতেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, জাল দলিল তৈরির কারিগর মোঃ আলাউদ্দিন (ওরফে হিটলার আলাউদ্দিন ), ভূমিদুরশু মনির কোম্পানি ও হোসেনের নেতৃত্বাধীন চক্রটি নিয়মিতভাবে হুমকি, হামলা ও জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জমি সংক্রান্ত বিষয়টি বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন (লিভ টু আপিল নং: ১৬০৮/২০২১ ও ৩৮২২/২০২৪)। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে চলমান এই দখলচেষ্টা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা তাদেরকে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলেছে।
ভুক্তভোগীদের চার দফা দাবি:
১. আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ।
২. জমি দখল ও সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ।
৩. ভুক্তভোগীদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ।
৪. মনির কোম্পানি, হিটলার আলাউদ্দিন ও হোসেন বাহিনীর অবৈধ কর্মকা-ের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ।
ভুক্তভোগী মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “আমরা এখন জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে । অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে আমাদের প্রাণনাশ হতে পারে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আকুল আবেদন- আমাদের বাঁচান।”
ফাইল ছবি
এমনিতেই নাজুক অবস্থা ভারতের করোনা মহামারিতে। তার মধ্যে করোনা প্রতিষেধক রেমডিসিভির -এর খালি বোতলে তরল প্যারাসিটামল ভরে একটি চক্র তা ভ্যাকসিন হিসেবে বিক্রি শুরু করেছিল। যার প্রতিটি ভ্যাকসিনের দাম ৩৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছিল।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম জিনিউজের বরাতে জানা যায়, রেমডিসিভির -এর খালি বোতলে তরল প্যারাসিটামল ভরে তা ভ্যাকসিন হিসেবে বিক্রি করা একটি চক্রকে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুলিশ গ্রেফতার করেছে ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই চক্রের একটি আস্তানায় অভিযান চালায় । প্রশান্ত গড়ক, শঙ্কর পিসে, দিলীপ গায়কোয়াড ও সন্দীপ গায়কোয়াড নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই চক্রের শিকড় কতদূর তা জানতে চারজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। রাজ্যে করোনা টিকা দেওয়া শুরু হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই কম। ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রে টিকার চাহিদা ও দাম হুহু করে বাড়ছিল। মহারাষ্ট্রের বারামতি জেলার একটি চক্র সেই সুযোগটাই নিয়েছিল। পরে ক্রেতা সেজে পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করল।
সংগৃহীত ছবি
দুবার দুরকমের টিকা ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, মিশ্র টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা না থাকলেও এই সংক্রান্ত কোনো তথ্যপ্রমাণ মেলেনি এখনও পর্যন্ত। তাই দুরকমের টিকা নেওয়ার এই প্রবণতা ভয়ঙ্কার বিপদ ডেকে আনতে পারে। খবর রয়টার্স।
সোমবার করোনা টিকা নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিজের মতামত জানান স্বামীনাথন। সেখানে মিশ্র টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন।
স্বামীনাথন বলেন, বহু মানুষ মিশ্র টিকা নেওয়ার কথা ভাবছেন। এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করছেন আমাদের। জানতে চাইছেন, প্রথম টিকা এক সংস্থার নিয়েছেন, দ্বিতীয় টিকাটি অন্য সংস্থার নিতে পারেন কিনা? মিশ্র টিকা নিয়ে কোনো তথ্যপ্রমাণ হাতে নেই আমাদের, তবে এই প্রবণতা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
মিশ্র টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী, তা নিয়ে গোটা বিশ্বেই গবেষণা চলছে। বিশেষজ্ঞদের একাশের মতে, দুবার দুরকমের টিকা নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
জার্মানি এবং ইউরোপের একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই দুবার দুরকমের টিকা নেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে।
ভারতেও বর্তমানে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিক-ভি টিকাকরণে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে এধরণের সতর্কবার্তা এলো।