a
ছবি: সংগৃহীত
দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার নদীবন্দরের জন্য সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রোববার দুপুর ১টার মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর- পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। হতে পারে বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি । এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সূত্র: মানবজমিন
ফাইল ছবি
জীবন যেখানে থমকে আছে বদলে গেছে জীবনযাত্রা, অসহায় এর পাশে ঠিক তখনি তরুণ যুবা। অর্থনৈতিক মন্দা আর এমন বর্তমান পরিস্থিতে গরীব কৃষকরাও পাচ্ছে না ধান কাটার দিনমজুর। পাকা ধান নিয়ে এখন মহাবিপাকে তারা। এমতাবস্থায় তীব্র রোদ মাথায় নিয়ে কৃষকের জমির ধান কেটে দিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ সরকার সবুজ ও তার সহকর্মীরা।
ঢাকা ১নং আসনের মাননীয় এম পি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ খাতের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এর আস্থা ভাজন ও নির্বাচনী প্রচারণার বিশেষ দায়িত্ব বহনকারী সৌরভ সরকার সবুজ ইতোপূর্বে নানা দূর্যোগে অসহায় মানুষদের পাশে ছিলো এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সহয়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
আজ ২১মে শুক্রবার ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হরিষকুল গ্রামে নিজ এলাকায় অসহায় কৃষক যতীন্দ্র মন্ডলের জমির ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেন তারা। এসময় সবুজ ছাড়াও সুমন, দোলন, সৈকত, নয়ণ, রহিদাস,তপন ধান কেটে দিতে সহোযোগিতা করেন।
ঢাকা ১ আসন নির্বাচনে ছাত্রলীগ কতৃক নির্বাচন পরিচালনা সমন্বয় কমিটির সাবেক সদস্য ও দোহার নবাবগঞ্জ ছাত্রকল্যাণ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্পবী সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সরকার সবুজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৩১ শতাংশের অধিক জমির ধান কেটে দেন। সকাল ৮ টা থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত ধান কাটেন তারা।
অসহায় কৃষক যতীন্দ্র মন্ডল জানান," করোনার কারণে দিনমজুর পাচ্ছিলাম না। তাই সবুজকে জানালে ওরা এসে আমার ধান কেটে দিয়ে যায়।"
এ বিষয়ে সবুজ সরকার বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব সরকার এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী একজন কর্মী হিসেবে আমি আমার দায়িত্বটুকু পালন করেছি। এমন বিপদের সময়ে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা সবসময় অসহায়ের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ ।" এসম তিনি দেশবাসীকে অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
ফাইল ছবি
বর্তমান সময়ে দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর কোনো সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একজন গ্রাহক গত ৫ মাস আগে ইভ্যালিতে ওয়াশিং মেশিন অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু গত ৫ মাসেও তাকে অর্ডার বুঝিয়ে না দেওয়া এবং টাকা ফেরত না দেওয়ায় তিনি ইভ্যালির বিলুপ্তি চেয়ে হাইকোর্টে এ আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং মোহাম্মদ কাওছার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এদিকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট চারটি মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মো. মুজাহিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ধানমন্ডি থানাকে এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২০১৬ সালে প্রথমে অনলাইনে ডায়াপার বিক্রি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাসেল। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে বড় একটি অনলাইন প্লাটফর্মের কথা চিন্তা করেন তিনি। সেই চিন্তা থেকেই প্রতিষ্ঠা করেন দেশীয় ই-কমার্স কোম্পানি ‘ইভ্যালি’। প্রায় ১৭ লাখ নিয়মিত ক্রেতা, ২০ হাজারের বেশি বিক্রেতা নিয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে স্বল্প সময়ে প্রথম সারিতে উঠে আসে ‘ইভ্যালি’।