a
ফাইল ছবি
জীবন যেখানে থমকে আছে বদলে গেছে জীবনযাত্রা, অসহায় এর পাশে ঠিক তখনি তরুণ যুবা। অর্থনৈতিক মন্দা আর এমন বর্তমান পরিস্থিতে গরীব কৃষকরাও পাচ্ছে না ধান কাটার দিনমজুর। পাকা ধান নিয়ে এখন মহাবিপাকে তারা। এমতাবস্থায় তীব্র রোদ মাথায় নিয়ে কৃষকের জমির ধান কেটে দিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ সরকার সবুজ ও তার সহকর্মীরা।
ঢাকা ১নং আসনের মাননীয় এম পি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ খাতের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এর আস্থা ভাজন ও নির্বাচনী প্রচারণার বিশেষ দায়িত্ব বহনকারী সৌরভ সরকার সবুজ ইতোপূর্বে নানা দূর্যোগে অসহায় মানুষদের পাশে ছিলো এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সহয়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
আজ ২১মে শুক্রবার ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হরিষকুল গ্রামে নিজ এলাকায় অসহায় কৃষক যতীন্দ্র মন্ডলের জমির ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেন তারা। এসময় সবুজ ছাড়াও সুমন, দোলন, সৈকত, নয়ণ, রহিদাস,তপন ধান কেটে দিতে সহোযোগিতা করেন।
ঢাকা ১ আসন নির্বাচনে ছাত্রলীগ কতৃক নির্বাচন পরিচালনা সমন্বয় কমিটির সাবেক সদস্য ও দোহার নবাবগঞ্জ ছাত্রকল্যাণ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্পবী সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সরকার সবুজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৩১ শতাংশের অধিক জমির ধান কেটে দেন। সকাল ৮ টা থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত ধান কাটেন তারা।
অসহায় কৃষক যতীন্দ্র মন্ডল জানান," করোনার কারণে দিনমজুর পাচ্ছিলাম না। তাই সবুজকে জানালে ওরা এসে আমার ধান কেটে দিয়ে যায়।"
এ বিষয়ে সবুজ সরকার বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব সরকার এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী একজন কর্মী হিসেবে আমি আমার দায়িত্বটুকু পালন করেছি। এমন বিপদের সময়ে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা সবসময় অসহায়ের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ ।" এসম তিনি দেশবাসীকে অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় বেড়েছে ঝড় বৃষ্টির প্রবণতা। আভাস রয়েছে ঢাকাসহ ২০টি অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ের। আজ বুধবার (২০) জুলাই এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টিপাত হওয়ায় জনজীবনে স্বস্তি মিলেছে। তবে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে অনেকে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে। তারপরও স্বস্তির বৃষ্টিতে মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ফটো: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন
করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে ১২ দফা সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসবের মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, যে কোনো পাবলিক পরীক্ষা যেমন—বিসিএস, এইচএসসি ও এসএসসিসহ অন্যান্য পরীক্ষা বন্ধ রাখা।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।
১. সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে, সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যাল্যান্স রেখে যে কোনো জনসমাগম বন্ধ করতে হবে।
২. কাঁচাবাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে।
৪. যে কোনো পাবলিক পরীক্ষা (বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি, মাদ্রাসা, দাখিলসহ অন্যান্য) বন্ধ রাখতে হবে। ৫. কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা।
৬. যারা রোগীদের সংস্পর্শে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টাইনে রাখা।
৭. বিদেশ থেকে বা প্রবাসী যারা আসবেন তাদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টাইনে রাখা এবং এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেওয়া।
৮. আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা।
৯. স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন প্রয়োজনে জোরদার করা।
১০. পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো, মনিটরিং জোরদার করা।
১১. সব ধরনের সভা ভার্চুয়াল করা।
১২. পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।