a
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের তত্ত্বাবধানে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ‘অফিসার-আইটি’ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৫৭ জন মনোনীত হয়েছেন। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে ১২২ জন ও জনতা ব্যাংকে ৩৫ জন নিয়োগ পাবেন।
গেল বছরের ২০ অক্টোবর সোনালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক ‘অফিসার-আইটি’ পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে অনুষ্ঠিত হয় মৌখিক পরীক্ষা। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সমন্বয়ে প্রণীত প্যানেল হতে ২ ব্যাংকের জন্য ১৫৭ প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করেছে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে মনোনীত ১২২ জনের তালিকা—১০০৮, ১১২৫, ১১৯৩, ১২২০, ১২৮৩, ১৩১৭, ১৩৭৯, ১৪১৩, ১৪৪৪, ১৫৭৯, ১৫৯২, ১৮০৩, ১৮২৪, ১৯৩৫, ১৯৩৬, ২০৪২, ২০৯৩, ২১০৯, ২১৬১, ২২৯৩, ২৩০১, ২৩৪৪, ২৪৪৫, ২৫৬৬, ২৫৮৪, ২৬০১, ২৬০৪, ২৬১৮, ২৮২৯, ২৯৪৩, ২৯৪৫, ২৯৮৬, ২৯৯১, ৩২৪৪, ৩২৫৬, ৩৪২৩, ৩৪২৮, ৩৫৩০, ৩৫৭৭, ৩৫৯৯, ৩৬৬৬, ৩৮২৪, ৩৮৭৯, ৩৯৬০, ৪১০২, ৪২০২, ৪২১১, ৪৫৬২, ৪৫৮৯, ৪৬৪৫, ৪৬৭৬, ৪৬৮৩, ৪৭৭৮, ৪৮১৩, ৫০১৮, ৫০২৮, ৫০৯৮, ৫২১৬, ৫২৩৬, ৫২৬২, ৫২৭২, ৫২৯২, ৫৩০৫, ৫৩৩৬, ৫৪১৪, ৫৫০১, ৫৫৫১, ৫৬০৫, ৫৬২৭, ৫৭১৪, ৫৭১৯, ৫৭২৯, ৫৭৩৪, ৫৮১৯, ৫৮৯০, ৫৯৫৩, ৬০৬১, ৬০৮৪, ৬১৪২, ৬১৪৪, ৬১৫৬, ৬২১৯, ৬৩১১, ৬৩২২, ৬৩৯৫, ৬৪২৯, ৬৫০৯, ৬৬৩০, ৬৬৫৯, ৬৭০২, ৬৭২৯, ৬৯৫৩, ৬৯৬৮, ৭০০০, ৭১৮২, ৭২০৭, ৭৪১৮, ৭৫১০, ৭৫২৫, ৭৬৬৬, ৭৭১৬, ৭৭৪০, ৭৮৪৬, ৭৯২৫, ৭৯৪৬, ৭৯৬১, ৭৯৭৬, ৮০১৯, ৮০৬৬, ৮০৮৪, ৮০৯৭, ৮১৪৫, ৮২৪৯, ৮৩১৭, ৮৩৮৪, ৮৪০৯, ৮৪৫৩, ৮৪৬৮, ৮৪৭৬, ৮৫৫৭, ৮৬২৬ ও ৮৭৭১।
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের মনোনীত ৩৫ জনের তালিকা—১১৪৪, ১৫৩১, ১৫৫৮, ২১৫২, ২২৬১, ২৩১৬, ২৫২০, ২৬১৫, ২৬৮৪, ২৮৮২, ২৯৫০, ৩০৮০, ৩৩১১, ৩৪৪৭, ৪৬৩১, ৪৭৪৭, ৪৯৯১, ৫১২৮, ৫৬৩১, ৫৮১৪, ৫৮১৬, ৫৮৯৩, ৬১৫৩, ৬৪৭৪, ৬৭৩৩, ৭১৬৭, ৭২২১, ৭৬৩৫, ৭৮২৮, ৮১৮৯, ৮২৪৭, ৮২৫৭, ৮৪৩৯, ৮৫৬২ ও ৮৬৮৬।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির বিজ্ঞপিতে বলা হয়েছে, নিয়োগ–সংক্রান্ত পরবর্তী সব কার্যক্রম সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও জনতা ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক সম্পাদিত হবে। প্রকাশিত ফলাফলে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে।
ছবি সংগৃহীত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক যুদ্ধবিমান সাহারা মরুভূমিতে ভেঙে পড়ে। পাইলট প্রাণে বেঁচে যায়, কিন্তু চারদিকে শুধু ধু-ধু বালির সমুদ্র আর ঝলসানো রোদ। খাবার নেই, পানি নেই — কেবল এক বোতল পানি আর কিছু শুকনো বিস্কুট।
তিনদিনের মাথায় তার পানি ফুরিয়ে যায়। প্রচণ্ড রোদ, পানির অভাব আর একাকীত্বের ভারে সে প্রায় মৃত্যুর মুখে। ঠিক তখনই মনে পড়ে — পাইলট হওয়ার আগে সে ছিল একজন শিল্পী। পকেটে ছিল একটি পেন্সিল আর ভাঙা একটা চশমা। মরুভূমির বালুর ওপর সে আঁকতে শুরু করে — তার পরিবার, শহর, রাস্তা আর টলমলে পানি!
জানি সে বাঁচবে না, তবু শেষ মুহূর্তগুলোতে সে তার স্মৃতি ধরে রাখতে চায়। অবাক করা বিষয়, ছবি আঁকতে আঁকতে তার তৃষ্ণা কিছুটা কমে যায়, মন শান্ত হয়ে আসে। সে ভাবল, "আমি এখনো বেঁচে আছি। স্বপ্ন দেখতে পারি মানে এখনো হার মানিনি।"
অষ্টম দিনে এক ফরাসি উদ্ধারকারী দল তাকে খুঁজে পায়। তারা দেখে — কঙ্কালসার দেহ, ফেটে যাওয়া ঠোঁট, ক্লান্ত চোখ — কিন্তু সেই পাইলট তখনো বালিতে ছবি আঁকছে, যেন কোনো মন্ত্রমুগ্ধ শিল্পী!
উদ্ধারের পরে পাইলট বলেছিল, "আমি টিকে ছিলাম, কারণ আমি বিশ্বাস হারাইনি। আমার ভাঙা চশমা আর এক টুকরো পেন্সিলও আমাকে মরুভূমিতে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।”
শিক্ষা: জীবন অনেক কিছু কেড়ে নিতে পারে, কিন্তু আপনার বিশ্বাস কেড়ে নিতে পারে না। যদি আপনি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখেন, কেউ আপনাকে হারাতে পারবে না।
....ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
ফাইল ছবি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্রেতা সংকটের কারণে তরমুজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সারা দেশের মতো এ উপজেলায়ও চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না লোকজন। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে কমে গেছে তরমুজের চাহিদা।
এ ছাড়া ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণে অনেকের মজুদ করা তরমুজ পঁচন ধরতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়ীরা। তরমুজ ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ধানখালী, চম্পাপুর, লতাচাপলী, ধুলাসার ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক এর সুফল পেয়েছে। লকডাউনের আগে অধিকাংশ চাষি তাদের খেত বিক্রি করতে পেরেছে বিধায় চাষিরা তরমুজের ভালো দাম পেয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা সংকটে পড়েগেছে। ট্রাক মূলে তরমুজ ক্রয়ের পর হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণা আসায় পৌর এলাকায় লোক সমাগম কমে গেছে। ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। তরমুজ ব্যবসায়ী ইউনুচ বলেন, লকডাউনের কারণে বাজারে তরমুজ ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। দু-চারটা যা বিক্রি করছি তাতে আশানুরূপ ভালো দাম পাচ্ছি না।
জলিল নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে তরমুজ কিনেছেন। বিক্রি কম হওয়ায় তার কিছু তরমুজে পচন ধরেছে। অপর ব্যবসায়ী আনসার আলী জানান, হঠাৎ তরমুজ খাওয়া কমে গেছে। কাঁচামাল মজুদ করারও কোনো সুযোগ নেই। তার অন্তত সহস্রাধিক পিস তরমুজ কেনা ছিল।
লকডাউনের পর থেকে ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণে তরমুজ বিক্রি করতে পারেননি। আগে ভাগেই তরমুজ খেত কিনে বিপদে পড়েছি। বিক্রি করে উঠতে পারলে ভালো হত। না হয় লোকসানের বোঝা বহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন এই তরমুজ ব্যবসায়ী।
কলাপাড়া বন্দর সমিতির অর্থ সম্পদক মো. ফরিদ উদ্দিন বিপু বলেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সারা দেশের মতো কলাপাড়ায় লকডাউন চলছে। তাই ঘর থেকেবাইরে বের হচ্ছে না লোকজন। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে চাহিদাও কমে গেছে তরমুজের। ফলে তরমুজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের শঙ্কায় ভুগছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, এ উপজেলায় তরমুজ চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে । ফলনও হয়েছে ভালো। চাষিরা লকডাউনের আগেভাগেই খেতের তরমুজ বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই সময় তারা দামও ভালো পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।