a
ফাইল ছবি
বঙ্গোপসাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় বহাল রাখা হয়েছে সতর্ক সংকেতও। ফলে বৃষ্টিপাত থাকতে পারে আরও দু’দিন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। তেলেঙ্গানা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান লঘুচাপটি বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কি.মিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি.মি. পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার নাগাদ বৃষ্টি কমতে পারে। এ সময়ে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের অবশিষ্টাংশ থেকে বিদায় নিতে পারে।
এদিকে বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এই কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ফাইল ছবি
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মঙ্গলবার সকাল থেকে থেমে থেমে বজ্রসহ বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে।
আগামীকাল বুধবারও আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টিতে ঢাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে অফিসগামী সাধারণ মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া সপ্তাহের মাঝামাঝি বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, ঢাকা,ময়মনসিংহ, বরিশাল,চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টিসহ বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে ফরিদপুর রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, এবং কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব অঞ্চলে তাপ প্রশমিত হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরির্বতিত থাকতে পারে।
আগামী দুইদিনে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের অবশিষ্টাংশে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রসারিত হতে পারে।
ফাইল ছবি
বিদ্যুৎহীন রাজধানীর অনেক এলাকায় সোমবার রাতে সড়কবাতি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়েছে রাজধানীতেও। ঝড়ো হাওয়া, গাছ ভেঙে পড়া এবং বৃষ্টিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, সবুজবাগ, শ্যামপুর, মগবাজার, উত্তরাসহ নগরীর বিভিন্ন জায়গার বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী।
ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর উলন গ্রিড বন্ধ রয়েছে। ফলে আশেপাশের একটা বড় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া খিলগাঁও, মোহাম্মদপুর, শ্যামপুর, বাসাবোসহ অনেক এলাকায় গাছ পড়ে ও ঝড়ো বাতাসে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ হয়ে গেছে।
ঢাকা ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) সূত্র বলছে, গাছের ডাল পড়ে আর বাতাসে লাইন ছিড়ে উত্তরখান, মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় শট সার্কিট হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
সরবরাহ স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছে ডিপিডিসি ও ডেসকো। সূত্র: সমকাল