a স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় ৩৪ শিক্ষককে শোকজ
ঢাকা শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় ৩৪ শিক্ষককে শোকজ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩, ১১:২৯
স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় ৩৪ শিক্ষককে শোকজ

ফাইল ছবি

জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করছেন সারা দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসেও তারা ক্লাসে ফিরে যাচ্ছেন না। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত শিক্ষকদের ব্যাপারে কড়া বার্তা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।


রোববার মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হক হেনরী সই করা চিঠিতে বলা হয়, জুন মাসে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় মাধ্যমিকের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ৩৪ জন শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। 

আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে উপস্থিত না থাকার সুস্পষ্ট কারণ মাউশিতে পাঠাতে হবে। শোকজ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষে আছে রংপুর। এ অঞ্চলের ১০ জন শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন।

এরপর রাজশাহীর সাতজন, খুলনা অঞ্চলের পাঁচজন, ঢাকা অঞ্চলের চারজন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের তিনজন, কুমিল্লা অঞ্চলের দুইজন এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট অঞ্চলের একজন করে রয়েছেন। 

এ বিষয়ে মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হক হেনরী বলেন, যাদের শোকজ করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই দুই দিন বা তার বেশি সময় ধরে স্কুলে আসেন না। এটা সতর্কীকরণ নোটিস। ভবিষ্যতে কেউ এমন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগেও কয়েক দফা শোকজ করা হয়েছিল।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার  


স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ, ২০২১, ১২:৩৬
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার  

ফাইল ফটো: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন

করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে ১২ দফা সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসবের মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, যে কোনো পাবলিক পরীক্ষা যেমন—বিসিএস, এইচএসসি ও এসএসসিসহ অন্যান্য পরীক্ষা বন্ধ রাখা।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।

১. সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে, সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যাল্যান্স রেখে যে কোনো জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। 

২. কাঁচাবাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে।

৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে। 

৪. যে কোনো পাবলিক পরীক্ষা (বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি, মাদ্রাসা, দাখিলসহ অন্যান্য) বন্ধ রাখতে হবে। ৫. কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা। 

৬. যারা রোগীদের সংস্পর্শে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টাইনে রাখা। 

৭. বিদেশ থেকে বা প্রবাসী যারা আসবেন তাদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টাইনে রাখা এবং এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেওয়া।

৮. আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা। 

৯. স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন প্রয়োজনে জোরদার করা। 

১০. পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো, মনিটরিং জোরদার করা। 

১১. সব ধরনের সভা ভার্চুয়াল করা।

১২. পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সালথায় সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে আগুন, থানা ঘেরাও



মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৩০
সালথায় সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে আগুন, থানা ঘেরাও

ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সাথে থাকা সরকারি কর্মচারীর লাঠিপেটায় এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় সোমবার রাত ১০টার দিকে উত্তেজিত জনতা ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা পরিষদ ও থানা ঘেরাও করে রেখেছে। এছাড়া সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে ওই ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মৃত মোসলেম মোল্লার ছেলে মো. জাকির হোসেন মোল্লা বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সেখানে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামনি উপস্থিত হন।

জাকির হোসেন অভিযোগ করেন যে, কিছু বুঝে উঠার আগেই এসিল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তার কোমর সজোরে লাঠি দিয়ে বাড়ি দেন। এতে তার কোমর ভেঙে যায়। পরে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অপরদিকে, জাকির হোসেনকে আহত করার খবরে সেখানে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরো গ্রামবাসী জড়ো হয়। এরপর সেখানে সালথা থানার এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপরেও হামলা করে। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সালথা থানা অভিমুখে রওনা হয়ে থানা ঘেরাও করে।

এ বিষয়ে সালথা থানার ওসি আশিকুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা হিরামনির নিকট হতে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের উপরে হামলা হয়। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। 

ওসি আশিকুজ্জামান জানান, উত্তেজিত জনতাকে শান্ত হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামনির বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইলে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - শিক্ষা