a
ফাইল ছবি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে এ সতর্কতা দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ভারতের ছত্তীসগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপ আকারে ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চলের নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
আজ বগুড়ায় (বুধবার) মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ১৫ জুলাইয়ের আগে ভালো খবর পাওয়ার সম্ভবনা কম।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আশিকুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে এ জেলায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। বুধবার জেলার সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
গত ১ জুলাই থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে চলতি মৌসুমে এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
তিনি আরও জানান, ১৫ জুলাইয়ের আগে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তাই তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর বৃষ্টি হলে তাপ কমবে।
এদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করায় প্রচণ্ড গরমে জনগণ বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। পাশাপাশি বিদ্যুতের লোডশেডিং জনদুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে। এসব গরম আবহাওয়ার কারণে বাড়িতে বাড়িতে সর্দি-জ্বরে ভুগছেন অনেকে। সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
বাড়ছে বিশ্বের তাপমাত্রা। এই পরিস্থিতিতে আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে জয়বায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল আইপিসিসি’র সাম্প্রতিক রিপোর্ট।
জানা গেছে, ওই রিপোর্টে সাফ বলা হয়েছে- যে হারে সমুদ্রের পানির স্তর বাড়ছে তাতে কয়েক বছরের মধ্যেই পানিতে তলিয়ে যেতে পারে ভারতের ১২টি উপকূলবর্তী শহর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুম্বাই, চেন্নাই, কোচি, বিশাখাপত্তনম। প্রায় তিন ফুট পানির নিচে চলে যেতে পারে এই শহরগুলো। খবর জি নিউজের।
জানা গেছে, উষ্ণায়নের ফলে যেভাবে বিশ্বব্যাপী জলস্তর বাড়ছে তা নিয়ে চিন্তিত স্পেস এজেন্সিগুলো। তাদেরও নজরে পড়েছে ভারতের ১২টি উপকূলবর্তী শহর বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
আইপিসিসি’র রিপোর্ট বলছে, গোটা বিশ্বের তুলনায় এশিয়ার পানির স্তর বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। আগে যেখানে ১০০ বছরে একবার সমুদ্রের জলস্তর পরিবর্তিত হত, আগামী কয়েক বছরে মাঝে মধ্যেই সেই পরিবর্তন হবে। সেজন্যই বাড়বে সমুদ্রের পানির স্তর। যদি এই হারেই জলস্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে, শতাব্দীর শেষে ভারতের ১২টি উপকূলবর্তী শহর তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেসব শহরগুলো হল:
কান্দলা: ১.৮৭ ফুট
ওখা: ১.৯৬ ফুট
ভৌনগর: ২.৭০ ফুট
মুম্বাই: ১.৯০ ফুট
মরমুগাও: ২.০৬ ফুট
ম্যাঙ্গালোর: ১.৮৭ ফুট
কোচিন: ২.৩২ ফুট
পরাদীপ: ১.৯৩ ফুট
খিদিরপুর: ০.৪৯ ফুট
বিশাখাপত্তনম: ১.৭৭ ফুট
চেন্নাই: ১.৮৭ ফুট
তুতিকোরিন: ১.৯ ফুট
সূত্র: বিডি প্রতিদিন