a
প্রতিকী ছবি
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ধেয়ে আসছে। অন্যান্য সময়ের ন্যায় এটি সুপার সাইক্লোনে রূপ নিয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। তবে এখনি ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
আজ শনিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যেহেতু এটি এখন পর্যন্ত লঘুচাপ হয়ে আছে, এখনই আতঙ্ক কিংবা শঙ্কার কিছু নেই। আরেকটা বিষয় হলো ঘূর্ণিঝড় এগোনোর সময় প্রতিমুহূর্তে দিক পরিবর্তন করে। দিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বাড়ে। সেজন্য আমরা আমাদের পুরো উপকূলকে সতর্ক করব, প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবহাওয়া অফিস ইঙ্গিত দিয়েছে , ভারতের উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আঘাত হানতে পারে। সবশেষ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ হয়ে আগামী বুধবারের দিকে বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত দেন আবহাওয়া অফিস।
ফাইল ছবি
তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামীকাল রোববার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। পাশাপাশি আগামী ৫ দিনে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় সর্বোচ্চ ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সময় ভোলায় ৩২, চট্টগ্রাম ও কুতুবদিয়ায় ২৭, টেকনাফে ২০, শ্রীমঙ্গলে ১২, বান্দরবানে ৬ মিলিমিটারসহ সিলেট, রাঙামাটি, মোংলা ও সন্দ্বীপে সামান্য থেকে ৪ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়া গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও তাপপ্রবাহের এমন দাপট অব্যাহত থাকতে পারে।
এ অবস্থায় আগামীকাল রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সূত্র: যুগান্তর
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারবেন কর কর্মকর্তারা।
আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে সে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কর কর্মকর্তাদের।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের যে আয়কর নির্দেশিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, তাতে রিটার্ন জমা না দিলে পাঁচ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো পরিষেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা।
আয়কর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে করদাতার যেসব বিষয়ের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেগুলো হলো—১. আয়কর আইনের ২৬৬ ধারা অনুসারে জরিমানা, ২. ১৭৪ ধারা অনুসারে কর অব্যাহতির ক্ষেত্র সংকোচন, ৩. মাসিক ২ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর পরিশোধ, ৪. পরিষেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া ও ৫. বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে জটিলতা ইত্যাদি।
অর্থাৎ করযোগ্য আয় থাকার পরও যদি কোনো করদাতা রিটার্ন জমা না দেন তাহলে কর কর্মকর্তারা চাইলে ওই ব্যক্তির বাসাবাড়ি কিংবা প্রতিষ্ঠানের গ্যাস-বিদ্যুৎসহ পরিষেবার লাইন কেটে দিতে পারেন। একই সঙ্গে বেতন-ভাতাতি প্রাপ্তিতে অসুবিধা তৈরি হতে পারে।
রিটার্ন জমা দেবে কারা:
দুই শ্রেণির কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) আয়কর রিটার্ন দিতে হয়। তারা হলেন যাদের করযোগ্য আয় বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকা পেরিয়ে গেছে।
অপর শ্রেণি হলো যাদের আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। এখানে বলা প্রয়োজন, ৩৯ ধরনের সেবা নিতে আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র দেখাতে হয়।
এনবিআর জানায়, কোনো ব্যক্তি করদাতা ই–রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধনসংক্রান্ত সমস্যার কারণে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলে সমর্থ না হলে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতাসহ আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত বা যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে তিনি কাগুজে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
গত বছর সীমিত আকারে ব্যক্তি করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হলে ১৭ লাখের বেশি ব্যক্তি করদাতা অনলাইনে ই–রিটার্ন দাখিল করেন।
করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা অন্য কোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর পরিশোধ করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিজেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই–রিটার্ন দাখিলের রসিদ প্রিন্ট নিতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখপূর্বক স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তি স্বীকার ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করতে পারেন। সূত্র: যুগান্তর