a
ফাইল ছবি
উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে প্রায় ৩০০ জন নিহত ও ১৫৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ এবং এর উৎপত্তি আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেদেনের স্কাই রিসোর্টের কাছে।
ইউএসজিএস-এর তথ্যানুযায়ী, এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে মরক্কোতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি। ১৯০০ সালের পর সেখানে ৬ মাত্রার কোনও ভূমিকম্প আঘাত হানেনি।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরাতন মারাখেস শহর। সেখানে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। পুরাতন এই শহরটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শহরটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের খুব কাছাকাছি অবস্থিত।
রাষ্ট্র পরিচালিত আল-আউলা টেলিভিশন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রিপোর্টটি প্রচার হওয়া পর্যন্ত ভূমিকম্পে অন্তত ২৯৬ জন নিহত ও ১৫৩ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি, আল জাজিরা
ফাইল ছবি
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রবিবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকায় শক্তিশালী কালবৈশাখীর ঝড় আঘাত হানতে পারে। আজ রবিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে সারাদেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি জানাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
এদিকে, দুপুর থেকে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বর্তমানে ময়মনসিংহ বিভাগসহ খাগড়াছড়ি, কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
পরবর্তীতে ঝড়টি যশোর, কুষ্টিয়া অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর সন্ধ্যার দিকে ঝড়টি ঢাকার দিকে প্রবাহিত হতে পারে।
ফাইল ছবি
রাজধানীসহ সারাদেশে সোমবার মধ্যরাত থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়াসহ প্রবল বৃষ্টিপাত।
ফলে অফিসগামী লোকজন দুর্ভোগে পড়েন। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে রাস্তা তলিয়ে গেছে।
সোমবার এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দেশে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। এ কারণে দেশের নদীবন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এক্ষেত্রে কোথাও ২ নম্বর সতর্ক সংকেত, আবারও কোথাও এক নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে- পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্য স্থানে একই দিক থেকে ৪৫-৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।