a সাংবাদিক সমাজের এক পথিকৃৎ শরচ্চন্দ্র পন্ডিত
ঢাকা বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সাংবাদিক সমাজের এক পথিকৃৎ শরচ্চন্দ্র পন্ডিত


অমৃতরায়, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ০২:৪০
সাংবাদিক সমাজের এক পথিকৃৎ শরচ্চন্দ্র পন্ডিত

ফাইল ছবি

শরচ্চন্দ্র পণ্ডিত বাংলা সাহিত্যের পাঠক সমাজে দাদাঠাকুর নামেই পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি কথাশিল্পী ও সাংবাদিক৷ যিনি মুখে মুখে ছড়া, হেঁয়ালী ও হাস্য কৌতুক রচনা করতেন। তার রচিত নানান হাসির গল্প বাঙলা সাহিত্যের অমর কীর্তি৷ তার প্রকাশিত বিখ্যাত গ্রন্থ বোতল পুরাণ।

জন্ম ২৭ এপ্রিল ১৮৮১ সিমলাদ্দি, বীরভূম জেলা , বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, বৃটিশ ভারত আর মৃত্যুবরণ করেন ২৭ এপ্রিল ১৯৬৮। অবস্থান করেছেন  জঙ্গীপুর, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গে। পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা, বিদ্রূপাত্মক সাহিত্য রচয়িতা, কবি, সামাজিক সমালোচক, গীতিকার। তবে  কৌতুক ও কবিতা রচয়িতা, সামাজিক সমালোচক হিসেবে ভালো পরিচিত ছিলেন।

শরচ্চন্দ্র মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর মহকুমার দফরপুর গ্রামে বাস করতেন। তাঁর জন্ম মাতুলালয়ে বীরভূম জেলার নলহাটি থানার অন্তর্গত সিমলাদ্দি গ্রামে। পিতা দরিদ্র ব্রাহ্মণ হরিলাল পণ্ডিত। শৈশবেই তিনি পিতা-মাতাকে হারান। কিন্তু তাঁর পিতৃব্য রসিকলাল তাঁকে কোনদিনই তাঁদের অভাব বুঝতে দেননি। তাঁর স্নেহ-ভালবাসা বেড়ে ওঠা দরিদ্র পরিবারের সন্তান শরচ্চন্দ্র জঙ্গিপুর হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করে বর্ধমান রাজ কলেজে এফ.এ. ক্লাসে ভর্তি হন কিন্তু আর্থিক কারণে পড়া শেষ করতে পারেননি।

জঙ্গীপুরে তিনি অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করতেন কিন্তু অত্যন্ত তেজস্বী মানুষ ছিলেন। চারিত্রিক দৃঢ়তায় ছিলেন আধুনিক কালের বিদ্যাসাগর। মাত্র ২১ বৎসর বয়সে ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে 'পণ্ডিত প্রেস' নামে একটি হস্তচালিত ছাপাখানা রঘুনাথগঞ্জে স্থাপন করেন তিনি। তার একক প্রচেষ্টায় 'জঙ্গীপুর সংবাদ' নামে একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ করতে থাকেন। এই পত্রিকা বাংলার বলিষ্ঠ মফস্বল সাংবাদিকতার প্রথম উদাহরণ। পণ্ডিত প্রেসে তিনিই ছিলেন কম্পোজিটর, প্রুফ রিডার, মেশিনম্যান। সমস্ত কিছুই একা হাতে কর‍তেন।

পরবর্তীকালে তিনি তাঁর ছাপাখানার বিবরণ দিতে গিয়ে বলতেন " আমার ছাপাখানার আমিই প্রোপাইটর, আমি কম্পোজিটর, আমি প্রুফ রিডার, আর আমিই ইঙ্ক-ম্যান। কেবল প্রেস-ম্যান আমি নই। সেটি ম্যান নয় - উওম্যান অর্থাৎ আমার অর্ধাঙ্গিনী। ছাপাখানার কাজে ব্রাহ্মণী আমাকে সাহায্য করেন, স্বামী-স্ত্রীতে আমরা ছাপাখানা চালাই।"

এছাড়া তার প্রকাশিত 'বিদুষক'পত্রিকায় বেরতো তার নিজের রচিত নানা হাসির গল্প ও হাস্য কৌতুক। বিদূষক পত্রিকা রসিকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দাদাঠাকুর নিজে কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় গিয়ে বিক্রি করতেন এই পত্রিকা। প্রাক স্বাধীনতার সময় কলকাতার রাস্তায় গান গেয়ে 'বোতল পুরান' পুস্তিকাটি ফেরি করতে গেলে ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে আসে, তাদের জন্য তৎক্ষণাৎ বানিয়ে ইংরেজিতে গান ধরলেন তিনি।

শ্বেতাঙ্গ পুলিশ খালি গা ও খালি পায়ের এমন এক হকারকে ইংরেজিতে গান গাইতে দেখে হতবাক হয়ে যায় এবং শুধু উৎসাহ জোগাতেই আট কপি বখশিস দেয়। তার কাব্যপ্রতিভা, রসবোধ ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ছিল সহজাত। ইংরেজি ভাষাতে যে প্যালিনড্রোম বা উভমুখী শব্দ আছে সেরকম বাংলায় শব্দ সৃষ্টি করেছেন। হিন্দি ও ইংরেজিতেও কাব্য লিখেছেন তিনি। তার ব্যাঙ্গাত্বক কবিতাগুলি ছিল সমাজের অত্যাচারী কুপ্রথার বিরুদ্ধে জলন্ত প্রতিবাদ স্বরূপ। স্বয়ং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু তাকে শ্রদ্ধা করতেন।

সাংবাদিক সমাজের জন্য তিনি এক প্রেরনার উৎস। তার কাজের ধারাকে যদি সত্যিকার অর্থে বহন করে নেওয়া যায় তবে সাহিত্য, শিল্পকর্মই নয় জীবনের এক নিদারুণ মর্মার্থও উঠে আসবে সকলের সামনে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পন্ডশ্রম – শামসুর রাহমান


আরাফাত আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫, ০৪:১৫
পন্ডশ্রম–শামসুর রাহমান

ছবি সংগৃহীত

পন্ডশ্রম

 

এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে,
চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।
কানের খোঁজে ছুটছি মাঠে, কাটছি সাঁতার বিলে,
আকাশ থেকে চিলটাকে আজ ফেলব পেড়ে ঢিলে।

দিন-দুপুরে জ্যান্ত আহা, কানটা গেল উড়ে,
কান না পেলে চার দেয়ালে মরব মাথা খুঁড়ে।
কান গেলে আর মুখের পাড়ায় থাকল কী-হে বল?
কানের শোকে আজকে সবাই মিটিং করি চল।

যাচ্ছে, গেল সবই গেল, জাত মেরছে চিলে,
পাজি চিলের ভূত ছাড়াব লাথি-জুতো-কিলে।
সুধী সমাজ! শুনুন বলি, এই রেখেছি বাজি,
যে-জন সাধের কান নিয়েছে জান নেব তার আজই।

মিটিং হল ফিটিং হল, কান মেলে না তবু,
ডানে-বাঁয়ে ছুটে বেড়াই মেলান যদি প্রভূ।
ছুটতে দেখে ছোট ছেলে বলল, কেন মিছে
কানের খোঁজে মরছ ঘূরে সোনার চিলের পিছে?

নেইকো খালে, নেইকো বিলে, নেইকো মাঠে গাছে;
কান যেখানে ছিল আগে সেখানটাতেই আছে।
ঠিক বলেছে, চিল তবে কি নয়কো কানের যম ?
বৃথাই মাথার ঘাম ফেলছি, পন্ড হল শ্রম।

 

....ফেসবুক থেকে সংগৃহীত 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দিল্লিতে করোনা সংক্রমনের ৮৪ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী, ২০২২, ১১:০৩
দিল্লিতে করোনা সংক্রমনের ৮৪ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত

ফাইল ছবি

সারাবিশ্বের ন্যায় নতুন করে তাণ্ডব শুরু করেছে করোনাভাইরাস ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও। সংগৃহীত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষায় ৮৪ শতাংশ রোগীর দেহে ওমিক্রন পাওয়া গেছে।  টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন গতকাল সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ৩০-৩১ ডিসেম্বরের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপর দিল্লির স্বাস্থ্য বুলেটিনে গতকাল জানানো হয়, দিল্লিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চার হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার সাড়ে ছয় শতাংশ।

এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতে ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। তার মধ্যে মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ৫১০ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত।

এরপর দিল্লিতে ৩৫১ জন শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৭০০ জন ছাড়িয়ে গেছে।  রবিবার শনাক্ত রোগী ছিল তিন হাজার ১৯৪ জন, যা আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - শিল্প ও সাহিত্য