a
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাঙামাটি জেলার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক পুলিশ সুপার ডা. মনোয়ার হাসানাত খান বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাঙামাটি জেলার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গত ৫ জুলাই থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। এছাড়া তার অ্যাজমার সমস্যাও ছিল।’
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১০১ জন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজারেরও বেশি সদস্য।
ফাইল ফটো:
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মামুনুল হককে নিয়ে কুরুচি ভাষায় মন্তব্য করায় সুনামগঞ্জের শাল্লায় গ্রেফতার ঝুমন দাসের গ্রামে মামুনুল হকের অনুসারীরা হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় সুনামগঞ্জের শাল্লায় গ্রেফতার করা হয়েছে ঝুমন দাসকে।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গ্রামটিতে অন্তত ২০ ঘরবাড়ি ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মামুনুল হকের অনুসারীরা লঠিসোটা হাতে মিছিল নিয়ে ওই গ্রামে হামলা করে। হামলার আগেই আগাম খবর পেয়ে বাড়ি ছেড়ে হাওরে আশ্রয় নেন নোয়াগ্রামের ঝুমন দাসের আশে-পাশের লোকজন। ফলে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শৈলেন্দ্র দাস জানান, যে ছেলেটি ফেসবুকে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে কটুক্তি করেছে তাকে তারা গতকাল ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। এরপর গ্রামের অন্যান্যদের আশ্বস্ত করা হয়েছিলো আর কিছু হবে না। কিন্তু সকালেই লাঠিসোঠা নিয়ে কয়েকশ’ মানুষ পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সামনেই হামলা চালায়।
তারা আগাম খবর পেয়ে গ্রামের নারীসহ পুরুষরা শিশুদের নিয়ে হাওরের আশ্রয় নেয়। এরপর বাড়ি ফিরে এসে দেখে ঘরের আসবাব ভাংচুর করা হয়েছে। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন তার ঘরে থাকা স্বর্ণ ও টাকাও লুট করে নিয়ে যায়।
শাল্লা থানার ওসি নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, যে ছেলেটি ফেসবুকে আল্লামা মামুনুল হককে নিয়ে কটূক্তি করেছিল, তাকে ধরে গতরাতেই গ্রামের লোকজন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সকালে হঠাৎ শতাধিক লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে নোয়াগ্রামের দিকে মিছিল নিয়ে যাচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশও তাদের পিছু নেয়। কিন্তু কিছু লোক আগেই নদী পার হয়ে নোয়াগ্রামে হামলা চালায়। এ সময় ঝুমন দাসের বাড়িসহ প্রায় ২০ বাড়িঘরে ভাঙচুর হয়।
ওসি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। গত সোমবার শাল্লার পাশের উপজেলা দিরাইয়ে হেফাজতের একটি সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জো বাইডেন প্রশাসনের কাছে লেখা ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসরত বাঙালিদের সংগঠন ‘কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকান ইনকরপোরেশন।’ সংগঠনটি পালটা চিঠি পাঠিয়ে তথ্যের সত্যতা চ্যালেঞ্জ করেছে।
চলতি বছরের ১৭ মে বাইডেন প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠান ছয় রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্যারি মুর, টিম বার্চেট, ওয়ারেন ডেভিডসন, বব গুড, স্কট পেরি ও কিথ সেলফ। সেখানে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা অভিযোগ করা হয়।
ওই চিঠির প্রতিবাদে ২৬ আগস্ট ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশির সই করা চিঠিতে উল্লিখিত তথ্যের সত্যতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাইডেন প্রশাসনের কাছে লেখা ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে আমাদের জন্মভূমি সম্পর্কে মিথ্যা ও অসম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। এটি আমাদের অনুভূতিকে আহত করছে।’
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, মার্কিন সরকারি উচ্চপদে কর্মরত বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তরুণরাই মূলত ওই সংগঠনের সদস্য।
উল্লেখ্য সংগঠনটি প্রায় একযুগ আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয় বলে জানানো হয়। সূত্র: যুগান্তর