a
ফাইল ছবি
প্রথম ধাপের স্থগিত ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ চলছে আজ। সোমবার সকাল ৮টা থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এছাড়া ষষ্ঠ ধাপের স্থগিত ৯ পৌরসভায় আজ ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি জানিয়েছে, ১৬০ ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ৪৪ জন, চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৫০০ জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থী ১ হাজার ৯৪৮ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন। এদিকে নয় পৌরসভার মধ্যে তিনটি পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আর বাকি পৌরসভায় মেয়র পদের লড়াইয়ে রয়েছেন ২৭ জন।
এর আগে প্রথম ধাপের ২১ জুন ২০৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছিল। এই ২০৪ ইউপিতে ২৮ জন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এদিকে বাগেরহাটের মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের দুই সদস্য প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় ফাতেমা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা-অজানা শঙ্কা রয়েছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে। ভোট নিয়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে নির্বাচনী সব এলাকায়। ভোট কেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ ভোটাররা। যদিও ইসি ভোটারদের অভয় দিয়ে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ফাইল ছবি
রাজধানীর অন্তত ১৯টি থানা কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এসব থানায় শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের উপরে। এরমধ্যে রূপনগর ও আদাবরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (আইএসএস) করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করে শনিবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছে আইইডিসিআর।
আইইডিসিআর বলছে, উত্তর সিটি করপোরেশনের রূপনগর থানা এলাকায় শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশ এবং আদাবর থানা এলাকায় শনাক্তের হার ৪৪ শতাংশ। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় সংক্রমণের হার উত্তরের চেয়ে বেশি।
সারাদেশে সংক্রমণের গড় হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ হলেও রাজধানীর অন্তত ১৭টি স্থানে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশেরও বেশি পাওয়া গিয়েছে। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরও ২৩টি এলাকায় সংক্রমণের হার ২০ শতাংশেরও বেশি।
ঢাকার ১৭টি থানায় শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের ওপরে। ২৩টি থানা এলাকায় ২০ শতাংশের ওপরে। ৭টি থানা এলাকায় সংক্রমণের হার ১১ শতাংশের বেশি।
করোনায় উচ্চ ঝুঁকিতে রাজধানীর নিম্নের থানাগুলোতে:
সারাদেশের শনাক্তের হারের সঙ্গে তুলনা করলে ঢাকায় শনাক্তের হার অনেক বেশি। রূপনগর ও আদাবর ছাড়া যেখানে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের বেশি, সেই থানাগুলো হল- শাহ আলী, রামপুরা, তুরাগ, মিরপুর, কলাবাগান, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, মুগদা, গেণ্ডারিয়া, ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, চকবাজার, সবুজবাগ, মতিঝিল, দারুসসালাম ও খিলগাঁও।
সংক্রমণের হার ২১ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে আছে এমন থানাগুলো হচ্ছে- শাহবাগ, বংশাল, লালবাগ, শাহজাহানপুর, রমনা, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামপুর, বাড্ডা, বনানী, উত্তরখান, শেরে বাংলা নগর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, পল্লবী, কাফরুল, ডেমরা, ওয়ারী, ভাটারা, দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, কদমতলী, উত্তরা পূর্ব ও পল্টন থানা এলাকা।
শনাক্তের হার ১১ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে পাওয়া গেছে তেজগাঁও, উত্তরা পশ্চিম, ভাষানটেক, গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এবং বিমানবন্দর থানা এলাকা।
ফাইল ছবি
দুর্নীতিবাজরা যাতে শাস্তি পায় সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমনের কমিশন (দুদক)-এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রোববার সন্ধ্যায় দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার মো. জহুরুল হক বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ সময় বলেন, উন্নয়নের এ ধারা টেকসই করতে দুর্নীতি প্রতিরোধ খুবই প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তরুণ প্রজন্ম যাতে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সমাজ ও পরিবার থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।
আবদুল হামিদ আশা করেন, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধের পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।