a
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
‘যে অনুজ শিক্ষার্থীরা আমাদের ছায়াতলে আসবে, তারা যাতে একটা মসৃণ পথ পায়, তারা যাতে সহজেই বাংলাদেশের সেরা চাকরিগুলো পায়, সৃষ্টিশীল ও মানবিক মানুষ হয়, সেজন্য আমাদের এই যাত্রা অব্যাহত আছে।’ কথাগুলো বলছিলেন আলাওলপুর স্টুডেন্টস অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের (আসো) নবগঠিত কমিটির সভাপতি চিকিৎসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
আধুনিক আলাওলপুর আমরাই গড়ব—এ মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে আলাওলপুর স্টুডেন্টস অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নকেন্দ্রিক এ সংগঠনের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে গত মঙ্গলবার। এ কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে ঢাকার খিলগাঁও তালতলার রয়েল অর্চাড রেস্তোরাঁর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সভার প্রধান অতিথি ছিলেন গরীবেরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এস এম সিরাজ, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশলী মুনতাসীর মামুন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি চাই, এ প্রজন্ম সুপার স্মার্ট হয়ে গড়ে উঠুক। যারা অনুজ, আমাদের ছায়াতলে আসবে, তারা যাতে একটা মসৃণ পথ পায়, তারা যাতে সহজেই বাংলাদেশের সেরা চাকরিগুলো পায়। বিসিএসে প্রতিবছর দু-তিন হাজার লোক নিচ্ছে। আমাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে যদি আলাওলপুর থেকে দুজনও বিসিএসে টেকে, তাহলে আমাদের গর্ব। এলাকায় এখন মহামারি আকার ধারণ করছে মাদক ইয়াবা। তরুণ প্রজন্মকে ইয়াবার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে মোটিভেশনের বিকল্প নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একজন সিনিয়র সচিব আছেন। আমি চাই, প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে একজন করে সৎ সিনিয়র সচিব আমাদের এলাকা হোক। সেই মেধা আমাদের আছে। আমাদের ছাত্রদের পরিচর্যা করতে হবে। আমাদের সবার স্লোগান হোক—আধুনিক আলাওলপুর আমরাই গড়ব, ইনশা আল্লাহ।’
প্রধান অতিথি এস এম সিরাজ আক্ষেপ করে বলেন, ‘আগামী দিনগুলোয় আমরা আলাওলপুরের সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে চাই। আমাদের ইউনিয়নের যারা মাদকাসক্ত যুবক আছে, আমরা ইতিবাচক কাজে তাদের যুক্ত করে ধীরে ধীরে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনব। আর কোনো শিক্ষার্থীকে ঝরে যেতে দেব না। উচ্চশিক্ষা অর্জনে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করব।’
সংগঠনের সাহিত্য সম্পাদক কবি নকিব মুকশি বলেন, ‘একটি গাছ থেকে ভালো ফল–ফুল পেতে হলে যেমন সে গাছের কাণ্ড, গোড়ার মাটি শক্ত ও পুষ্টিসম্পন্ন থাকা প্রয়োজন, তেমনি উন্নত, মানবিক ও শান্তি–শৃঙ্খলার দেশ পেতে হলে আমাদের শিকড়ে যেতে হবে। গ্রাম–প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে হবে। দেশ তথা শহরের কাণ্ড বা মাটি হচ্ছে গ্রাম। কারণ, সেখান থেকে আসা কাঁচামাল আর মানুষেই চলে শহরের চাকা, চলে দেশের চাকা। তেমনি একটি দেশের নতুন প্রজন্মকে জনসম্পদে পরিণত করতে হলে গ্রামেই ফিরে যেতে হবে আধুনিক সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা নিয়ে, যাতে সেখানের ৯০–৯৫ শতাংশ শিশু শিক্ষা থেকে ঝরে না গিয়ে আলোর কণার মতো উচ্চশিক্ষার দিকে ধাবিত হতে পারে, তবেই আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী মোর্শেদ আলম বলেন, ‘আধুনিক আলাওলপুর বিনির্মাণে আমাদের এই সংগঠন দৃঢ়প্রত্যয়ী। আমরা এ এলাকায় শিক্ষা-সংস্কৃতির বিপ্লব ঘটিয়ে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে চাই।’
নবগঠিত কমিটির সভাপতি হয়েছেন চিকিৎসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ইমাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী মোস্তাহাক মাসুম, প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন বাবলু, সিদ্দিকুর রহমান, প্রকৌশলী আসিফুল ইসলাম, শাহ-আলী,প্রকৌশলী জামিলুর রহমান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রয়েল আহমেদ, সাহিত্য সম্পাদক নকিব মুকশি, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মোর্শেদ আলম প্রমুখ।
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পুরোপুরি তলিয়ে যায়। যার ফলে এসব এলাকার বানভাসি পরিবারগুলো ঠিকানা হয় এ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোতে।
এসব কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া অসহায় মানুষগুলোর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কাজ করছেন সরকারি, বেসরকারিসহ বিভিন্ন সংগঠন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেকে এগিয়ে এসেছেন এসব বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায়। তাদেরই একজন বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এ টি এম মিজানুর রহমান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তিনি একাই নিজস্ব অর্থায়ন ও জনবল দিয়ে বন্যা কবলিত বুড়িচং উপজেলার ২৭টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের অন্তত ১০ হাজার মানুষকে খাদ্য, চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি রান্নার কাজে অর্ধশতাধিকের বেশি বাবুর্চি এবং শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীদের এসব আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রেখেছেন।
এছাড়াও তিনি তার আপন নিজ ভাই ডা. নাজমুল হাসান সাঈদসহ একাধিক চিকিৎসকের সমন্বয়ে কয়েকটি মেডিকেল টিম গঠন করেছেন। এ টিমগুলো প্রতিদিনই দুর্গতদের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।
বন্যার প্রথম দিনে শুকনো খাবার বিতরণ করলেও দুর্গত মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে মিজানুর রহমান ২৪ আগস্ট থেকে খাবারের তালিকায় দুপুর ও রাতে খিচুড়িসহ ভারি খাবার সরবরাহ শুরু করেন। এজন্য ২৭টি আশ্রয় কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে পৃথক বাবুর্চি ও সহযোগীসহ খাবার সরবরাহের জন্য অন্তত ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।
এদিকে নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি বাইরেও তাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান সাবেক এই চেয়ারম্যান।
বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবাই শুকনো চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট দিলেও মিজানুর রহমান আশ্রিতদের জন্য বাবুর্চি এনে রান্না করাচ্ছেন। এতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বয়স্ক, শিশুসহ সব শ্রেণির মানুষের সুবিধা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, আমি এ উপজেলার দুর্গত মানুষের সেবায় কোনো স্বার্থের মোহে কাজ করছি না। আগে করোনাসহ বিভিন্ন সময়ে আমি মানুষের পাশে ছিলাম। এবারও আছি। যতদিন আল্লাহ সামর্থ্য রাখবেন ততদিন অসহায়, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমার মেডিকেল টিম ৫-৭ সদস্য বিশিষ্ট। প্রতিটি টিমে আলাদা চিকিৎসক রয়েছেন। যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানেই যাচ্ছেন তারা। ঔষধ, স্যালাইনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী দুর্গতদের পুনর্বাসন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রশাসন, এনজিও, রেডক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীমূলক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসন কাজ এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
মুখের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে। সকালে ও রাতে এই দুইবেলা ভালো টুথপেস্ট ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। পাশাপাশি টুথব্রাশ সময়মতো বদলে নিতে হবে। আমাদের একটা বাজে স্বভাব, ব্রাশের ব্রিসেলসগুলো একদম অকেজো হলেই ব্রাশ ফেলে দেই। এমনটা ঠিক নয়।এটি ওরাল হেলথের জন্যও স্বাস্থ্যকর নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মুখেরর ব্রাশ ৩-৪ মাস পরপর বদলানো ভালো। আর যদি আগেই কোনো কারণে ব্রিসেলস নষ্ট হয় তাহলে দ্রুত বদলাতে হবে। আরেকটি বিষয়, বাড়িতে কেউ সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হলে ১-২ দিনের মধ্যে ব্রাশ বদলে ফেলতে হবে সবাইকে। মুখ দিয়ে অনেক রোগ শরীরে ছড়ায়। তবে ব্রাশের কিছু যত্নও নিতে হবে। তবেই তিন চার মাস পর সুস্থ ওরাল হেলথ নিশ্চিত করতে ব্রাশ বদলানো যেতে পারে। টুথব্রাশ ব্যবহারের পদ্ধতিগুলো হলো:
১। নিজের টুথব্রাশ ইচ্ছা/অনিচ্ছায় অন্য কেউ যেন ব্যবহার না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
২। টুথব্রাশ মাউথওয়াশ বা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে রাখার প্রয়োজন নেই। গরম পানি অনেক সময় ব্রিসেলসের ক্ষতি করে। বেসিনের কলের পানি দিয়ে ধুলেই চলবে।
৩। ভুল করে কেউ কারোর ব্রাশ ব্যবহার করতেই পারে। সেরকম কিছু হলে ফেলে দিতে হবে।
৪। পরিবারের সবার টুথব্রাশ যেন একে অপরের গায়ে গা লাগিয়ে না থাকে সে ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৫। টুথব্রাশের জন্য আলাদা বদ্ধ ক্যাপ দরকার নেই। প্লাস্টিক এই ক্যাপ ব্যবহার করে নিরাপদ ভাবার কারণ নেই। উলটো সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। সূত্র: ইত্তেফাক