a
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শায়েস্তাগন্জ,পচ্শিম বিরামচর জগন্নাথপুরে জমির মালিক ছিলেন আব্দুল গফুর মিয়া। তিনি মারা যাওয়ার পূর্বে ১২ শতাংশ জমি মসজিদের জন্য দান করে যান। নিকটে কোন মসজিদ না থাকায় তার বড় ছেলে মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া রমজান মাসে এলাকার মানুষের নামাজের ব্যবস্থা করতে দ্রুত সময়ে মসজিদটি নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ পশ্চিম বিরামচর জগন্নাথপুর উক্ত মসজিদটি মাত্র চারদিনে নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসী জানায়, অনেক দূরে আল ফালাহ নামে একটা মসজিদ আছে, সেখানে বয়স্ক মুসুল্লীসহ সব ধরণের নামাজী ব্যক্তিদের নামাজ পড়া অসুবিধা হচ্ছিল। এলাকার মানুষের এধরণের সমস্যা সমাধানে পবিত্র রমজান মাসে মরহুম আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া ও এলাকার যুবকদের কায়িক পরিশ্রমে মাত্র ৪ দিনে ২২ মার্চে মসজিদের কাজ সম্পন্ন করে উক্ত মসজিদে তারাবি নামাজেরও ব্যবস্থা করা হয়।
অত্র এলাকার প্রবাসীরা মসজিদটি নির্মাণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন বলে এলাকাবাসী জানান। অত্র মসজিদ নির্মাণে অনেকে টাকা-পয়সা, আবার অনেকে দিন-রাত শ্রম দিয়ে দ্রুততম সময়ে আল্লাহর ঘর মসজিদটি নির্মাণে সহযোগিতা করেন।
এদিকে বিরামচর এলাকার সন্তান শায়েস্তাগন্জ পৌরযুবলীগের সভাপ্রতি মসজিদ নির্মাণ কাজের জন্য স্থানীয় এমপির বরাবর দরখাস্ত করেছেন, যাতে সরকার তথা ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে কিছু সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী আশা করছেন, রমজানের পর পর সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় মসজিদটির বিল্ডিং-এর কাজ শুরু করা হবে ইনশাল্লাহ্।
মসজিদটির জমি বরাদ্দের পর অস্থায়ীভাবে অর্থাৎ আপাতত বাঁশ, টিন দিয়েই মসজিদটি সম্পন্ন করা হয়, যাতে রমজান মাসের ওয়াক্তের নামাজ ও তারাবি নামাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। আর এব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া, মুজিবুর রহমান, মো. হাবিবুর, মো. জিয়াউর, আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া, মির হোসেন, মোহাম্মদ ইউনুছ আলী, শহিদ মিয়া জুবায়েল, ফজুলুল হকসহ অনেকে।
সংগৃহীত ছবি
শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা সকাল থেকে পুরান ঢাকার ইমামবাড়া হোসেনি দালানে ভীড় করতে থাকেন। বিগত বছরের মতো এবারও তাজিয়া মিছিল না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। গত বছর হোসেনি দালানের ভেতরেই মিছিল করেন শিয়া সম্প্রদায়। তবে এবার নিষেধাজ্ঞা ভেঙে সড়কে তাজিয়া মিছিল করেছে।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে শত শত মানুষ হোসেনি দালানের ভেতরেই মিছিল করেন। সেই মিছিল থেকে অনেকেই বের হয়ে সড়কেও মিছিল করেছেন। কোনও কোনও জায়গায় পুলিশ বাধা দিলেও তাদের উপেক্ষা করে মিছিল বের হয়। বিক্ষিপ্তভাবে চকবাজার, লালবাগ, আজিমপুর এলাকায় মিছিল হয়েছে।
ইসলামি ইতিহাসে হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মুহররমের দশ তারিখকে আশুরার দিন বলা হয়। ৬১ হিজরি সালের এ দিনে মহানবী (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.) কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন। এই শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে বিশ্বে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা তাজিয়া মিছিল করে থাকেন।
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষিত ছিল। হোসাইনি দালানে অনেকে ছিলেন মাস্ক ছাড়া। আর মানুষের ভিড় ছিল অনিয়ন্ত্রিত। শোকের স্মৃতি নিয়ে হোসাইনি দালানের সীমানার ভেতরেই হয় তাজিয়া মিছিল। বুক চাপড়ে মাতম করছেন তারা। বেশির ভাগ মানুষ কালো পোষাকে এসেছেন শোকের বহিঃপ্রকাশে।
ফাইল ছবি
র্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ব্যাংক মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো হল- সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার। এ ঘটনায় মার্কিনিদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গ্রাহকদের এই আতঙ্ক-শঙ্কা দূর করতে সোমবার বক্তব্য দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানান, ব্যাংকে গচ্ছিত গ্রাহকদের অর্থ পুরোপুরি নিরাপদ। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছেননা গ্রাহকরা। তার বক্তব্যের পরও বিশ্বব্যাপী ব্যাংকগুলোর শেয়ারে দরপতন হয়েছে।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মনে ভয় ঢুকেছে অন্যান্য ব্যাংকগুলোও হয়ত বর্তমান সংকটে ধাক্কা খাবে। আর এ শঙ্কা থেকেই ব্যাংকের শেয়ারে দরপতন ঘটিয়েছে।
সোমবার দিনের শুরুতে স্পেনের সানতানদার এবং জার্মানির কমার্জব্যাংকের শেয়ার একটা সময় ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেমে যায়।
ইউরোপের ব্যাংকগুলোর চেয়ে আমেরিকার ছোট ব্যাংকগুলোর ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি ছিল। যদিও সোমবার মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে এ সংকট সহজেই মোকাবিলা সম্ভব। দেশে কোনও তারল্য সংকট নেই।
এমন পরিস্থিতিতে শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ফেডারেল রিজার্ভ সুদ হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করবে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মার্কিন ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা অব্যাহতভাবে সুদ হার বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবারের বক্তব্যে আরও জানান, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে যাদের অর্থ গচ্ছিত ছিল তারা সবাই তাদের অর্থ ফেরত পাবেন।
গত শুক্রবার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতন হওয়ার পর প্রায় সব গ্রাহকের অর্থ আটকে যায়। যেহেতু এ ব্যাংকটির সঙ্গে স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন বেশি ছিল, ফলে ব্যাংকে টালমাটাল পরিস্থিতি ও অর্থ আটকে যাওয়ার পর ওই কোম্পানিগুলোর কর্মীদের বেতনও আটকে যায়। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স