a
ফাইল ছবি
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রাণী গতকাল বৃহস্পতিবার মারা গেছে। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড এ বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে রেকর্ড গড়তে যাওয়া আর হলো না আশুলিয়ার রাণীর।
তবে রাণীর মৃত্যু নিয়ে খামার কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: সাজেদুল ইসলাম রাণীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু রাণী, যেটা আশুলিয়ার চাড়িগ্রামে শিকড় এগ্রোতে ছিল এতোদিন। সেটি বৃহস্পতিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যায়, পেট ফুলে যায়। পেট ফুলার সাথে সাথে সেটাকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। পরে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়, চিকিৎসা দেয়া হয়, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার পরেও গরুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
গরুটি ১২টা সোয়া ১২টার দিকে মৃত্যুবরণ করে। গরুটি মারা যাওয়ার পরে খামারের মালিক ওনাদের খামারে নিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি। রাণীর মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো: আবু সুফিয়ান কোন মন্তব্য করেননি এখনো।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল রাণীর জন্য। আর এক/দেড় মাস হলেই গিনেজ বুকে নাম থাকতো রাণীর। ‘রাণী’র উচ্চতা ২০ ইঞ্চি ও ওজন মাত্র ছিল ২৬ কেজি। রাণীকে নওগাঁর একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এনেছিল খামার কর্তৃপক্ষ। গত ২ জুলাই গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লেখানোর জন্য আবেদন করেছিল ফার্ম কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে দেশের গণমাধ্যমসহ বিশ্ব মিডিয়ায় রাণীকে নিয়ে সংবাদ প্রচার হলে পরিচিতি লাভ করে রাণী।
ফাইল ছবি
প্রথম ধাপের স্থগিত ১৬০ ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ চলছে আজ। সোমবার সকাল ৮টা থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এছাড়া ষষ্ঠ ধাপের স্থগিত ৯ পৌরসভায় আজ ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি জানিয়েছে, ১৬০ ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ৪৪ জন, চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৫০০ জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থী ১ হাজার ৯৪৮ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন। এদিকে নয় পৌরসভার মধ্যে তিনটি পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আর বাকি পৌরসভায় মেয়র পদের লড়াইয়ে রয়েছেন ২৭ জন।
এর আগে প্রথম ধাপের ২১ জুন ২০৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছিল। এই ২০৪ ইউপিতে ২৮ জন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এদিকে বাগেরহাটের মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের দুই সদস্য প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় ফাতেমা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা-অজানা শঙ্কা রয়েছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে। ভোট নিয়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে নির্বাচনী সব এলাকায়। ভোট কেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ ভোটাররা। যদিও ইসি ভোটারদের অভয় দিয়ে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ফাইল ছবি: মুফতি ওয়াক্কাস
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি ও সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস আর নেই (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। বুধবার (৩১ মার্চ) ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মুফতি ওয়াক্কাস বেশ কিছুদিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর।
তিনি যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসন থেকে ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী (মটরগাড়ী প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে নির্বাচিত হন। পরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ১৯৮৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বিভিন্ন কারণে মন্ত্রিত্বের পদে বেশি দিন থাকা হয়নি। এরপর তিনি এরশাদ সরকারের শেষদিন পর্যন্ত জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এরশাদ সরকারের পতনের পর মুফতি ওয়াক্কাস আবার সক্রিয় হন জমিয়তের রাজনীতিতে। পরে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এছাড়াও ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বচনে বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও পরাজিত হন।
তিনি ২০২০ সালের শেষ দিকে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নিজের নির্বাচনী এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন।