a কেজি মুল্যে তরমুজ বিক্রি করায় ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
ঢাকা রবিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩২, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কেজি মুল্যে তরমুজ বিক্রি করায় ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা


নাঈম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৭:৪১
কেজি মুল্যে তরমুজ বিক্রি করায় ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ফাইল ছবি

বরিশালে তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ফলের আড়ৎ ও দোকানে এই অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে ৬ জন ব্যবসায়ীকে ৯ হাজার ৭শ’ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

প্রতি বছর বরিশালে মৌসুমী রসালো ফল পিস হিসেবে বিক্রি হয়। এ বছর শুরুর দিকে বরিশালের বাজারে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হলেও মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি শুরু করে বিক্রেতারা। এতে বড় সাইজের তরমুজের দাম দাঁড়ায় ৭শ’ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। এ কারণে তরমুজ এবার সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। ক্ষুব্ধ হয় ক্রেতারা। জনগণের প্রতিক্রিয়া বুঝতে পেরে গত ৩দিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
  
ফল আড়তদার গনেশ দত্ত জানান, তারা আগে পিস হিসেবেই তরমুজ বিক্রি করতেন। এখন খুচরা ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে কিনে কেজি দরে বিক্রি করছেন। এতে সুবিধা-অসুবিধা দুটিই আছে বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে অসাধু তরমুজ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে বুধবার নগরীতে পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।

জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাহাতুল ইসলাম।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

আগামীকাল থেকে আবারও প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম শুরু


স্বাস্থ্য ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১, ০৪:১৯
আগামীকাল থেকে আবারও প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম শুরু

সংগৃহীত ছবি

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে আবারও সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত করোনা বুলেটিনে বুধবার (৩০ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করে অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক জানান, প্রথম ডোজ প্রদানের এ কার্যক্রম শুরু করা হবে সিনোফার্ম ও ফাইজারের টিকা দিয়ে। 

সারা দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালসহ টিকা কেন্দ্রগুলোতে দেওয়া হবে সিনোফার্মের টিকা। আর ফাইজারের টিকা রাজধানীর সাতটি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেওয়া হবে। তবে আপাতত অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা টিকা পাবেন। 
 
এসময় তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দেশব্যাপী সিনোফার্মের টিকা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেস হাসপাতাল এবং সৈয়দপুর সদর হাসপাতালে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে। ঢাকা শহরের মধ্যে আমরা আগে ৪৮টি কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম, কিন্তু এই মুহূর্তে আটটি কেন্দ্র বাদ দিয়ে ৪০টি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম চালু করব।

তিনি আরো বলেন, অগ্রাধিকার তালিকায় যারা আছেন, বিশেষ করে আমাদের মেডিকেল, নার্সিং ও ম্যাটস শিক্ষার্থীরা টিকা পাবেন। একই সঙ্গে আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, পুলিশ বাহিনীর লোকজন এবং অন্যান্য অগ্রাধিকার তালিকাভুক্তরা টিকা নিতে পারবেন। এছাড়া যারা আগে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু টিকা নিতে পারেননি, তারা নিতে পারবেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

একজন সাইফুল আজমের প্র‍য়োজনবোধ করছে ফিলিস্তিন


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১, ০৪:৩৬
একজন সাইফুল আজমের প্র‍য়োজনবোধ করছে ফিলিস্তিন

ফাইল ছবি । সাইফূল আজম

 

সাইফুল আজম শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো পৃথিবীর ইতিহাসের একমাত্র যোদ্ধা, যিনি আকাশপথে লড়াই করেছেন তিন তিনটি, আলাদা দেশের বিমানবাহিনীর সদস্য হয়ে। তিনিই একক ব্যক্তি হিসেবে আকাশপথে যুদ্ধের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিলেন। ইতিহাসে নজির সৃষ্টিকারী ২২ জন ‘লিভিং ঈগলের’ অন্যতম একজন ছিলেন এই বীর বাঙালি বিমান সৈনিক'

১৯৭১ সালের পূর্বে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কাজ করেছিলেন সাইফুল আজম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে অংশ নেন। পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের জুন মাসে তৃতীয় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ আরম্ভ হলে সশরীরে যুদ্ধে অংশ নিতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইরাকি বিমানবাহিনীতে স্থানান্তরিত হন সাইফুল আজম। পশ্চিম ইরাকে অবস্থান নিয়ে ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন তিনি।

যুদ্ধ আরম্ভ হবার মাত্র ৫ দিনের মাথায় গাজা এবং সিনাইয়ের কর্তৃত্ব নিয়েছিল ইসরাইল। জুনের ৫ তারিখে সিরীয় বিমানবাহিনীর দুই-তৃতীয়াংশ শক্তি ধ্বংস করে দিয়েছিল সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলি বিমান সেনারা। তেমন কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই ইসরাইল পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেম তারা দখল করেছিল। করায়ত্ব করেছিল সিরিয়ার গোলান মালভূমিও। তাদের সামনে বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ তৈরি করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ। এ সময় ইসরাইলিদের যমদূত হয়ে জর্ডানে যান সাইফুল আজম।

৬ জুন আকাশ থেকে প্রচণ্ড আক্রমণে মিসরীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধ-সরঞ্জাম গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ইসরাইলি বাহিনী। একই দিনে চারটি ইসরাইলি সুপারসনিক ‘ডাসল্ট সুপার মিস্টেরে’ জঙ্গি বিমান আক্রমণের জন্য ধেয়ে আসে জর্ডানের মাফরাক বিমান ঘাঁটির দিকে। এবার তাদের উদ্দেশ্য ছিল জর্ডানের বিমানবাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া।

সে সময় ইসরাইলি শক্তিশালী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করার মতো সমতুল্য বিমান আরবীয়দের ছিল না। তবু ইসরাইলিদের আটকাতে মাফরাক বিমান ঘাঁটি থেকে 'হকার হান্টার’ জঙ্গি বিমান নিয়ে বুক চিতিয়ে উড়াল দিয়েছিলেন সাইফুল আজম।

আর সেই হকার হান্টার দিয়েই চিতার ন্যায় তীব্র গতিতে দুটি ইসরাইলি সুপারসনিক বিমানকে ভুপাতিত  করে মাটিতে আছড়ে ফেলেছিলেন  সাইফুল আজম। তার অব্যর্থ আঘাতের পর আঘাতে ভূপাতিত হচ্ছিল এক  একটি ইসরাইলি ‘সুপার মিস্টেরে’। 

সে দিন ভয়ডরহীন বৈমানিক সৈনিক সাইফুল আজমের অকল্পনীয় সাহস আর বীরত্বের কাছে ইসরাইলের সকল পরিকল্পনাই হারিয়ে যায়। উল্টো নিজেদেরই দুটো বিমান হারাতে হয়েছিল তাদের। এমন সাহসী বীরত্বের জন্য পুরস্কারস্বরূপ সাইফুল আজমকে ‘হুসাম-ই-ইস্তিকলাল’ সম্মাননায় ভূষিত করে জর্ডান সরকার।

সাইফুল আজমের কাছে ইসরাইলি বৈমানিকদের ধরাশায়ী হওয়া এটাই প্রথম। পরদিনই তার কৃতিত্বে ইরাকি বৈমানিক দলের কাছে চরমভাবে পরাজিত হয় ইসরাইলিরা। ৭ জুনে ইরাকের ‘এইচ-থ্রি’ ও ‘আল-ওয়ালিদ’ ঘাঁটি রক্ষা করার দায়িত্ব পড়ে এক ইরাকি বৈমানিক দলের কাঁধে। আর সাইফুল আজম সেই দলের অধিনায়ক। সে দিন চারটি ‘ভেটোর বোম্বার’ ও দু’টি ‘মিরেজ থ্রিসি’ জঙ্গি বিমান নিয়ে আক্রমণ চালায় ইসরাইল।

একটি ‘মিরেজ থ্রিসি’ বিমানে ছিলেন ইসরায়েলি ক্যাপ্টেন গিডিওন দ্রোর। দ্রোরের গুলিতে নিহত হন আজমের উইংম্যান। তার হামলায় ভূপাতিত হয় দুটি ইরাকি বিমান। পরক্ষণেই এর জবাব দেন আজম। তার অব্যর্থ টার্গেটে পরিণত হয় দ্রোরের ‘মিরেজ থ্রিসি’। সে আঘাতের পর বাঁচার উপায় না পেয়ে যুদ্ধবন্দি হিসেবে ধরা দেন ক্যাপ্টেন দ্রোর। ওই যুদ্ধবন্দির বিনিময়ে জর্ডান ও ইরাকের সহস্রাধিক সৈন্যকে মুক্ত করে দেয় ইসরাইল।

আরব-ইসরাইল যুদ্ধের প্রথম ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সাইফুল আজম একটি অনন্য রেকর্ড তৈরি করেন। ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ভূপাতিত করেছেন সর্বোচ্চ তিনটি ইসরাইলি বিমান। যে জন্য ‘নাত আল-সুজাহ’ সামরিক সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

ইতিহাসে তার অন্যান্য নজিড় স্থাপনকারী এই কাজের জন্য তাকে  পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মাননা ‘সিতারা-ই-জুরাত’-এ ভূষিত করা হয়। সাইফুল আজমই পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বৈমানিক যিনি চারটি দেশের বিমানবাহিনীর সৈন্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই চারটি দেশ হল পাকিস্তান, জর্ডান, ইরাক ও মাতৃভূমি বাংলাদেশ।

এই চার দেশ ব্যতিত ও তিনি আটটি আলাদা দেশের আট বাহিনীর বিমান পরিচালনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, জর্ডান, ইরাক, রাশিয়া, চীন ও নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশের হয়ে বিমান চালিয়েছেন তিনি। যুদ্ধক্ষেত্রে অনন্য সব অর্জন আর ইতিহাস গড়া সাইফুল আজমকে ২০০১ সালে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স বিশ্বের ২২ জন ‘লিভিং ইগলস’-এর একজন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

কিংবদন্তি এই বীর বাঙালি আমাদের মাঝে আর বেচে নেই। গত বছর জুনে ঢাকার মহাখালী ডিএসএইচওর তার নিজ বাস ভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন তিনি নানা জটিল ও কঠিন রোগে ভুগছিলেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ