a
ফাইল ছবি
বরিশালে তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ফলের আড়ৎ ও দোকানে এই অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে ৬ জন ব্যবসায়ীকে ৯ হাজার ৭শ’ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রতি বছর বরিশালে মৌসুমী রসালো ফল পিস হিসেবে বিক্রি হয়। এ বছর শুরুর দিকে বরিশালের বাজারে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হলেও মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি শুরু করে বিক্রেতারা। এতে বড় সাইজের তরমুজের দাম দাঁড়ায় ৭শ’ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। এ কারণে তরমুজ এবার সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। ক্ষুব্ধ হয় ক্রেতারা। জনগণের প্রতিক্রিয়া বুঝতে পেরে গত ৩দিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
ফল আড়তদার গনেশ দত্ত জানান, তারা আগে পিস হিসেবেই তরমুজ বিক্রি করতেন। এখন খুচরা ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে কিনে কেজি দরে বিক্রি করছেন। এতে সুবিধা-অসুবিধা দুটিই আছে বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে অসাধু তরমুজ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে বুধবার নগরীতে পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাহাতুল ইসলাম।
ফাইল ছবি
আলোচিত বক্তা মুফতি আমির হামজাকে আটক করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একটি দল। সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ডাবিরাভিটা গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হামজাকে আটক করা হয় বলে জানানো হয়।
মুফতি আমির হামজা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের রিয়াজ সর্দারের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদের কেন্দ্রিয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এর আগে, আমির হামজার স্ত্রী তামান্না সুলতানা গণমাধ্যমকে অভিযোগ করে বলেন, সাদাপোশাকে ছয়–সাতজন মানুষ এসে হাতকড়া পরিয়ে হুজুরকে (আমির হামজা) নিয়ে যায়। এ সময় তাদের একজনের কাছে রাইফেল ছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপনার মতো আরেকজন সাংবাদিকও একই খোঁজ নিয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নাই। পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমির হামজার স্ত্রীর ভাষ্যমতে, গতকাল রোববার তাঁরা পরিবারসহ গ্রামের বাড়ি ডাবিরাভিটা যান। আজ দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়িতেই শুয়ে ছিলেন তাঁর স্বামী আমির হামজা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হঠাৎ একটি কালো মাইক্রোবাস বাড়ির সামনে আসে। ছয়–সাতজন নেমে ঘরের ভেতরে যায়। একপর্যায়ে হুজুরকে ডাকতে বলে এবং তাদের সঙ্গে যেতে বলে। তিনি বের হলে তাঁর হাতে একজন হাতকড়া পরিয়ে ফেলে।
তামান্না সুলতানা আরও বলেন, ‘প্রত্যেকের শরীরে পাঞ্জাবি ও পাজামা পরা ছিল। তবে হাতকড়া পরানোর সময় কয়েকজন কালো কটি পরে। তাদের মধ্যে একজনের হাতে রাইফেল ছিল। ১০ মিনিটের মধ্যে তারা কালো গাড়িতে (হাইয়েস) করে দ্রুত চলে যায়। এরপর শহরের কয়েক জায়গায় যোগাযোগ করে এখনো তার কোনো সন্ধান পাচ্ছি না।’
বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে আমির হামজার দেওয়া বক্তব্য ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পায়। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
ইমরুল কায়েসের শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে এবারও ঠাঁই হয়নি। যদিও তিনি প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন। এ বাহাঁতি ব্যাটম্যানের জন্য ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যই বটে।
মূল স্কোয়াড ঘোষণার পর ইমরুলের ঠাঁই না পাওয়া নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বারংবার প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে নির্বাচক প্যানেলকে। নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এতে কিছুটা।
বিতর্কিত সব প্রশ্নের অবসান ঘটাতে অবশেষে ইমরুলকে মূল স্কোয়াডে না রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তবে প্রাথমিক স্কোয়াডে রাখার কারণ খোলাশা করেছেন প্রধান নির্বাচক।
নান্নু বলেন,‘ডমেস্টিকে কি আউটস্ট্যান্ডিং পারফরম্যান্স করছে ও? দলের লিস্ট লম্বা আমি তো করতেই পারি। ৩০ জনের তালিকা আমি করি সবসময়ই। যেহেতু আমাদের ‘এ’ দলের কোনো খেলা নেই, তাই আমাদের কিছু খেলোয়াড় তৈরি রাখতে হবে। সামনে তো অনেক খেলা, পর্যাপ্ত খেলোয়াড় না থাকলে অসুবিধা।’
নান্নু আরও বলেন, ‘এই কোভিড সিচুয়েশনে বায়োবাবলে রেখে খেলোয়াড়দের খেলানো অনেক কষ্টকর। আল্লাহ না করুক, কেউ অসুস্থ হলে কী করব? তখন এই লম্বা তালিকা কাজে লাগবে। কারণ বলা যায় না কাকে কখন দরকার হয়। সেজন্য এরকম করছি আমরা।’
২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের জার্সিতে ইমরুল সর্বশেষ খেলেছেন, ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। তিনি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন।