a
ফাইল ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার কোড্ডা গাউছিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে গত- ২০ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল ২ ধাপে ১৩০ টি বিধবা পরিবারকে ও ১৯ এপ্রিল মজলিশপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৪০ টি মোট ১৭০ টি বিধবা পরিবারকে অরফান ইন নিড ও গ্লোবাল ওয়ান কান্ট্রি বাংলাদেশের অর্থায়নে রমাদান ফুড্স ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, চাউল, আটা, মুশুর ডাল, ছোলা, চিনি, খেঁজুর, লবন, চা পাতা, লাক্স সাবান, হুইল সাবান ইত্যাদি প্রায় ২,৭০০ টাকার ১১ প্রকার খাদ্য পণ্য প্রত্যেকটি পরিবারকে দেয়া হয়।
খাদ্য পণ্য বিতরনে সার্বিক তত্বাবধানে ছিল, এ.আর.ডি. উন্নয়ন সংস্থা ও কোড্ডা জাগরণ সংস্থা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, এ.আর.ডি. মানবাধিকার সংস্থার প্রধান উপদেষ্ঠা ও কোড্ডা জাগরন সংস্থার সাধারন সম্পাদক জনাব মোঃ সিদ্দিকুর রহমান রেজভী, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট লোকমান হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বপ্নতরী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক মোঃ তাহের উদ্দিন ভূঁইয়া, সদর উপজেলার আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহাবুবুল আলম, বাসুদেব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া, আসাদ মাষ্টার, বিশেষ অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, এ.আর.ডি. (ফিহাপ) সমন্নয়কারী ও সাংবাদিক মোহাম্মদ আলমগীর উসমান ভূঁইয়া, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা পরশ চৌধুরী।
অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাসুদেব ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য তৌহিদ মিয়া, ইউপি সদস্য লিপি বেগম, রুমা আক্তার, সাংবাদিক জায়েদুর রহমান (রতন), মিজানুর রহমান রেজভী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংগৃহীত ছবি
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে স্পিডবোট ও লঞ্চ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ফেরিতে করে বাড়ি যাচ্ছে ঘরমুখো মানুষ।
শুক্রবার সকালে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে করে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। সেখানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতে মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়ে ফেরিতে যানবাহন উঠার সুযোগই পাচ্ছে না। এতে হিমশিম খাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় পুলিশ। গাদাগাদি করে মানুষকে ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে।
গত সোমবার মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষে ২৬ যাত্রী নিহত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন।
এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ে শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে। ফেরিতে উঠে নদী পার হওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির ডালা খোলার অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাচ্ছে ঘরমুখো যাত্রী।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, ঈদকে সামনে রেখে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথ দিয়ে ঘরে ফিরছে মানুষ। আজ ভোর থেকে এ নৌপথে মানুষ ও যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ আরও বেড়ে যায়।
ফাইল ছবি
আজ রবিবার (৬ জুন) স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আবারও নীলক্ষেতে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ৩ দফা দাবিতে তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
আন্দোলনকারীরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার নীলক্ষেতের অবস্থান কর্মসূচি থেকে যে ৩ দফা দাবি জানানো হয়েছিল সেগুলো প্রশাসন মেনে নেয়নি। তাই আজকে আমরা এখানে আবারও অবস্থান নিয়েছি, প্রতিবাদ সমাবেশ করার জন্য।
আন্দোলনরত অন্য আরেক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের দাবি ছিল সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের পরিকল্পনা নিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ অবধি একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেননি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৩দফা দাবিগুলো হলো-
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ারও রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
২. সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম (ক্লাস, পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশ) এর পরিকল্পনা নিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
৩. প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়ে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ এবং হল খুলে সব পরীক্ষা নিতে হবে।
অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে তারা জানান।