a
শেখ মো: আব্দুল কাদির কাজল
যুব ও কিশোররা সময় নষ্ট করে চলেছে- চায়ের ষ্টলসহ বিভিন্ন রকম খেলার আড্ডায়। তাদের পারিবারিক সমন্বয়হীতায়, হিরোইজম, অর্থের মোহ, প্রযুক্তির বেপরোয়া ব্যবহার, বেপরোয়া বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হয়ে পারিবারিক জীবনে মহাক্ষতির সম্মুখিন হতে যাচ্ছে।
দেশের যুব ও কিশোরদের প্রভাবশালীরা তাদের ভবিষ্যত নিয়ে না ভেবে তাদের ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে চলেছেন। দেশের বিভিন্ন গ্রাম্য হাটবাজার পরিদর্শনকালে যাহা চোখে পড়ে-চায়ের ষ্টলগুলিতে, ক্রাম বোর্ড, লুডু গুডির খেলায় (টাকা দিয়ে) আসক্ত হয়ে মূল্যবান সময়টুকু নষ্ট করে। আবার এদের অনেকেই উচ্চ বিলাসী জীবন গঠনের লক্ষ্যে- চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা, ঠকবাজিসহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে।
হেরোইজমে জড়িয়ে পড়ার পেছনে দায়ী কিছু দেশদ্রোহী বিপদগামী ব্যক্তি ও আন্তর্জাতিক চক্র। দেশে এমন কোন সমাজ বা প্রতিষ্ঠান কিশোরদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সুন্দর আগামীর দিকে ঠেলে দেয়ার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছেনা।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে দেশ অনেক দূরে। ব্যক্তি কেন্দ্রীক নেতৃত্ব, পরিবারতান্ত্রিক কর্তৃত্ব বহাল তবিয়তে রাখতে- দেশের কিশোর ও যুব সমাজকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পারিবারিকভাবেও এরা নিগৃহিত কারণ অনেক অভিভাবকগণ তাদের সঠিক খোঁজখবর রাখতে না পারায় তারা বিপথে যাচ্ছে।
আজ গডফাদার নামে ব্যক্তিরা তাদের নিজস্ব বলয়ে এক বাহিনী গড়ে তুলে তারা প্রচলিত আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে, আবার অনেক ক্ষেত্রে টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে তারা অন্যের সম্পদ জোরপূর্বক আত্বসাৎ করে ধরাকে সরাজ্ঞান করে সমাজকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।
এ প্রতিবেদনের লেখক আমি শেখ মো: আব্দুল কাদির কাজল। আমার জমিও জবর দখলকারীরা ভোগ বিলাস করে চলেছে যারা, তারা কি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য? ঐ এলাকায় কি নের্তৃবৃন্দের অভাব? অভাব নয়- কিন্তু জুলুমবাজরা সামাজিক সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা করছেনা। আমি ভদ্র শান্তিপ্রিয় এক সুনাগরিক ও একজন কলমসৈনিক। আমার পক্ষে লাঠিয়ালী, মোনাফেকী করা আদৌ সম্ভব নয়।
আমি আশরাফুল মাখলুকাত শব্দের অর্থ জানি, শ্রেষ্টত্বের বিসর্জন আমি কখনো দেইনি, দেবনা, দেয়ার সম্ভাবনাও নাই। নতুবা এসব পরসম্পদলোভী, কুখ্যাতদের বিরুদ্ধে সশস্র সংঘাতে যেতাম। আমার পরম শ্রদ্ধেয় পিতা তাঁর জীবদ্দশায় আমাকে সুপথে চলার, মানুষের কল্যাণে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। আমি আমার পিতার অতিবাধ্যগত এক সন্তান।
আমি এক পেয়ালা চাও কখনো সঙ্গী-সাথীদের ছাড়া পান করিনা। দেশের চলমান প্রেক্ষাপটে, সত্য সুন্দর নিয়ে প্রকাশ প্রচার আমার পেশাগত দায়িত্ব। যুব-কিশোরদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তোলা, নষ্ট পথ থেকে ফেরাতে কাজ করা আমি দায়িত্ব হিসেবেই মনে করি।
অনেক কাজ করতে গিয়ে হয়তো কোন কাজে ভুল-ক্রুটি থাকতে পারে। তবে সমাজের সকল মানুষকে একত্রে করে সর্বদায় কাজ করার চেষ্টা করি, বিশেষ করে জনকল্যাণমূলক এবং জনবান্ধব কাজসমূহ।
এক্ষেত্রে, এই সমাজের ও রাষ্ট্রের কাছে আমারও দাবি রয়েছে। আমি নিরলসভাবে অন্যের কাজ করে যাচ্ছি। অথচ আমার সততা ও ভদ্রতার সুযোগে কিছু জবর দখলকারী ব্যক্তি আমার সম্পত্তি ভোগ-দখল করে খাচ্ছে। আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই সমাজের নিকট ও রাষ্ট্রের নিকট দাবি করে যাব বেআইনীভাবে জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া এবং আসল হকদার ব্যক্তি যেন তার সম্পত্তি ভোগ দখল করতে পারে তা নিশ্চিত করা।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সারাদেশের ন্যায় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের ৭২ তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৫ আগস্ট সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা চত্বরের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. শাহ-ই আলম বাচ্চু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস-চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ফাহিমা ছাবুল, মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম।
এ ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী খান, বীর মুক্তিযোদ্ধ মো. শাহআলম হাওলাদার সহ মোরেলগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ।
দিবসটি উপলক্ষে উপজেলার কুঠিবাড়ি এলাকায় বৃক্ষরোপন এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সোনালী ব্যাংকের সি.এস.আর এর অর্থায়নে কোভিড ১৯ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ২৫ পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে দুই হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান ও শহীদ শেখ কামালের রুহের মাগফিরত কামনায় বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থণা করা হয়।
ফাইল ছবি
দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকালেই চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, ফেনী ও নোয়াখালীতে বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আস্তে আস্তে রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জায়গায়, আগে যেমন শুধু সিলেটে হচ্ছিল সেটা এখন চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে ছড়িয়ে পড়েছে। আস্তে আস্তে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোর থেকেই নোয়াখালীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর তা মাঝারি আকার ধারণ করে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
একইভাবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩ মিনিট। সামান্য এ বৃষ্টির দেখা পেয়েও জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সামনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে আশা স্থানীয়দের।
আবহাওয়া অফিসও জানায়, বৃষ্টিপাতের এ ধারা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। এরপর আবার তাপপ্রবাহ বাড়তে পারে।
এছাড়া সকালে বান্দরবানে থেমে থেমে বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বৃষ্টি হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামও। সেখানেও ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় বজ্রপাতের খবরও পাওয়া গেছে। সূত্র: ইত্তেফাক