a পিঠে সিলিন্ডার ও মাকে নিয়ে অনিশ্চিত হাসপাতালের খুঁজে অসহায় ছেলে
ঢাকা সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩২, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পিঠে সিলিন্ডার ও মাকে নিয়ে অনিশ্চিত হাসপাতালের খুঁজে অসহায় ছেলে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৬:০৫
পিঠে সিলিন্ডার ও মাকে নিয়ে অনিশ্চিত হাসপাতালের খুঁজে অসহায় ছেলে

মায়ের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন ছেলে

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের হিরণ পয়েন্ট এলাকা। সেখানকার তল্লাশিচৌকিতে গতকাল শনিবার বিকেলে দায়িত্বরত ছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট তৌহিদ টুটুল জানান, দুজন আরোহীর একটি মোটরসাইকেল আসতে দেখে থামার জন্য সংকেত দেই। কাছে আসতেই দেখতে পাই চালকের পিঠে বাঁধা অক্সিজেনের সিলিন্ডার। পেছনে বসে থাকা নারীর মুখে অক্সিজেন মাস্ক। তাৎক্ষণিক তাঁদের এগিয়ে যাওয়ার সংকেত দেন।

এমন সময় পথচারীদের কেউ দৃশ্যটি মুঠোফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন। দ্রুতই সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায়, মুমূর্ষু মাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে মোটরসাইকেলে এভাবেই ১৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন জিয়াউল হাসান নামের সেই যুবক।

জিয়াউল হাসানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যপাশা এলাকায়। তাঁর মা নলছিটি বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেহেনা পারভীন (৫০) দশ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। ১০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার নমুনাও দেন। কিন্তু প্রতিবেদন পাননি। 

এর মধ্যেই গতকাল সকালে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। কষ্ট কমাতে একটি সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে আনেন তরুণ ব্যাংক কর্মকর্তা ছেলে জিয়াউল হাসান। লাগানো হয় সেটি। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্টও তা বাড়তে থাকে রেহেনা পারভীনের। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না জিয়াউল।

এরপর মাকে বরিশালের হাসপাতালে আনার জন্য অ্যাম্বুলেন্স এবং অন্য যানের খোঁজ করেন কিন্তু পাচ্ছিলেন না। নিরুপায় হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে মাকে হাসপাতালে আনার সিদ্ধান্ত নেন। পিঠের সঙ্গে শক্ত করে বাঁধলেন অক্সিজেন সিলিন্ডারটি। এরপর মাকে পেছনে বসিয়ে তাঁর মুখে পরানো হলো অক্সিজেন মাস্ক। এভাবে ১৮ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় মাকে নিয়ে পৌঁছান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পাশে আরেকটি মোটরসাইকেলে ছুটছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছোট ভাই রাকিব। বর্তমানে তাঁদের মা করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

রেহেনা পারভীনের অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে মাঝেমধ্যে অক্সিজেন লেভেল ওঠানামা করছে বলে গণমাধ্যমকে জানালেন জিয়াউল হাসান। তিনি বলেন, ‘শনিবার মা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অক্সিজেন লেভেল ৯৪-৯৩ নেমে যাচ্ছে। দুপুরে দেখলাম মায়ের অক্সিজেন শেষ হয়ে আসছে। সে জন্য ভাবলাম ঝুঁকিটা নেওয়া ঠিক হবে না।’

কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠি সদর শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিয়াউল বলেন, ‘মোটরসাইকেলে না এসে আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। আমাকে যে যেতেই হবে। দৌড়ে যেতে পারব না। চেষ্টা করেও কিছু করতে পারিনি। শেষে আমার গায়ের সঙ্গে গামছা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে নিয়ে এসেছি। আমি বুঝতে পারছিলাম মায়ের কষ্ট হচ্ছে। আমি তখন মাকে একটি কথা বলেছিলাম, উপায় নেই মা। আমার মায়ের কষ্ট হচ্ছিল, তা আমি সহ্য করতে পারিনি।’
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সীমান্ত বন্ধের প্রথম দিনেই ভারতীয় গম ও পাথরের বিশাল চালান 



সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪৫
সীমান্ত বন্ধের প্রথম দিনেই ভারতীয় গম ও পাথরের বিশাল চালান 

দুই দেশের সীমান্ত বন্ধের প্রথম দিনেই সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে গম ও পাথরভর্তি দুটি বড় চালান  ভারত থেকে এসে পৌঁছেছে দর্শনা বন্দরে। দুই দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত গত বছর থেকে বন্ধ থাকলেও দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে স্থলপথে জরুরি খাদ্য পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে ভারতের গেদে ও দর্শনা সীমান্তের প্রবেশ দ্বারে পূর্ব নির্ধারিত নিয়ম ছাড়া জরুরি বা বিশেষ কোনো সতর্কতার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে মহামারি করোনা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায়।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনেই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বন্দরে। জানা যায় গত বছর দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় ঐ বছরের ২৬ মার্চ থেকে দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থলপথে। অল্প  দর্শনা বন্দর বন্ধ থাকার কিছুদিন পরে ফের ভারত থেকে জরুরি খাদ্য চাল গম পেয়াজের বড় বড় চালানসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি শুরু হয়। সরকার এ বছরে ১ জানুয়ারি মাস থেকে ১৮ এপ্রিল মাস পর্যন্ত ভারত থেকে ৮২হাজার ১শত মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছে।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ থাকলেও ২৩শ মেট্রিক টন গম ও ২২শ মেট্রিক টন (স্টোন) পাথর ভারত থেকে দর্শনা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। সে ক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত অর্থাৎ যে স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা ছিল করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়, সে ভাবেই দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরটি চলছে। ইতি মধ্যে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও নতুন ভ্যারিয়েন্ট করোনা ভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ভাইরাসটি বাংলাদেশে ছড়িয়ে যেতে পারে্ এই আশঙ্কায় সব সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা এসেছেন সোমবার থেকে।

দর্শনা বন্দর রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও সি এন্ড এফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু জানান, দর্শনা সীমান্ত থেকে মাত্র দেড় দুই কিলোমিটার ভারত, এ জন্য আমরাও ঝুঁকিমুক্ত নই এ জন্য এই ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। বিশেষ করে বন্দর গুলোতে সতর্কতা জারি করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে তিনি মনে করেন।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ষ্টেশন মাস্টার মীর লিয়াকত আলি জানান, ভারত থেকে আজ সোমবার মালবাহী ২টি  র‌্যাক বন্দরে ঢুকেছে দর্শনা বন্ধরে ও মালামাল আমদানি করার পর ট্রেনে চালক গার্ড সহ মোট ৩ জন ব্যক্তি থাকেন। তাদের মধ্যে একজন নেমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাগজ পত্রের কাজ শেষ করে পুনরায় দেশে ফিরে যান। এ ছাড়া পণ্য পরিবহনের সাথে যে সব শ্রমিক বা অন্যরা কাজ করে থাকে দর্শনা বন্দরে তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও করোনার প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান, দর্শনা বন্দরে রেলযোগে ভারতীয় আমদানি করা মালামাল ঢুকলে ট্রেনের চালক  কাগজ পত্রের কাজ ট্রেনে বসেই শেষ করে ফিরে যেতে বলা হয়েছে, এখানে নামাই যাবেনা। তা ছাড়া ভারতের করোনার ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দর্শনা চেকপোস্টটি বন্ধ করোনার শুরু থেকেই, এ কারণেই নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়ার পত্র বা নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আগের নিয়মেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা হচ্ছে দর্শনা বন্দরে।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / Amin Hossain

বাঁধন-মিথিলাকে নিয়ে যা বললেন জয়া


বিনোদন ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২১, ১১:১৭
বাঁধন-মিথিলাকে নিয়ে যা বললেন জয়া

ফাইল ছবি

জয়া আহসান বাংলাদেশী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। ঢাকাই চলচ্চিত্রে বেশ ভালো কিছু সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মাত্রই কয়েক বছর হল বাংলাদেশে ছাড়াও কলকাতার বেশকিছু চলচ্চিত্রে দেখা যাচ্ছে এই অভিনেত্রীকে। ওপার বাংলাতেও দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।

জয়া আহসানের মতো ওপার বাংলার সিনেমায় নাম লেখিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ও রাফিয়াথ রশীদ মিথিলা। সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত বাঁধন অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’। কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে এটি। মুক্তির পর থেকে দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী। অন‌্যদিকে মিথিলা ‘মায়া’ সিনেমার মাধ‌্যমে টলিউডে পা রাখতে যাচ্ছেন। শুটিং সেট থেকেই প্রশংসা কুড়াতে শুরু করেছেন এই নায়িকাও।

কলকাতার সিনেমায় বাঁধন-মিথিলার অভিনয় প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ‌্যমে কথা বলেছেন জয়া আহসান। শুরুতে এই অভিনেত্রী বলেন—‘আমার তো খুব আনন্দ হচ্ছে।’ কিন্তু এতে জয়া আহসানের প্রতিদ্বন্দ্বী বাড়ছে না তো?

এ বিষয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘প্রতিযোগিতা হিসেবে ভাবলে, যে কোন কাজে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকা অবশ্যই ভালো। আমার মতে, শিল্পের কোনো সীমারেখা থাকা উচিত নয়। আদানপ্রদান তো শিল্পীদের মাধ্যমেই হয়। আমি চাইব আরো বেশি মানুষ আসুক বাংলাদেশ থেকে, এখানে কাজ করুক। আর শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীই নন, পরিচালকরাও আসুক। এখানে সিনেমা তৈরি করুক। আমারও দল ভারী হবে বইকি!’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ