a
মায়ের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন ছেলে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের হিরণ পয়েন্ট এলাকা। সেখানকার তল্লাশিচৌকিতে গতকাল শনিবার বিকেলে দায়িত্বরত ছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট তৌহিদ টুটুল জানান, দুজন আরোহীর একটি মোটরসাইকেল আসতে দেখে থামার জন্য সংকেত দেই। কাছে আসতেই দেখতে পাই চালকের পিঠে বাঁধা অক্সিজেনের সিলিন্ডার। পেছনে বসে থাকা নারীর মুখে অক্সিজেন মাস্ক। তাৎক্ষণিক তাঁদের এগিয়ে যাওয়ার সংকেত দেন।
এমন সময় পথচারীদের কেউ দৃশ্যটি মুঠোফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন। দ্রুতই সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায়, মুমূর্ষু মাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে মোটরসাইকেলে এভাবেই ১৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন জিয়াউল হাসান নামের সেই যুবক।
জিয়াউল হাসানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যপাশা এলাকায়। তাঁর মা নলছিটি বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেহেনা পারভীন (৫০) দশ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। ১০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার নমুনাও দেন। কিন্তু প্রতিবেদন পাননি।
এর মধ্যেই গতকাল সকালে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। কষ্ট কমাতে একটি সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে আনেন তরুণ ব্যাংক কর্মকর্তা ছেলে জিয়াউল হাসান। লাগানো হয় সেটি। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্টও তা বাড়তে থাকে রেহেনা পারভীনের। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না জিয়াউল।
এরপর মাকে বরিশালের হাসপাতালে আনার জন্য অ্যাম্বুলেন্স এবং অন্য যানের খোঁজ করেন কিন্তু পাচ্ছিলেন না। নিরুপায় হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে মাকে হাসপাতালে আনার সিদ্ধান্ত নেন। পিঠের সঙ্গে শক্ত করে বাঁধলেন অক্সিজেন সিলিন্ডারটি। এরপর মাকে পেছনে বসিয়ে তাঁর মুখে পরানো হলো অক্সিজেন মাস্ক। এভাবে ১৮ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় মাকে নিয়ে পৌঁছান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পাশে আরেকটি মোটরসাইকেলে ছুটছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছোট ভাই রাকিব। বর্তমানে তাঁদের মা করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
রেহেনা পারভীনের অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে মাঝেমধ্যে অক্সিজেন লেভেল ওঠানামা করছে বলে গণমাধ্যমকে জানালেন জিয়াউল হাসান। তিনি বলেন, ‘শনিবার মা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অক্সিজেন লেভেল ৯৪-৯৩ নেমে যাচ্ছে। দুপুরে দেখলাম মায়ের অক্সিজেন শেষ হয়ে আসছে। সে জন্য ভাবলাম ঝুঁকিটা নেওয়া ঠিক হবে না।’
কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠি সদর শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিয়াউল বলেন, ‘মোটরসাইকেলে না এসে আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। আমাকে যে যেতেই হবে। দৌড়ে যেতে পারব না। চেষ্টা করেও কিছু করতে পারিনি। শেষে আমার গায়ের সঙ্গে গামছা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে নিয়ে এসেছি। আমি বুঝতে পারছিলাম মায়ের কষ্ট হচ্ছে। আমি তখন মাকে একটি কথা বলেছিলাম, উপায় নেই মা। আমার মায়ের কষ্ট হচ্ছিল, তা আমি সহ্য করতে পারিনি।’
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ইসলামপুর প্রতিনিধি: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফার আপ্রচার ও জনসম্পৃক্তি কর্মসূচি সফল করার লক্ষে জামালপুর জেলার ইসলামপুর ১১নং চরপুটিমারি ইউনিয়ন বিএনপি উওর শাখার উদ্যোগে আজ ২৪ জুন ২০২৫ইং মঙ্গলবার, লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব, ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এ এস এম আব্দুল হালিম।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল, জামালপুর জেলা বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন সরকার সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
চরপুঠিমারি উত্তর বিএনপি নেতা জবেদ আলী মেম্বারের সভাপতিত্বে লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভায় তৃণমূল পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের উপস্হিতি অনুষ্ঠানকে সার্থক করে তোলে।
প্রধান অতিথি জনাব এ এস এম আব্দুল হালিম বলেন বিএনপি'র প্রতি তৃণমূলের মানুষের অভূতপূর্ব ভালবাসায় আমি অভিভূত। মানুষের এই ভালোবাসা ধরে রাখতে বিএনপি নেতা কর্মীদের শহীদ জিয়ার জীবনাদর্শের উপর নিজেদের জীবন চর্চার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণে কাজ করার জনাব তারেক রহমানের স্বপ্ন ও চিন্তাকে মূল্যায়ন করতে হবে। সে অনুযায়ী আমাদেরকে তৈরি হতে হবে। জনগণের মুখে হাসি ফোটানই আমাদের প্রধানতম লক্ষ্য।
ফাইল ছবি
জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাত জাহান সন্তান সম্ভাবনা। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই তার মা হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে টলিপাড়ায়। তবে এ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি নুসরাত।
তার ঘনিষ্ঠমহল সূত্র থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত এবং নুসরাতের জীবনে আসতে চলেছে নতুন অতিথি। এক মাস আগেই এই সুখবর পেয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন নুসরাতের স্বামী নিখিল জৈন। তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ওর সঙ্গে দীর্ঘদিন আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে এই সন্তান আমার নয়।’
গত কয়েক মাস যাবত নিখিলের সহিত সম্পর্ক টানাপোড়েন চলছে নুসরাতের। স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে আইনগতভাবে বিচ্ছেদ না হলেও একসঙ্গে তারা থাকছেন না। গুঞ্জন রয়েছে ‘এসওএস কলকাতা’ ছবির শুটিংয়ের সময় থেকেই যশের প্রেমে পড়েছিলেন বিবাহিত নুসরাত। সূত্র: আনন্দবাজার