a
সংগৃহীত ছবি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ৯ অনুসারী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে এধরণের ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন।
আহতদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সবাইকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাসপাতালের ডাক্তার আবু নাছের জানান, ছররা গুলিতে আহত ৮ জনকে জরুরি বিভাগ থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়।
আহতরা হলেন- পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৪৭), ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ জিসান (২৩), সামছুল হকের ছেলে মো. সবুজ (৪০), আবদুল লতিফ দুলালের ছেলে রুহুল আমিন সানি (৩০), মোস্তফা মেস্তরীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সুমন (২৭), চরকাঁকড়ার মোশারেফ হোসেনের ছেলে দিদার (৩৫), মৃত মোস্তফার ছেলে মাঈন উদ্দিন কাঞ্চন (৪২), এমদাদুল হকের ছেলে সওশাদ (৩৫)। আহতরা সবাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী।
পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বকুল জানান, ৯নং ওয়ার্ডের হাজীপাড়া, আদর্শপাড়া ও শান্তিপাড়া থেকে কাদের মির্জার অনুসারীরা একত্রিত হয়ে পৌরসভায় যাওয়ার জন্য জড়ো হচ্ছিল। এসময় প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুর সমর্থকরা বেপরোয়াভাবে গুলি চালালে কাদের মির্জার লোকজন আহত হয়।
অপরদিকে সেতুমন্ত্রীর ভাগিনা মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কোনো লোক বাসা থেকে বের হয়নি। কাদের মির্জার লোকজন মিছিল করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শুনেছি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা মিছিল করতে চাইলে প্রতিপক্ষরা গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় আবদুল কাদের মির্জা রাত ৯টায় পৌরসভার নিজ কার্যালয় থেকে ফেসবুক লাইভে এসে এএসপি শামীম, ইউএনও জিয়া, ওসি রনি ও অ্যাসিল্যান্ড সুভাতকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আলটিমেটাম দিয়েছেন।
ফাইল ছবি
বিস্ফোরণের পর চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে টিন ও লোহার টুকরা। আশপাশের অনেক ভবনের দেয়াল ফেটে গেছে। উড়ে গেছে টিনের চালা। ভেঙে গেছে অনেক ঘরের কাচ। এলাকাবাসীরা বলছেন, বিস্ফোরণের পরের অবস্থা দেখে তাঁদের মনে হয়, এ যেন এক বিধ্বস্ত জনপদ।
গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকার সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদনের এ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ৬ জন মারা যান এবং গুরুতর আহত হন ৩০ জন।
কারখানাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। বিস্ফোরণে কারখানার আশপাশের অন্তত এক বর্গকিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। এমনকি বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূর পর্যন্ত উড়ে যায় লোহার পাত। আশে পাশের বিভ্ন্নি ভবনের দেয়াল ও ছাদ বিদ্ধস্ত হয়ে যায়। পাশাপাশি ভেতরে আরও নিহত ও আহত ব্যক্তি থাকতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন।
এলাকাবাসী বলছেন, বিকট শব্দ ও কম্পনে তাঁরা ভয় পেয়ে যান। কারও মনে হয়েছে, হয় তো বড় ভূমিকম্পন হয়েছে। কেউ ভেবেছেন, বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা দাবি করছেন বার বার সীতাকুন্ডে এধরণের অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরন না হয় তার স্থায়ী সমাধান আশা করছেন।
কদমরসুলের সীমা অক্সিজেন কারখানা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে জাহানপুর এলাকা। এলাকাটির বাসিন্দারা গতকাল বিকেলে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনে ভয় পেয়ে যান।
বিস্ফোরণে লোহার পাত আধা কিলোমিটার দূর পর্যন্ত উড়ে যায়। এই লোহার পাতের আঘাতে দুজন মারা যান। এখনো নিহত ও আহতের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালগুলোতে ভীড় করে আছেন।
সীমা অক্সিজেন কারখানা থেকে অন্তত ৩০০ মিটার দূরে আল ছাফা রিরোলিং মিল। বিকট শব্দে মিলটি কেঁপে ওঠে এবং ভেঙে যায় মিলের কাচ। আশে-পাশে অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে তা আর হচ্ছে না। ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এ তথ্য জানান। এ সময় করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায়, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান দীপু মনি।
এর আগে গত বুধবার (২৪ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন যে, আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও সেদিন খোলা সম্ভব নয়। শবে বরাতের সরকারি ছুটি ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ নির্ধারণ করার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এদিন খুলছে না।
মো. মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালকের সাথে আলোচনা করা হবে। ৩০ মার্চ ছুটি ঘোষণা করে মাউশিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হবে।
ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি ভাল থাকলে আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।