a
ফাইল ছবি
করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলমান লকডাউন আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপণে জানানো হয়, আগামী ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলা করবে আন্ত:জেলা বাস, ট্রেন ও লঞ্চ।
গত ৫এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সাতদিনের লকডাউন দিয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় শুরু হয়েছিল লকডাউন। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে কঠোর বিধিনিষেধ দেয় সরকার । তবে করোনা সংক্রমণ না কমায় বিধিনিষেধের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল রাখা হয়। এর পরেও পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় ২৮ এপ্রিল আবারও বৃদ্ধি করা হয় বিধিনিষেধ। এরপর গত ৩ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আবারও বিধিনিষেধ বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সেই বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে। সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে এবারের বিধিনিষেধ।
ফাইল ছবি
করোনার প্রকোপে বর্তমানে ভারতের করুণ অবস্থা তা সকলেই দেখতে পাচ্ছে, ভারতের মত আমাদের অবস্থা হলে আমাদের যেন অক্সিজেন সমস্যায় ভোগতে না হয় সে জন্য আগেই এগিয়ে আসছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প কোম্পানি আবুল খায়ের গ্রুপ।
ভারতের ক্রান্তিলগ্নে এগিয়ে এসেছে তাদের নিজ দেশের কোম্পানি টাটা গ্রুপের রতন টাটা। তাই বলা যেতে পারে ভারতের যদি রতন টাটা থাকে আমাদের আছে আবুল খায়ের গ্রুপ। ভারত থেকে এক সপ্তাহ যাবৎ বন্ধ রয়েছে অক্সিজেন সরবরাহ। এমন মূহুর্তে অক্সিজেন সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে আবুল খায়ের শিল্প গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিজস্ব প্ল্যান্ট থেকে দেশের চাহিদা মতো প্রতিদিন ২০০ টন অক্সিজেন দিতে পারবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের একেএস প্লান্টে অক্সিজেন সরবরাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তখন আবুল খায়ের গ্রুপের অক্সিজেন প্লান্টের সিইও মুহামম্দ আবদুল্লাহ বলেন, আমরা প্রতিদিন ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করতে সক্ষম। আর দেশের চাহিদা ২০০ টন, সেক্ষেত্রে চাহিদা মিটিয়ে আমরা রিজার্ভ করতে পারবো। যখন বিশেষ জরুরি হবে তখন সেখান থেকে সরবরাহ করা হবে। এই শিল্প প্রতিষ্ঠান আরো আশ্বাস প্রদান করেন যে, যদি প্রয়োজন হয় আমাদের সব শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে শুধু অক্সিজেন উৎপাদন করা হবে।
আবুল খায়ের গ্রুপের সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মো. শামসুদ্দোহা বলেন, আমাদের প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ টন লিকুইড উৎপাদন আছে তা বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবুল খায়ের স্টিল লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের মো. ইমরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, আমরা মজুদ ও সরবরাহ বজায় রাখবো। দেশের যে ক্রান্তিকাল এই অবস্থায় দেশকে, দেশের মানুষকে কিভাবে উদ্ধার করা যায় সেই চেষ্টা করছি। দেশের মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য আমরা প্রয়োজনে শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অক্সিজেনের পুরোটা মেডিকেলের দিকে সাপ্লাই দিব।’
২০২০ সালে আবুল খায়ের গ্রুপ ১০ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলের পাশাপাশি ৫ হাজার সিলিন্ডার বীনা মূল্যে বিতরণ করে। এছাড়া ২০টি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেয় গ্রুপটি।
ছবি: সংগৃহীত
বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির মধ্যে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি ফল ও সবজির সংকট তীব্র ব্রিটেনে। বর্তমানে দেশটির সর্বত্র নাগরিকদের একসঙ্গে বেশি পরিমাণ সবজি কেনা নিষেধ রয়েছে। এই সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে টমেটো ও শসার ক্ষেত্রে।
ন্যাশনাল ফারমার্স ইউনিয়ন (এনএফইউ) সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে। আবহাওয়াজনিত কারণে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন কমেছে ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকায়। ব্রেক্সিট-পরবর্তী বিধিনিষেধ ও সরবরাহের নিম্নগতি ফেলেছে এর বিরূপ প্রভাব। বিদ্যুৎ বিলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণেও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে। তার ফলাফল দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনের সুপারমার্কেটগুলোতেও। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পরেছে সর্বত্রেই।
ব্র্যাডশ দেশে উৎপাদিত সবজির দিকে আগে সচেতন হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন। দেশের ভেতরে এতদিন যারা সবজি ও ফল চাষ করেছে, তাদের অধিকাংশই ক্ষতির সম্ভাবনায় চাষ করেনি। বিষয়টি সরকারিভাবে নজর দেয়া উচিত ছিল বলে বিভিন্ন সংস্থাকে দায়ি করা হচ্ছে।
আবার অনেকে মনে করছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করারও পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে ব্রিটেনের বাজারে। কারণ আগে ইউরোপীয় বাজার থেকে বেশির ভাগ সবজি ও ফল সংগ্রহ করা হতো। ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সবজি বাজারে বিরাট এক অংশ আসে মরক্কো ও স্পেন থেকে। সম্প্রতি বন্যা ও তুষারপাতে দেশ দুটিতে মারাত্মকভাবে ফসল সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
এদিকে ক্রেতাদের জন্য পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে আলদি, আসদা ও মরসিনের মতো স্টোরগুলো। টেস্কো ও আলদি দুটি করে শশা, তিনটি করে টমেটো, গোলমরিচ ও শসা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।
অন্যদিকে লেটুস, সালাদ ব্যাগ, ব্রকোলি, ফুলকপি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আসদা। মরিসন মাত্র দুটি করে টমেটো, শসা, লেটুস ও গোলমরিচ কিনতে অনুমতি দিচ্ছে।
খারাপ আবহাওয়া ও পরিবহনজনিত কারণে প্রভাব পড়েছে অন্যান্য সবজি ও ফলের বাজারেও। পরিবেশমন্ত্রী থেরেসা কফে দাবি করেন, “আমি জানি ভোক্তারা একটা বর্ষব্যাপী পরিকল্পনা চাচ্ছেন। বর্তমানে আমাদের সুপারমার্কেট ও খাদ্য সরবরাহকারীরা সেটাই করার চেষ্টা করছেন।”
পরিবেশমন্ত্রী জনগণকে পিঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে কমে এসেছে পিঁয়াজ সরবরাহও। এর মধ্যে বেশকিছু সুপারমার্কেট থেকে পিঁয়াজের ঘাটতির খবর ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান